আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
211 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
কবীরা গুনাহকারীর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে, যা আগে আমাদের সমাজে কল্পনাও করা যেতো না৷ যেমন ছেলেদের হাফপ্যান্ট পরা, নারীরা নিজেদের সৌন্দর্য পরপুরুষের সামনে প্রকাশ করে বেরানো , নারীরা নেতৃত্ব দেওয়ার চেষ্টা করা , বার বার মানব রচিত আইন তৈরি করা, ছেলেরা রাস্তায় প্রেমিকা নিয়ে ‌‌ঘুরা , selfie ছবি তোলা,  গানবাদ্যযন্ত্র শোনা , অশ্লীললতা  প্রমোট করা , নাটক, TikTok ও Likee ভিডিও তে নাচানাচি   ইত্যাদি ।
অথচ কবীরা গুনাহ থেকে বাঁচা ফরয৷ উপরে উল্লেখিত এসব করা  হারাম৷ আর এটা এমন হারাম যা গোপনে নয়, প্রতিনিয়ত জনসম্মুখে লিপ্ত হতে হয়৷

আমাদের মুসলিম সমাজের  মাঝে এই হারামে লিপ্ত হওয়ার প্রবণতা ও ঝোঁক বেড়েই চলেছে৷ কোনো গোনাহ প্রকাশ্য করতে করতে একসময় ভেতর থেকে অনুশোচনা বা অপরাধবোধের অনুভূতিটুকু বিনষ্ট হয়ে যায়৷
হাদীসে এসেছে রাসূল ﷺ বলেছেন- আমার উম্মতের সবাইকে মাফ করে দেয়া হবে, কেবল প্রকাশ্য গোনাহকারী ছাড়া৷ (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)

কারণ-
- প্রকাশ্য গোনাহকারীর মধ্যে অপরাধবোধের পরিবর্তে তার ভেতর গোনাহের উপর একপ্রকার অহংবোধ চলে আসে৷ যেন ড্যামকেয়ার ভাব৷

- প্রকাশ্য গোনাহকারী তার কৃত গোনাহের দিকে অপরকে আহবান করতে থাকে৷ মৌখিক আহবান নয়, নিজে আমলের মাধ্যমে নিরব আহবান৷

- প্রকাশ্য গোনাহকারী অপরকে তার গোনাহের সাক্ষী বানিয়ে নিলো৷ এক/দুইজন নয়, অসংখ্য সাক্ষী৷ এরা কিয়ামতের দিন তার বিপক্ষে তার কৃত গোনাহের সাক্ষী হবে৷

আল্লাহ আমাদের সব রকমের প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য গোনাহ থেকে হেফাজত করুন৷ আল্লাহুম্মা আমীন।

১.উপরের কথা কি সহীহ ?
২.প্রকাশ্য গোনাহকারীর মধ্যে অপরাধবোধের পরিবর্তে তার ভেতর গোনাহের উপর একপ্রকার অহংবোধ চলে আসে৷ যেন ড্যামকেয়ার ভাব৷
এ কারণে কি তার ঈমান ভেঙ্গে যেতে পারে কিভাবে কুরআন হাদীস অনুযায়ী ?

৩. কার‌ও গুনাহ করতে করতে কি  এর প্রতি  অনুসূচনা নষ্ট হয়ে যায় ? এতে কি ঈমান ভেঙ্গে যেতে পারে  কিভাবে ?

৪. কবীরা গুনাহ করতে করতে ঈমান হারানোর প্রকিয়া কিভাবে হয় বিস্তারিত কুরআন হাদীস অনুযায়ী ?

৫. কেউ যদি বার বার একই গুনাহ করে এবং গুনাহকে গুনাহ মনে করে বার বার ত‌ওবা করে । এতে কি তার ঈমান কমতে কমতে ঈমান ভেঙ্গে যাবে ? বার বার ত‌ওবা কবুল হচ্ছে ?

