আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
86 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)

1| mKj cÖKvi exh©cv‡ZB wK †Mvmj diR nq? †hgb ¯¿xi w`‡K ZvKv‡j, Pz¤^b ev ¯úk© Ki‡j hw` D‡ËwRZ n‡q exh©cvZ n‡q hvq? Avevi RxeweÁv‡b bvix cyiæ‡li †Mvcbv½ m¤^‡Ü co‡Z nq| ZLb A‡bK mgq D‡ËwRZ n‡q exh©cvZ n‡q hvq| ZLb wK †Mvmj diR n‡e?

2| PvKwi †ÿ‡Î cyiæl, gwnjv GK‡Î KvR Kiv ev e¨emvq †`vKv‡b gwnjv †ec`©v †µZv Avm‡j KiYxq Kx? Ggb PvKwi ev e¨emvq wK Rv‡qR?

3| †Kv‡bv gvnivg ‡Kv‡bv K‡ÿ GKvKx _vK‡j †mB K‡ÿ cÖ‡ek ev Zvi mv‡_ GK‡Î Ae¯’vb Kiv wK Rv‡qR?

4| Kw¤úDUvi Acv‡iU‡ii PvKwi‡Z hw` gvwj‡Ki my‡`i wnmve wjL‡Z ev my‡`i ¯^vÿx _vKv jv‡M Zvn‡j ZLb KiYxq Kx?

5| hw` ewj, ÒAvjøvn, Avgvi giûg wcZvi mKj FY Avgvi Nv‡o wbjvg, Avgvi evev‡K gyw³ w`b|Ó Zvn‡j wK Avgvi evevi K¡je Avi Sz‡j _vK‡e bv? me FY Avgvi Kvu‡a P‡j Avm‡e?

6| evev gviv †M‡j bvwK ‡Q‡jiv wbw`©ó mgq ch©¯Í we‡q Ki‡Z cv‡i bv| K_vwU wK mZ¨?

7| gvbyl gviv †M‡j wK Zvi mKj †cvlvK `vb K‡i †`qv Avek¨K?

by (8 points)
এর আগে এই ৃপ্রশ্নটি করেছিলাম, কিন্তু উত্তর পাইনি।
by (62,960 points)
আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

যে সব কারণে গোসল ফরজ হয়ঃ

 এক. জাগ্রত বা ঘুমন্ত অবস্থায় উত্তেজনার সঙ্গে বীর্যপাত হওয়া। ঘুমন্ত অবস্থায় উত্তেজনা অনুভব না হলেও গোসল ফরজ। কেননা ঘুমন্ত অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে মানুষ অনেক সময় টের পায় না। তাই কোনো ব্যক্তি ঘুম থেকে ওঠার পর যদি তার কাপড়ে নাপাকির চিহ্ন দেখে, তাহলে তার স্বপ্নদোষ বা বীর্যপাতের কথা স্মরণ থাকুক বা না থাকুক, সর্বাবস্থায় গোসল ফরজ হবে। (হেদায়া ১/৪৫, আন নুতাফ ফিল ফাতাওয়া পৃ. ২৯)

عن علي رضي الله عنه قال : كنت رجلا مذاء فقال لي رسول صلي الله عليه وسلم الله إذا رأيت المذي فاغسل ذكرك وتوضأ وضوءك للصلاة و إذا فضخت الماء فاغتسل .رواه النسائي بسند صحيح (193)

যার সারমর্ম হলো যখন পানি উত্তেজনার সাথে (টপকিয়ে) পড়বে তখন গোসল ফরজ হবে।

 ফাতাওয়ায়ে তাতারখানীয়াতে আছে

لمافی الفتاوٰی التاتارخانیۃ (۱۵۲/۱): أسباب الغسل ثلاثۃ الجنابۃ والحیض والنفاس۔

যার সারমর্ম হলো ৩ টি কারনে গোসল ফরজ হয়।

জানাবত, হায়েয, নিফাস।

দুই. স্ত্রী সহবাস করা। সহবাসের ক্ষেত্রে স্ত্রীর যৌনাঙ্গে পুরুষাঙ্গের সর্বনিম্ন সুপারি পরিমাণ অংশ প্রবেশ করালেই উভয়ের ওপর গোসল ফরজ হয়ে যাবে, চাই বীর্যপাত হোক বা না হোক। (বুখারি, হা. ২৯১, মুসলিম, হা. ৩৪৩)

