আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
55 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (19 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লহ।
১. আয়িশা নামের সাথে কি অন্য নাম রাখা উচিত না? একজন আলেম বললেন,আয়িশা নামের সাথে অন্য নাম রাখা যাবে না।
২." আয়িশা নাওয়ার ঈশাল" নাম রাখা যাবে বাচ্চার?
৩. " আয়িশা নাওয়ার" নাম রাখা যাবে?
৪. একটি হাদিস পড়েছি, "রোদে পানি দিয়ে ঐ পানিতে বাচ্চাদের গোসল করালে শ্বেত রোগ হয়"। এটা কি সহীহ হাদিস?

1 Answer

0 votes
by (678,960 points)
edited by
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
এ কথা ভিত্তিহীন।

(০২)

عَائِش [عيش]
['আ'ইশ] আঈশা শব্দের অর্থঃ-
জীবিত
সুখী জীবন যাপনকারী
সচ্ছল

نَوَّرَ(تَنْوِير) [نور]
[নাওওয়ারা] শব্দের অর্থঃ-
আলোকিত করা
(প্রদীপ) জ্বালানো
মুকুলিত হওয়া
ফুল ধরা

নাওয়ার নামের অর্থ  দীপ্তিশীল, উজ্জ্বল ।

ঈশাল নামের অর্থ চমৎকার, সুন্দর,জান্নাতের ফুল।

★সুতরাং " আয়িশা নাওয়ার ঈশাল" নাম রাখা যাবে।

(০৩)
"আয়িশা নাওয়ার" নাম রাখা যাবে।

(০৪)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: لَا تَغْتَسِلُوا بِالْمَاءِ الْمُشَمَّسِ فَإِنَّهُ يُورِثُ البرص.

’উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রোদে গরম করা পানি দিয়ে গোসল করো না। কারণ এ পানি শ্বেত ও কুষ্ঠ রোগ সৃষ্টি করে। 

(দারাকুত্বনী ১/৩৯, বায়হাক্বী ১/৬, মিশকাত ৪৮৯.তালখীসুল হাবীর ৬, ৭ নং পৃঃ।)

نَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ وَآخَرُونَ ، قَالُوا : حَدَّثَنَا سَعْدَانُ بْنُ نَصْرٍ ، نَا خَالِدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْمَخْزُومِيُّ ، نَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ : دَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَقَدْ سَخَّنْتُ مَاءً فِي الشَّمْسِ ، فَقَالَ : " لَا تَفْعَلِي يَا حُمَيْرَاءُ فَإِنَّهُ يُورِثُ الْبَرَصَ " 
আল হুসায়ন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার ঘরে প্রবেশ করলেন, তখন আমি সূর্যের তাপে পানি গরম করছিলাম। তিনি বললেন, হে হুমায়রা! তা করো না। কারণ তাতে শ্বেতরোগের সৃষ্টি হয়।
(সুনানে দারা কুতনি ৮২)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উপরোক্ত হাদীস দুটিকে মুহাদ্দিসিনে কেরামগন জয়ীফ বলেছেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...