৬. উপরের হাদীস অনুযায়ী হাদীসে এসেছে রাসূল ﷺ বলেছেন- আমার উম্মতের সবাইকে মাফ করে দেয়া হবে, কেবল প্রকাশ্য গোনাহকারী ছাড়া৷ (সহীহ বুখারী ও মুসলিম) ।
-এখানে যারা গোপনে পাপ করে তাদের বিনা হিসাবে জান্নাতে দেওয়ার কথা বুঝানো হয়েছে ?
-আর পাপ  প্রকাশকারী যদি সূরা মূলক আমলকারী হয়  তাহলে কি মাফ করে দিবেন ?

৭.  প্রকাশ্য পাপ করলে কি অহংকার তৈরি হয় ?অহংকার করলে কি ঈমান ভেঙ্গে যেতে পারে  ? সহীহ হেকমত অনুযায়ী । যেমন ইবলিশ শয়তান এর ঈমান ভেঙ্গে গিয়েছিল ?

৮. সূরা মূলক আমলকারীর কি ঈমানের উপর মৃত্যুর তাওফীক হয় ?

৯. কুরআন হাদীস অনুযায়ী শহীদ কারা ? যাকে অন্যায় ভাবে হত্যা করা হলো , রোগে ও দুর্ঘটনায় মারা গেলে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে তারা কি শহীদ ? যারা কি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে তাদের সমান মর্যাদা ?

১০. উদাহরণ ১০০ আলেমের মধ্যে কিছু  আলেম যদি কাউকে কাফের ফতোয়া দেয় ইজতিহাদি এ ফতোয়া কি মানা যাবে ? ফতোয়া ভুল হলে যে মানলো তার কি গুনাহ হবে ? না যে ফযীলত আছে সে ফযীলত পাবে ?

১১. YouTube channel এ অনেক ভালো ইসলামিক ভিডিও দেয় । তারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করে চেহারা না দেখিয়ে । এরা যদি কাউকে কাফের ফতোয়া দেয় সে হিসেবে আমরা কি কাউকে কাফের বলতে পারব ? যে ফতোয়া দেয় তাকে চেনা কি জরুরী ?

1 Answer

0 votes
by (709,320 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) জ্বী, উপরোক্ত কথা সত্য।

(২) প্রকাশ্য গোনাহকারীর নিয়তে যদি এমনটা থাকে যে, এই গোনাহের কাজ হালাল, এজন্য আমি এই গেনাহের কাজ করছি, তাহলে এর কারণে ঐ ব্যক্তি কাফির সাব্যস্ত হবে। আর যদি ঐ ব্যক্তি গোনাহকে হালাল মনে না করে, তবে সে কাফির হবে না।

(৩) জ্বী, একথা সত্য যে, গোনাহ করতে করতে করতে এক সময় গোনাহের অনুসূচনা চলে যায়। তবে এ জন্য কেউ কাফির হবে না।

(৪)কবিরা গোনাহ করতে করতে করতে হয়তো একদিন সে কুফরিকে আপন করে নিতে পারে। এটাই উদ্দেশ্য।

(৫) ঈমান কমতে কমতে যে ভেঙ্গে যাবে, তা নয় বরং আশংকা থাকে ভেঙ্গে যাবার।

(৬) গোপনে গোনাহকারী যদি তাওবাহ করে, তাহলে তাকে মাফ করে দেয়া হবে। আর প্রকাশ্য গোনাহ কারী যেহেতু তাওবাহ করবে না, কেননা সাধারণত প্রকাশ্যে গোনাহকারীর তাওবাহ নসীব হয় না, তাই সে মাফ পাবে না। হ্যা, প্রকাশ্য গোনাহকারী তাওবাহ করে নিলে সে অবশ্যই ক্ষমাপ্রাপ্ত হবে।

(৭) জ্বী, প্রকাশ্যে গেনাহ করলে অহংকারবোধ চলে আসে।
(৮) সেটা আল্লাহই ভালো জানেন।

(৯) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1093

(১০) জ্বী, ইজতেহাদি ভুল হতে পারে।

(১১) যিনি ফাতাওয়া দিবেন, তার ব্যাকগ্রাউন্ড দেখতে হবে।তার ঈমান আমল সম্পর্কে সন্তুষ্ট জনক বিবরণ থাকতে হবে।নতুবা তাদের ফাতাওয়া গ্রহণযোগ্য হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (709,320 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 164 views
...