হাদীস শরীফে এসেছে  

عن عائشة رضي الله عنها قالت : قال رسول صلي الله عليه وسلم الله : ( إذا جاو ز الختان الختان فقد وجب الغسل )رواه ابن حبان بسند صحيح ( 1177)

যার সারমর্ম হলো রাসুল সাঃ বলেছেন   যখন পুরুষের লিঙ্গ মহিলার লজ্জাস্থানে প্রবেশ করে,তখন গোসল ফরজ হয়ে যাবে। 

অন্যত্রে এসেছে

عن أبي هريرة رضي الله عنه عن النبي صلي الله عليه وسلم قال : إذا جلس بين شعبها الأربع وأجهد نفسه فقد وجب الغسل أنزل أو لم ينزل. رواه أحمد بسند صحيح (8557)

রাসুল সাঃ বলেছেন যে  যখন পুরুষ মহিলার চারযানুর মাঝে বসে সহবাসের চেষ্টা করবে,তখনই গোসল ফরজ হয়ে যাবে, বির্যপাত হোক বা না হোক।    

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছে 

وفی الھندیۃ(۱۵/۱): الإیلاج فی أحد السبیلین اذا تواترت الحشفۃ یوجب الغسل علی الفاعل والمفعول بہ أنزل أولم ینزل۔

স্ত্রীর যৌনাঙ্গে পুরুষাঙ্গের সর্বনিম্ন সুপারি পরিমাণ অংশ প্রবেশ করালেই উভয়ের ওপর গোসল ফরজ হয়ে যাবে, চাই বীর্যপাত হোক বা না হোক।

তিন. নারীদের হায়েয (ঋতুস্রাব) এবং নেফাস (সন্তান প্রসবোত্তর স্রাব) বন্ধ হওয়ার পরও গোসল ফরজ। (রদ্দুল মুহতার ১/১৬৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

১. উত্তেজনার সাথে বীর্যপাত হলেই গোসল ফরজ হবে অন্যথায় হবে না। বীর্য বের হওয়ার সময় উত্তেজনা থাকতে হবে, বীর্য তার নিজ স্থান থেকে বের হওয়ার সময় উত্তেজনা থাকলেই গোসল ফরজ হবে। যদিও লিঙ্গ থেকে বের হওয়ার সময় উত্তেজনা না থাকে। আরো জানুন: https://ifatwa.info/45373/?show=45373#q45373

২. শরীয়তের বিধান মতে পূর্ণ পর্দা মেনে পর্দার আড়ালে থেকে মহিলারা পর পুরুষদের সাথে প্রয়োজনীয় কথা বলতে পারবে। তবে অপ্রয়োজনে কথা বলতে এবং আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে। সুতরাং দৃষ্টি অবনত করে পর্দার যাবতীয় শর্ত মেনে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু কথা বললে জায়েয হবে বলে। অন্যথায় জায়েয হবে না। আরো জানুন: https://ifatwa.info/84525/?show=84525#q84525

৩. অনুমতি ছাড়া উক্ত কক্ষে প্রবেশ করা জায়েয নেই। ফেতনার আশংকা না থাকলে সাময়িক ভাবে অবস্থান করা ও কথা বার্তা বলা জায়েয। কিন্তু একজন মায়ের জন্যও সাবালক বিপরীত লিঙ্গের সন্তানাদির পাশে ঘুমানো কখনো উচিৎ হবে না। যদিও নিজে নিজে মনে করা হোক যে, ফিতনার আশংকা নেই। কেননা শয়তান কাকে কখন ধোকা দিবে বলা যায় না।

এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানুন:

https://www.ifatwa.info/757

  https://www.ifatwa.info/26105/

৪. সুদী কাজে সহায়তা করা জায়েয হবে না। যেহেতু সুদ আদান প্রদান সহ সুদের সাথে সংশ্লিষ্ট যাবতীয় জিনিষ হারাম।  আরো জানুন: https://ifatwa.info/79343/

৫. বাবার রেখে যাওয়া ঋণ ছেলে যদি পরিশোধ করে দেয় এবং বাবার জন্য দোয়া ও ইস্তেগফার করতে থাকে তাহলে আশা করা যায় যে, আল্লাহ তায়ালা তার পিতার গুনাহ মাফ করে দিবেন ইনশাআল্লাহ। আরো জানুন: https://ifatwa.info/35794/

৬. এই মর্মে কোন কথা কুরআন ও সুন্নাহে পাওয়া যায়না। এটি একটি ভিত্তিহীন কথা।

৭. জ্বী না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...