আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
187 views
in পবিত্রতা (Purity) by (33 points)
প্রশ্ন ১):

নুজুয়াত রহমান নামটি কি সঠিক?  না, নুজুয়াতুর রহমান রাখতে হবে।  নুজুয়াত রহমান নাম কেউ রেখে ফেললে নামটি কি চেইঞ্জ করা অত্যাবশ্যকীয় হয়ে যাবে

প্রশ্ন ২):

আমি নাপাক কাপড় ৩ বার ধৌত করি। কিন্তু প্রায়- সময়

 ২য় বার ধৌত করার পর, ৩য় বারের সময় যখন বালতিতে নতুন পানি নেই,,তখন ওই ৩য় বারের পানিতে ওই কাপড়টি ডুবানোর পর--বাহির থেকে নাপাকি ছিটকে এসে ওই ৩য় বারের পানিতে ডুবন্ত কাপড়ে পড়ে যায়। (একইভাবে ২য় বারেও কখনো হয়েছে)

এতে কি আমার ওই কাপড়টি আবার নতুন করে নতুন পানি দিয়ে আবার ১/২/৩ বার ধুইতে হবে? নাকি পূর্বের ৩ বার ধুয়া যথেষ্ট হবে?-(যদিও ২য় অথবা ৩য় বারের নেয়া নতুন পানিতে ডুবন্ত কাপড়ে নাপাকি পড়ে যাক না) কেন?

1 Answer

0 votes
by (713,000 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) জ্বী, নুজুয়াতুর রহমান রাখতে হবে। নুজুয়াত রহমান  এভাবে নাম রাখা যাবে না। নুজুয়াত রহমান নাম কেউ রেখে ফেললে নামটিকে চেইঞ্জ করতে হবে। 

(২) ৩য় বার পানিতে ওই কাপড়টি ডুবানোর পর--বাহির থেকে নাপাকি ছিটকে এসে ওই ৩য় বারের পানিতে যদি পরে যায় বা  ডুবন্ত কাপড়ে পড়ে যায়, তাহলে উক্ত কাপড় বা পানি নাপাক হয়ে যাবে। উক্ত কাপড়কে আবার নতুন পানি দ্বারা ধৌত করতে হবে। এবং তিন বার ধৌত করতে হবে। এবং প্রত্যেকবার নিংড়িয়ে ধৌত করতে হবে।

বিজ্ঞ আলেমে দ্বীন বিশিষ্ট ফকিহ আল্লামা সারখাসী রাহ বলেনঃ 
নাজাসত দু-প্রকার (১)দৃশ্যমান নাজাসত (২)অদৃশ্যমান নাজাসত
★অদৃশ্যমান নাজাসত যদি কাপড় বা শরীরে লাগে তাহলে তাকে অবশ্যই দূর করতে হবে।মূল নাজাসত দূর হওয়ার পর তার আছর অবশিষ্ট থাকলে কোনো সমস্যা নেই।এভাবেই রাসূলুল্লাহ থেকে বর্ণিত হয়েছে।
রাসূলুল্লাহ সাঃ হায়েযের রক্ত সম্পর্কে বলেনঃ
"কিছু দ্বারা রক্তকে তুলে দাও,অতঃপর আঙ্গুল দ্বারা ঘষাঘষি করো  তারপর তাকে দৌত করো।তারপরও যদি তাতে আছর থাকে তাহলে কোনোপ্রকার সমস্যা হবে না।
কেননা যখন কোনো মহিলা অপবিত্র হান্না দ্বারা নিজ হাতকে রঙ্গাবে এবং তৎপরবর্তী হাতকে দুয়ে নিবে,তাহলে এমতাবস্থায় তার নামায বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।হাতে খেযাবের রঙ্গের আছর তাতে কোনোপ্রকার ক্ষতি করবে না।
এবং ফকিহ আবু জাফর রাহ বলেনঃ
মূল নাজাসত দূর হওয়ার পর দু'বার দুয়ে নিবে কেননা এমতাবস্থায় তা অদৃশ্য নাজাসতের সামঞ্জস্য হয়ে যাচ্ছে।এজন্য আরও একবার দুয়ে নেয়া হবে।

আর অদৃশ্যমান নাজাসত কে তিনবার দৌত করতে হবে।কেননা নবীজী সাঃ বলেনঃ
যখন কেউ ঘুম থেকে জাগ্রত হবে সে যেন পাত্রে হাত না দেয়, যতক্ষণ না সে হাতকে তিনবার দৌত করবে।কেননা সে জানে না তার হাত কোথায় রাত্রিযাপন করেছে।সুতরাং যখন ধারণাকৃত নাজাসকে তিনবার দৌত করার কথা বলা হয়েছে তাই বাস্তবিক নাজাসকে অবশ্যই তিনবার দৌত করবে।এটাই আমাদের মাযহাব। (মাবসুত-সারখাসী১/৯৩)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...