আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
206 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
reshown by
জনাব,

মুফতি সাহেব আসসালামুআলাইকুম ।

বিগত বছর ২ এক আগে আমি একটি মেয়ের সাথে কোর্ট ম্যারেজ আবদ্ধ হই । আমরা কখনও সাংসারিক বন্ধনে আবদ্ধ হই নি । এমনকি এক সাথে রাত ও কাটাই নি । বিয়ের উদ্দেশ্য ছিল আমাদের সম্পর্ক টা যেন হালাল হয় । আমাদের দৈহিক মেলামেশা হতো  । আমার যোনির সাথে আমার স্ত্রী এর যোনি স্পর্শ হয়েছে । কিন্তু আমরা কখন ও মিলন করি নি । বীর্যপাত লাগছে কিনা বলতে পারি না সিউর না ।কিন্তু কখনই স্ত্রী এর যোনির ভিতরে নেই নাই।। আমার স্ত্রী এর সাথে আমি কখনই মিলন করি নি ।আমার স্ত্রী সম্পূর্ন ভার্জিন । কিছুদিন আগে রাগ পূর্বক আমি তাকে তালাক দিয়েছি । এভাবে দিলাম যে আমি তোকে তালাক দিলাম তালাক তালাক তালাক। যখন তালাক দিছি তখন ওর ঋতুস্রাব ও ছিল ।আমার প্রশ্ন হচ্ছে  আমার কি সহবাস হয়েছে ? আমার তালাক কি হইছে ? দয়া করে আমাকে জানাবেন ।

1 Answer

0 votes
by (680,320 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তে খাওয়াতে সহীহাহ এর উপর অনেক ক্ষেত্রে সহবাসের বিধানই আরোপ করে।
খালওয়াতে সহীহাহ সংক্রান্ত হাদীস শরীফে এসেছেঃ

روى البيهقي في سننه عن سعيد بن المسيب أن عمر بن الخطاب رضى الله عنه (قضى في المرأة يتزوجها الرجل: أنه إذا أرخيت الستور فقد وجب الصداق) .

সারমর্মঃ
হযরত ওমর রাঃ এক মহিলা যাকে কোনো পুরুষ বিবাহ করেছিলো, ব্যাপারে ফায়সালা দিয়েছিলেন, 
যখন তুমি সতর ছেড়ে দিয়েছিলে (খুলেছিলে) তখনই মোহর ওয়াজিব হয়েছে।

★★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন ,   
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে আপনাদের দৈহিক মেলামেশা হতো।
আপনার যোনির সাথে আপনার স্ত্রী এর যোনি স্পর্শ হয়েছে ।  

সুতরাং আপনাদের খালওয়াতে সহীহাহ হয়েছে।

খালওয়াতে সহীহাহ বলা হয়,এমন নির্জন বাস বা এমন কক্ষে অবস্থান করা,যেখানে সহবাস হওয়া থেকে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকেনা।
,  
খালওয়াতে সহীহাহ এর পর স্ত্রীকে পর্যায়ক্রমে যত তালাকই দিবে,তত তালাকই পতিত হবে। 
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার স্ত্রীর উপর      তিন তালাক পতিত হয়েছে।

আপনাদের আর কোনো ভাবেই ঘর সংসার করা জায়েজ নেই।
হ্যাঁ শরয়ী হালালাহ করে তাকে পুনরায় বিবাহ করতে পারবেন।     

ফাতাওয়ায়ে শামী ৩/১১৯ তে আছে

"(قوله: وكذا في وقوع طلاق بائن آخر إلخ) في البزازية: والمختار أنه يقع عليها طلاق آخر في عدة الخلوة، وقيل: لا اهـ وفي الذخيرة: وأما وقوع طلاق آخر في هذه العدة، فقدقيل: لايقع، وقيل: يقع، وهو أقرب إلى الصواب؛ لأن الأحكام لما اختلفت يجب القول بالوقوع احتياطاً، ثم هذا الطلاق يكون رجعياً أو بائناً ذكر شيخ الإسلام أنه يكون بائناً اهـ ومثله في الوهبانية وشرحها"
والحاصل: أنه إذا خلا بها خلوةً صحيحةً ثم طلقها طلقةً واحدةً فلا شبهة في وقوعها، فإذا طلقها في العدة طلقةً أخرى فمقتضى كونها مطلقةً قبل الدخول أن لا تقع عليها الثانية، لكن لما اختلفت الأحكام في الخلوة في أنها تارةً تكون كالوطء وتارةً لا تكون، جعلناها كالوطء في هذا فقلنا بوقوع الثانية احتياطاً؛ لوجودها في العدة، والمطلقة قبل الدخول لا يلحقها طلاق آخر إذا لم تكن معتدةً بخلاف هذه.

والظاهر أن وجه كون الطلاق الثاني بائناً هو الاحتياط أيضاً، ولم يتعرضوا للطلاق الأول. وأفاد الرحمتي أنه بائن أيضاً؛ لأن الطلاق قبل الدخول غير موجب للعدة؛ لأن العدة إنما وجبت لجعلنا الخلوة كالوطء احتياطاً، فإن الظاهر وجود الوطء في الخلوة الصحيحة؛ ولأن الرجعة حق الزوج وإقراره بأنه طلق قبل الوطء ينفذ عليه فيقع بائناً، وإذا كان الأول لا تعقبه الرجعة يلزم كون الثاني مثله. اهـ
সারমর্মঃ
খালওয়াতে সহীহাহ হওয়ার পর স্ত্রীকে এক তালাক দিলে তাহা নিঃসন্দেহে পতিত হবে।
তার পর ইদ্দতের মধ্যেই আরো তালাক দিলে তাহা পতিত হওয়া সংক্রান্ত মতবিরোধ রয়েছে।
তবে তালাক পতিত হওয়াটাই সঠিকতার নিকটতম মত।        

বিস্তারিত জানুনঃ  

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাদের সহবাস হয়নি।
আমি তোকে তালাক দিলাম তালাক তালাক তালাক,বলার দ্বারা তিন তালাক পতিত হয়ে যাবে।
স্ত্রীর ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়ে তালাক দিলেও তাহা পতিত হয়ে যায়। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...