আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
321 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম
যখন আমার বয়স 12 বছরের একটু বেশি(ছেলে)। তখন আমার বয়ঃসন্ধিকাল শুরু হয়েছিল। তো আমি আমার সাত বছরের কাজিন(মেয়ে) এর লজ্জাস্থান স্পর্শ করি(কয়েক সেকেন্ড) দুই থেকে তিনবার। প্রথমের দিকে দুই-তিনবার আমি শুধু দেখেছিলাম(মাত্র ১ মিনিট মতো) কিন্তু স্পর্শ করিনি। এরপর আমার মনে হচ্ছিলো আমি ভূল করছি।তখন ছোটবেলায় আমি আল্লাহর কাছে তওবা করি। এরপর আর এই কাজ কোনদিন করিনি। তখন আমার এত জ্ঞান ছিল না। আমি জানতাম না এটা অনেক বেশি পাপ। আর আমি খুব ছোটবেলা থেকে নামাজ দোয়া পড়ি। কিন্তু হঠাৎ শরীরের পরিবর্তন হলে কেমন করে নিজেকে কন্ট্রোল করতে হবে এসব বিষয়ে বাসায় কোনদিন বলেনি। একাকী মেয়েদের সাথে থাকা যাবে না এটাও বলেনি ।না হলে এত কিছু হত না। যেহেতু আমাদের বাসা পাশাপাশি ছিল আমরা যেহেতু একসাতে সময় কাটাতাম। তাই সব কিছু হঠাৎ করে হয়ে গেছিল। এরপর আল্লাহর কসম আমি আর কোনদিন করিনি।
এখন আমার বয়স 19। এখনো আমার গিলটি ফিল হয়।
ঘটনাটা যে বছর(২০১৫সালে) এর পরের বছর আমরা অন্য জায়গায় চলে যায়। কিন্তু যখনই আমি ওদের বাসায় বেড়াতে যায়। দেখি আমার সাথে ওর আচরণ সবকিছু অন্যান্য কাজিন দের মত নর্মাল। মনে হয় ওর সাথে যা হয়েছে সে বুঝতে পারেনি। না হয় সে ভুলে গিয়েছি। ওদের বাসায় গেলে আমার পাশে বসে কথা বলে। নর্মাল কাজিনদের মত।
ওই কয়েকবার ঘটনার পর আমি ওর সাথে আর কোনদিন ওরকম করিনি।
এখন আমার প্রশ্ন আমাকে ওর কাছেও মাফ চাওয়া লাগবে? নাকি শুধু আল্লাহর কাছে তওবা করেছি এটাই যথেষ্ট?
এখন ওর কাছে যদি আমি মাফ চাই তাহলে আমাদের নরমাল কাজিনের সম্পর্কটা নষ্ট হবে যদি আমি বলি আমি কি করেছি আর ক্ষমা চায়। আর হয়তো জানার পর ও ডিপ্রেশনে ভুগতে পারে।
এখন আমার প্রশ্ন আমার কি ওর কাছে ক্ষমা চাওয়া লাগবে?

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তওবার মাধ্যমে সকল গোনাহই ক্ষমা হয়ে যায়।

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

وَأَذَانٌ مِّنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ إِلَى النَّاسِ يَوْمَ الْحَجِّ الْأَكْبَرِ أَنَّ اللَّهَ بَرِيءٌ مِّنَ الْمُشْرِكِينَ ۙ وَرَسُولُهُ ۚ فَإِن تُبْتُمْ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ وَإِن تَوَلَّيْتُمْ فَاعْلَمُوا أَنَّكُمْ غَيْرُ مُعْجِزِي اللَّهِ ۗ وَبَشِّرِ الَّذِينَ كَفَرُوا بِعَذَابٍ أَلِيمٍ [٩:٣] 

আর মহান হজ্বের দিনে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে লোকদের প্রতি ঘোষণা করে দেয়া হচ্ছে যে, আল্লাহ মুশরেকদের থেকে দায়িত্ব মুক্ত এবং তাঁর রসূলও। অবশ্য যদি তোমরা তওবা কর, তবে তা, তোমাদের জন্যেও কল্যাণকর,আর যদি মুখ ফেরাও,তবে জেনে রেখো, আল্লাহকে তোমরা পরাভূত করতে পারবে না। আর কাফেরদেরকে মর্মান্তিক শাস্তির সুসংবাদ দাও। [সূরা তওবা-৩] 

إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ [٢:٢٢٢

নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন। [বাকারা-২২২] 

إِنَّمَا التَّوْبَةُ عَلَى اللَّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِنْ قَرِيبٍ فَأُولَٰئِكَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ ۗ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا [٤:١٧] وَلَيْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ حَتَّىٰ إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ إِنِّي تُبْتُ الْآنَ وَلَا الَّذِينَ يَمُوتُونَ وَهُمْ كُفَّارٌ ۚ أُولَٰئِكَ أَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا [٤:١٨

অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন,যারা ভূলবশতঃ মন্দ কাজ করে,অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে; এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী,রহস্যবিদ। আর এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে,এমন কি যখন তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু উপস্থিত হয়,তখন বলতে থাকেঃ আমি এখন তওবা করছি। আর তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। {সূরা নিসা-১৭-১৮}

عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «التَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ، كَمَنْ لَا ذَنْبَ لَهُ»

হযরত ইবাদা বিন আব্দুল্লাহ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, গোনাহ থেকে তওবাকারী গোনাহ করে নাই ব্যক্তির মত হয়ে যায়। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৪২৫০] 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি তওবার সমস্ত শর্ত মেনে খালেছ দিলে আল্লাহর কাছে তওবা করেন,তাহলে আল্লাহ তায়ালা আপনার তওবা কবুল করবেন,ইনশাআল্লাহ। 
আপনার উক্ত গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।
কাজিনকে বিষয়টি সম্পর্কে জানানো যাবেনা।    
.
তওবার পদ্ধতি সম্পর্কে  বিস্তারিত জানুনঃ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...