আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
402 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ,

আমার এক কাজিন আমার থেকে জানতে চেয়েছে, শরীরের কোনো স্থানের তিল উঠানো জায়েজ হবে কি না? বা উঠালে কোনো গুনাহ হবে কিনা ?
এবং শরীরের লোম সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য তুলে ফেলা যাবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (719,520 points)
edited by

ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/466 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
বিজ্ঞ উলামায়ে কেরাম জায়েয পরিবর্তন ও নাজায়েয পরিবর্তন সম্পর্কে মূলনীতি উল্লেখপূর্বক বলেনঃ
(ক)
জায়েয শারীরিক পরিবর্তনঃ
যদি কোনো মানুষ কষ্ট দূরীকরণার্তে বা কোনো দোষ দূরীকরণার্তে চায় উক্ত দোষ নিজের মাধ্যমে আসুক বা কোনো অসুস্থতা বা দুর্ঘটনাজনিত হোক তাহলে এমতাবস্থায় শারীরিক পরিবর্তন জায়েয।
যেমন উরফুজা ইবনে আস'আদ রাযি থেকে বর্ণিত
عن ﻋﺮﻓﺠﺔ ﺑﻦ ﺃﺳﻌﺪ ﺃﻧﻪ ﻗﻄﻊ ﺃﻧﻔﻪ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻜُﻼﺏ، ﻓﺎﺗﺨﺬ ﺃﻧﻔﺎً ﻣﻦ ﻓﻀﺔ ﻓﺄﻧﺘﻦ ﻋﻠﻴﻪ، ﻓﺄﻣﺮﻩ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﺎﺗﺨﺬ ﺃﻧﻔﺎً ﻣﻦ ﺫﻫﺐ
কিলাবের যুদ্ধে উনার নাক কর্তিত হয়ে যায়,তখন তিনি রূপার নাক তৈরী করে লাগিয়ে নেন।কিন্তু উক্ত নাকে দুর্গন্ধ হয়ে যায়,যে জন্য নবীজী সাঃ উনাকে সর্ণের নাক বাধার অনুমিত প্রদান করেন।অতঃপর তিনি সর্ণের নাক বেধে নেন।(সুনানে তিরমিযি-১৭৭০)

(খ)
নিষিদ্ধ শারীরিক পরিবর্তন
তা কয়েক ধাপে বিভক্ত।যেমনঃ

(১)
শারীরিক পরিবর্তন-পরিবর্ধনের যেসমস্ত পদ্ধতিতে কোরআন-হাদীসে নিষেধ এসেছে,তা সর্বদাই নিষিদ্ধ,তা নিষিদ্ধ হওয়ার  কোনো কারণ খোজা যাবে না বরং তা সবসময়ই নিষিদ্ধ থাকবে।যেমনঃ
ভ্রু-কে চেঁছে সরু (প্লাক) করা,বা দেহাঙ্গে ট্যাটু অংকন করা ইত্যাদি।
এবং প্রত্যেক ঐ সমস্ত শারীরিক পরিবর্তন-পরিবর্ধন যা কোরআন-হাদীসে বর্ণিত তা বিনা দ্বিধায় জায়েয।যেমনঃখৎনা করা,নক কাটা,নাভীর নীচ পরিস্কার করা,ইত্যাদি।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১) সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য তিন উঠানো জায়েয হবে না।

(২) হ্যা,হাত পায়ের লোম বেশী হলে, স্বামীকে খুশী করতে লোম কর্তন করা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...