আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
214 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (98 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
১. জেনারেল পড়ালেখায় ৯ম শ্রেণী হতে সাইন্স, কমার্স আর আর্টস এই তিনটি গ্রুপ থাকে!  কমার্স নিয়ে পড়ালেখা করলে সেখানে হিসাববিজ্ঞান, ফিন্যান্স বিভিন্ন সাবজেক্ট থাকে যেগুলোতে ব্যাংকের হিসাব/অংক, সুদের হিসাব/অংক,  ঋণের সুদের অংক শেখানো হয়, করা হয়!   তাই একজন মেয়ের জন্য এই গ্রুপ নিয়ে পড়া কি জায়েজ?! যেহেতু সুদ, ব্যাংকের বিষয়গুলো হারাম!

[সাইন্সে পড়ালেখা ব্যয়বহুল হওয়ায়  কমার্সে পড়াতে চাচ্ছি! আর আর্টস গ্রুপ হিসেবে তেমন ভালো না! ]

২. আমি নিজেও একজন কমার্সের স্টুডেন্ট হওয়ায় একটা টিউশন করাতাম যেখানে হিসাববিজ্ঞান পড়াতাম, সুদের হিসাব/অংক শেখানো লাগতো!  এই সাবজেক্ট পড়িয়ে উপার্জিত টাকা কি হালাল থাকে নাকি ব্যাংকের, সুদের অংক শেখানোর জন্য গুনাহগার হবো এবং টিউশনের টাকা হারাম হয়ে যায়?!
[ যদি উপার্জিত টাকা হারাম হয় তাহলে ৭/৮ মাস যাবত পড়িয়ে যে টাকা পেয়েছি তা খরচও হয়ে গিয়েছে! সামান্য কিছু রয়েছে! কি করবো এক্ষেত্রে?!  হিসাববিজ্ঞান আর ইংরেজি পড়াতাম]

৩. মেয়েদের জন্য মাহরাম যারা যেমন - বাবা, মামা তাদের সামনে হাফ হাতার জামা পরে থাকা যাবে বা চলাফেরা করা যাবে??  এতে কি গুনাহগার হয় বা নাজায়েজ এমন কিছু?!
জাযাকাল্লাহ খাইরান!

1 Answer

0 votes
by (716,720 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
জ্বী, জায়েয হবে।তবে সুদী কাজ করা বা সুদী কাজে তা ব্যবহার করা কখনো জায়েয হবে না।

(২)
হারাম হবে না।তবে এমন শিক্ষা না দেয়াই উচিৎ যা ভবিষ্যতে মানুষকে সুদের দিকে ঢেলে দিবে।

(৩)
মাহরামে আবদী তথা নিজ ভাই বা বোনের ছেলের সামনে ফিৎনার আশঙ্কা না থাকলে বুকের উপরি অংশ,হাত ও বাহুদ্বয় খোলা রাখা জায়েয রয়েছে। তবে ব্রেসিয়ার বা হাতকাটা গেঞ্জি -যা সাধারণত যৌনাবেদনময়ী হয়ে থাকে- এগুলো পড়ে মাহরাম পুরুষের সামনে যাওয়া যাবে না। কেননা এগুলোকে ফিৎনার জন্য তৈরীই করা হয়েছে।

মাহরাম মহিলার শরীরের কোন অঙ্গ কতটুকু পর্যন্ত দেখা বৈধ হয়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1493


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...