আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
117 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (7 points)
আমার পরিচিত একজন ব্যাংক ঋণগ্রস্থ।  উনার অন্য একজন আত্মীয় ব্যাংকে টাকা রেখে সুদ খায় কারণ তাদের উপার্জন করার মতো কেউ নেই।  এখন যদিও তারা সুদের ভয়াবহতা বুঝতে পেরেছে কিন্ত ব্যাংকে রাখা তাদের টাকা কোনটা সুদ কোনটা আসল আর বুঝার উপায় নেই৷
ব্যাংকে ঋণগ্রস্থ উনি অপরজনকে তার একটা প্রপার্টি বিক্রির প্রস্তাব দেই৷ যার ফলে দুইপক্ষই ব্যাংকের সুদের কারবার থেকে বেরিয়ে আসে।
দ্বিতীয়জনের টাকায় সুদের টাকা ও আছে। সে টাকায় সে সম্পদ কিনে। এইক্ষেত্রে দ্বিতীয়জনের কোন গুনাহ কি প্রথমজন বহন করবে? জেনেশুনে সুদি ব্যক্তির কাছে প্রোপার্টি বিক্রি করেছে এইজন্যে?  
প্রথমজন তার প্রোপার্টি বিক্রি  করে ব্যাংক লোন পরিশোধ করে অবশিষ্ট টাকায় উমরাহ করতে চাচ্ছে। উক্ত টাকায় তার উমরাহ শুদ্ধ হবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ যদি পুরাটাই হারাম হয়,তাহলে সেটা দিয়ে কোনো কিছু ক্রয় করা জায়েজ নেই। 
বরং তা তার মালিকের কাছে ফেরত দিতে হবে,অথবা তার মালিকের ছওয়াবের উদ্দেশ্যে এটা ছদকাহ করে দিবে।
আর যদি কাহারো হারাম সম্পদের সাথে হালাল সম্পদের মিশ্রণ থাকে,তাহলে সেই সম্পদ দিয়ে কোনো কিছু ক্রয় করা জায়েজ আছে। 
সেটা দিয়ে যাহা কিছু ক্রয় করবে,সেটা হালাল হবে।
তবে এক্ষেত্রেও সতর্কতা মূলক উক্ত সম্পদ ছদকাহ করে দেওয়াই ভালো।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু ২য় জনের টাকায় কিছু টাকা সূদের টাকা বিদ্যমান আছে,যার পুরো টাকা যেহেতু সূদ নয়,তাই সেই টাকা দিয়ে উক্ত প্রোপার্টি ক্রয় করা জায়েজ আছে। 
১ম জন এক্ষেত্রে কোনো গুনাহ বহন করবেনা।

উক্ত টাকায় ১ম জন যে উমরাহ করতে চাচ্ছে,এই উমরাহ ছহীহ হবে।
তবে তার জন্য উত্তম হলো অন্য কাহারো থেকে ঋণ নিয়ে উমরাহ করতে যাওয়া। 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে   
لما قال العلامۃ ابن عابدینؒ: والحاصل ان علم ارباب الاموال وجب ردہ علیہم والاّ فان علم عین الحرام لایحل لہ ویتصدق بہٖ بنیۃ صاحبہ وان کان مالاً محتلطاً مجتمعًا من الحرام ولایعلم اربابہ ولاشیٔ منہ بعینہ حل لہٗ حکمًا والاحسن دیانۃ التنزہ عنہ۔ (ردالمحتار:ج؍۵،ص؍۹۹، مطلب فی من ورث مالاً حراماً)
যার সারমর্ম হলো  যদি হারাম সম্পদের সাথে হালাল সম্পদ মিশ্রণ থাকে,তাহলে উক্ত সম্পদ দিয়ে কোনো কিছু ক্রয় করা জায়েজ হবে।
তবে ভালো হলো তা থেকে বিরত থাকা।      
,
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছে  
إذا أراد الرجل أن یحج بمال حلال فیہ شبہۃ فإنہ یستدین للحج ویقضي دینہ من مالہ۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۲۲۰)

যার সারমর্ম হলো সে ঋন নিয়ে হজ্জ করবে,আর উক্ত টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করবে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...