আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in সালাত(Prayer) by (80 points)
আসসালামু আলাইকুম


https://ifatwa.info/26175/

এটা আমার আগের প্রশ্ন ছিলেন।এখানে সম্মানিত মুফতি সাহেব বলেছেন আমাকে গতকালকের আসরের নামাজও আদায় করতে হবে এবং মধ্যবর্তী কোনো নামাজ পুনরায় আদায়ের প্রয়োজন নাই।আমি প্রশ্নটির জবাব কিছুক্ষণ আগেই পেয়েছি। তার অনেক আগেই আমি আজকের বিতির সহ সব নামাজ আদায় করা শেষ করেছি।আগের প্রশ্নে যেহেতু সম্মানিত মুফতি সাহেব বলেছিলেন মধ্যবর্তী কোনো নামাজ পুনরায় আদায়ের প্রয়োজন নাই তাহলে আমি কি শুধূ গতকালকের আসর পড়বো?আমার কি গতকালকের আসর পড়ার পর আজকের বিতির আবার পড়তে হবে?আমি গগতকালকের আসর পুনরায় পড়েছি এবং সতর্কতার জন্য আজকের বিতির ও পুনরায় আদায় করেছি এতে কি সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)


بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

নামাজের মধ্যে রয়েছে ১৪টি ওয়াজিব কাজ। ওয়াজিব কাজ বলতে ঐ সব কাজকে বুঝায়, যার কোনো একটিও ছুটে গেলে সিজদায়ে সাহু আদায় করতে হয়। সিজদায়ে সাহু আদায় করতে ভুলে গেলে নামাজ পুনরায় পড়তে হয়। তাই নামাজের ওয়াজিবগুলো যথাযথ আদায় না করলে নামাজ হবে না। নামাজের ওয়াজিবগুলো তুলে ধরা হলো-

০১. প্রত্যেক নামাজে সূরা ফাতিহা (আলহামদুলিল্লাহ) পড়া।

০২. প্রত্যেক নামাজে সূরা ফাতিহার পর সূরা মিলনো (কমপক্ষে তিন আয়াত অথবা তিন আয়াতের সমকক্ষ এক আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করা)।

০৩. ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাআতকে কিরাতের জন্য নির্ধারিত করা।

০৪. কিরাআত, রুকু, সিজদার মধ্যে ক্রমধারা বা তারতিব ঠিক রাখা।

০৫. কাওমা করা অর্থাৎ রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো।

০৬. জলসা করা অর্থাৎ দুই সিজদার মাঝখানে সোজা হয়ে বসা।

০৭. তাদিলে আরকান করা অর্থাৎ রুকু, সিজদা, কাওমা, জলসায় কমপক্ষে এক তাসবিহ পরিমাণ স্থির থাকা। যাতে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ যথাস্থানে পৌঁছে যায়।

০৮.  তিন বা চার রাকাআত বিশিষ্ট নামাজে দুই রাকাআত পর আত্তাহিয়াতু পড়া।

০৯. প্রথম ও শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়াতু পড়া।

১০. জাহেরি নামাজে প্রথম দুই রাকাআত ইমামের জন্য উচ্চস্বরে কিরাআত পড়া এবং সিররি নামাজের মধ্যে ইমাম ও একাকি নামাজির অনুচ্চ শব্দে কিরাআত পড়া।

১১. সালাম ফিরানো। অর্থাৎ ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ বলে নামাজ শেষ করা। (আদ্দুররুল মুখতার মাআ শামী-২/১৬২)

আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রা.) আনহু বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) ডান ও বাম উভয় দিকে সালাম ফিরাতেন এবং উভয় দিকেই আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ বলতেন। (তিরমিজি, হাদিস : ২৯৫)

১২. বিতরের নামাজের দোয়ায়ে কুনুত পড়ার জন্য অতিরিক্ত তাকবির বলা এবং দোয়ায়ে কুনুত পড়া।

১৩. দুই ঈদের নামাজে ছয় ছয় তাকবির বলা।

১৪. প্রত্যেক রাকাআতের ফরজ এবং ওয়াজিবগুলোর তারতিব (ধারাবাহিকতা) ঠিক রাখা।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে ওয়াজিব ছুটে যাওয়ার কারণে আপনার জন্য শুধু মাগরীব ও আসরের ফরজ নামাজকে পুনরায় আদায় করার প্রয়োজন ছিল যা আপনি করেছেন।মধ্যবর্তী অন্যান্য নামাজ আদায় করার প্রয়োজন ছিল না, তথাপি আপনি যেহেতু  সেগুলি পুনরায় পড়ে নিয়েছেন তাই নফল হিসেবে আপনি উক্ত নামাজগুলির সওয়াব পাবেন। বিতির নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে না,কারণ আপনি বিতির  সালাতে উক্ত ভুলটি করেননি ।এক নামাজে ভুলের কারণে অন্য ওয়াক্তের নামাজ পুনরায় আদায় করতে হয় না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 73 views
...