আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
476 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (7 points)
ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্সসহ ইসলামিক নামধারী যত লাইফ ইন্সুরেন্স আছে এগুলোতে চাকুরি করা হালাল হবে কি না? বিন্তারিত জানালে উপকৃত হতাম।

আমার দ্বীতিয় প্রশ্ন হচ্ছে, ইসলামিক  লাইফ ইন্সুরেন্সগুলোতে ইন্সুরেন্স করা জায়েজ কি না?

1 Answer

0 votes
by (709,320 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1204 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
জীবন বীমা নাজায়েয ও হারাম। কেননা কম্পানির পক্ষ্য থেকে মাসিক কিস্তিতে যে টাকা উসূল করা হয়, সেটা মূলত কম্পানির নিকট ঋণ হিসেবে থাকে। এবং পরবর্তীতে এ জমাকৃত টাকা তথা ঋণের বিপরিতে যে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করা হয়,সেটা সুদ। আর সুদ হারাম।দ্বিতীয়ত বীমার বিষয়টা শর্ত তথা গ্রাহকের কোনো অঘটনের সাথে চুক্তিবদ্ধ। আর শর্তের সাথে কোনো ঋণের আদাণ-প্রদাণ জায়েয না বরং হারাম।তৃতীয়ত,বীমার টাকা দেড়ীতে গ্রাহকের হস্তগত হওয়ার শর্ত থাকে।আর ঋণের মধ্যে শর্তের মাধ্যমে দেড়ীতে লেনদেনের সমাপ্তি বিশুদ্ধ নয়।তাছাড়া বীমা কম্পানি গ্রাহকের নিকট থেকে কিস্তিতে টাকা তুলে সেই টাকা দিয়ে সুদি লেনদেনে জড়িয়ে থাকে।সুতরাং এসমস্ত কারণ বিবেচনায় ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, জীবন বীমা করা এবং বীমা কম্পানিতে চাকুরী করা জায়েয হবে না।(আহসানুল ফাতাওয়া-৭/২৪)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বীমা সুদ এবং জোয়ার উপর নির্ভরশীল হওয়ার দরুণ বর্তমানে প্রচলিত সকল প্রকার বীমাই হারাম।তবে সরকারের পক্ষ্য থেকে যেই সমস্ত বীমার করার জন্য পাবন্দী রয়েছে,যেমন মটর বীমা ইত্যাদি।সেই সমস্ত বীমা ঐ শর্তে করা যাবে যে,বীমা কম্পানি থেকে পরবর্তীতে শুধুমাত্র জমাকৃত টাকাই নিতে হবে।অতিরিক্ত কোনো টাকা বা সুবিধা গ্রহণ করা যাবে না।নিলেও তা সদকাহ করতে হবে।(ফাতাওয়ায়ে উসমানি-৩/৩১৪)

যতপ্রকার বীমা রয়েছে, তা যদি সরকারি বাধ্যতামূলক না হয়,তাহলে সকল প্রকার বীমাই নাজায়েয ও হারাম, এবং সেগুলোতে চাকুরী করাও হারাম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (709,320 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...