আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
142 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (102 points)
আসসালমুআলাইকুম।

https://ifatwa.info/27029/

এটা আমার আগের প্রশ্ন ছিল

এখানে আপনি উত্তর দিয়েছেন আমার ঈমান ঠিক থাকবে।

তাহলে কি শুধু তওবা করলেই হবে? ইমান নবায়ন করতে হবে না?


আমি এক বছর আগে একটা গেম খেলেছিলাম সেখানে গেমের ক্যারেক্টার মন্দির গির্জায় যায়।সেই ক্যারেক্টার বিধর্মীদের মত একাধিক ঈশ্বরে বিশ্বাস করে।অর্থাৎ শিরকী বিশ্বাস করে।আমি এগুলো অন্তরে কখনোই বিশ্বাস করি নাই।ওই গেম আমি অনেক আগেই ডিলেট করে দিয়েছিলাম।এখন ওই গেম খেলায় কি আমার ঈমান থাকবে?আমি সতর্কতার জন্য কালেমা শাহাদত পরে নিয়েছি আর কোনো সমস্যা হবে?


নামাযে সিজদার সময় সামনে কোনো বস্তু রাখলে যেমন অনেকসময় মাথার টুপি খুলে যায় আর তা সামনে থাকা অবস্হায় সিজদা করা হয়।নামাজে মূলত নিয়ত থাকে আল্লাহ্ কে সিজদা করা।তাও যদি সামনে কোনো বস্তু থাকে তবে কি শিরক হবে?


আল্লহ নাকি আল্লাহ কোনটি সঠিক? আরবীতে তো আল্লহ হয় কিন্তু আমরা তো বাংলায় বলি আল্লাহ এক্ষেত্রে সঠিক কোনটি?

আল্লাহর নাকি আল্লহর নাকি আল্লহ এর
কোন উচ্চারণটা সঠিক?

এতদিন যদি ভুল উচ্চারণ করে থাকি তাহলে কি শিরক অথবা কোনো গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

https://ifatwa.info/27029/ আমরা উক্ত ফতওয়া বলেছিলাম যে আপনার ঈমান ঠিক আছে।কারণ,কাউকে বেঈমান, কাফের বলা বা মুশরিকদের বলা খুব স্পর্শ কাতর বিষয়।
কাফের বলার ক্ষেত্রে উসূলঃ
আল্লামা মোল্লা আলী কারী রহঃ শরহে ফিক্বহুল আকবারে বলেন-

ان المسئلة المتعلقة بالكفر اذا كان له تسع وتسعون احتمالا للكفر واحتمال واحد فى نفيه فالاولى للمفتى والقاضى ان يعمل بالاحتمال النافى، لان الخطا فى ابقاء الف كافر اهون من الخطاء فى افناء مسلم واحد، (شرح الفقه الاكبر-199

কুফরী সম্পর্কিত বিষয়ে, যখন কোন বিষয়ে ৯৯ ভাগ সম্ভাবনা থাকে কুফরীর, আর এক ভাগ সম্ভাবনা থাকে, কুফরী না হওয়ার। তাহলে মুফতী ও বিচারকের জন্য উচিত হল কুফরী না হওয়ার উপর আমল করা। কেননা ভুলের কারণে এক হাজার কাফের বেচে থাকার চেয়ে ভুলে একজন মুসলমান ধ্বংস হওয়া জঘন্য। {শরহু ফিক্বহুল আকবার-১৯৯}
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি যদি (অন্যায়ভাবে) তার মুসলমান ভাইকে ‘কাফির’ বলে, নিঃসন্দেহে তাদের যেকোনো একজনের প্রতি কুফরি আপতিত হবে। তার কথায় বাস্তবতা না থাকলে কুফরি তার নিজের দিকেই বর্তাবে।’ (বুখারি : ২/৯০১, মুসলিম : হাদিস ১১১)

এই হাদিস থেকে স্পষ্টভাবে জানা যায়, অকাট্য প্রমাণ ছাড়া কোনো মুসলমানকে ‘কাফির’ বলা হারাম। এমনকি অজ্ঞতাবশত কেউ শরিয়তের কোনো বিধান অস্বীকার বা বিরোধিতা করলেও তার বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে হবে। (মুখতাসারু ফতোয়া মিসরিয়া : ৫৭২; আল আওয়াসেম : ৪/১৭৪)

আল্লামা শামি (রহ.) লিখেছেন, ‘যে ব্যক্তি রসিকতা করে কিংবা খেলতামাশাচ্ছলে কুফরি শব্দ উচ্চারণ করে, সব আলেমের ঐকমত্যে সে কাফির হয়ে যাবে।’ (ফতোয়ায়ে শামি : ৪/২২৪)

ফতোয়ায়ে আলমগিরিতে বিষয়টি আরো সুন্দরভাবে এসেছে—‘ব্যঙ্গবিদ্রুপকারী যদি শরিয়তের কোনো বিধানকে হালকা মনে করে উপহাস করে এবং কুফরি শব্দ ব্যবহার করে, তাহলে সে কাফির হয়ে যাবে, যদিও আন্তরিক বিশ্বাস এর বিপরীত হয়।’ (ফতোয়ায়ে আলমগিরি : ২/৩৭৬)
★ ১.আপনি যেহেতু শাহাদাত পড়েছেন ও তওবা করেছেন বিধায় আপনার ঈমানে সমস্যা নেই বলে আশা যায়।তবে সন্দেহ হলে পুনরায় শাহাদাত পড়বেন ও তওবা করবেন এবং এজাতীয় কাজ পরবর্তীতে যেন না হয়ে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন।
২.জ্বী না শিরক হবে না।
৩,৪,৫. আল্লাহ শব্দটি মূলত আরবী যা আরবী তাজবিদ মতে একটু মোটা করে পড়তে হয়( আল্লহ এর মত)।কিন্তু আল্লাহ বা আল্লহ উভয় শব্দ দ্বারা যেহেতু শুধু আমাদের  সৃষ্টিকর্তা ও রবকেই বুঝায় বিধায় তা শিরক হবে না।

(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...