আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+4 votes
371 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আমি কারো কোনো উপকার করে দিলাম,  কোনো চুক্তি নেই যে টাকা দিতে হবে বা এতো দিতে হবে, কাজ শেষে যদি সে নিজে থেকে খুশি হয়ে আমাকে কিছু টাকা হাদিয়া দেয় যে যার খুশি মতো জোর করে তাহলে কি সেটা ঘুষের পর্যায় পরবে????

1 Answer

+1 vote
by (712,400 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনি যদি কেনো চাকুরীতে থাকেন, এবং এবং আপনার দায়িত্বের আওতাধীন কোনো কাজ আপনি তরে থাকেন, এজন্য কেউ খুশী হয়ে যদি আপনাকে কিছু দিয়ে দেয়, তাহলে তা জায়েযই হবে। তবে টাকা পাওয়ার নিয়তে বিত্তবানদের কাজ আগ্রহের সাথে করা আর গরীবদের কাজে মনোযোগী না হওয়া কখনো কাম্য হতে পারে না।এবং তা জায়েযও হবে না।

যদি আপনার দায়িত্বের আওতাধীন কোনো কাজ না হয়ে থাকে, তাহলে আপনি অবশ্যই টাকার বিনিময়ে চুক্তি করে করতে পারবেন।

ইমাম বোখারী রাহ বলেনঃ
" ﺑَﺎﺏ ﺃَﺟْﺮِ ﺍﻟﺴَّﻤْﺴَﺮَﺓِ . ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﺮَ ﺍﺑْﻦُ ﺳِﻴﺮِﻳﻦَ ﻭَﻋَﻄَﺎﺀٌ ﻭَﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢُ ﻭَﺍﻟْﺤَﺴَﻦُ ﺑِﺄَﺟْﺮِ ﺍﻟﺴِّﻤْﺴَﺎﺭِ ﺑَﺄْﺳًﺎ .ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺍﺑْﻦُ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ : ﻻ ﺑَﺄْﺱَ ﺃَﻥْ ﻳَﻘُﻮﻝَ : ﺑِﻊْ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟﺜَّﻮْﺏَ ﻓَﻤَﺎ ﺯَﺍﺩَ ﻋَﻠَﻰ ﻛَﺬَﺍ ﻭَﻛَﺬَﺍ ﻓَﻬُﻮَ ﻟَﻚَ .
ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺍﺑْﻦُ ﺳِﻴﺮِﻳﻦَ : ﺇِﺫَﺍ ﻗَﺎﻝَ ﺑِﻌْﻪُ ﺑِﻜَﺬَﺍ ﻓَﻤَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻣِﻦْ ﺭِﺑْﺢٍ ﻓَﻬُﻮَ ﻟَﻚَ ، ﺃَﻭْ ﺑَﻴْﻨِﻲ ﻭَﺑَﻴْﻨَﻚَ ﻓَﻠَﺎ ﺑَﺄْﺱَ ﺑِﻪِ .ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻤُﻮﻥَ ﻋِﻨْﺪَ ﺷُﺮُﻭﻃِﻬِﻢ)
তরজমাঃইবনে সিরীন, আত্বা,ইবরাহিম,হাসান, রাহ এর মত যুগশ্রেষ্ট ইমামগণ দালালী ব্যবসায় শরয়ী কোনো সমস্যা মনে করেন না।ইবনে আব্বাস রাহ,বলেনঃকোনো অসুবিধা নেই এরকম কোনো চুক্তিতে যে, কেউ কাউকে বলল,তুমি এই মাল এত টাকায় বিক্রি কর,এর(পুর্ব নির্ধারিত মূল্যর) চেয়ে বেশী যা লাভ হবে তা তোমার।ইবনে সিরীন রাহ বলেনঃযখন কেউ কাউকে বললঃতুমি এই মাল এত টাকায় বিক্রি কর, যা লাভ হবে অথবা এর চেয়ে বেশী যা লাভ হবে, তা তোমার অথবা তা আমার এবং তোমার মধ্যে বন্টিত হবে।এরকম চুক্তিতে কোনো সমস্যা নেই।নবী কারীম সাঃ বলেনঃ-মুসলমানগন তাদের  কৃতচুক্তির আওতাধীন।অর্থাৎ শরীয়ত বিরোধী চুক্তি না হলে তা অবশ্যই পূরণীয় এবং পূরণ করতে হবে,এবং দালালীও একটি চুক্তি বিধায় তা বৈধ ও পূরণীয় ।(সহীহ বোখারী-৩/৯২, হাদীস নং ২২৭৪ এর শিরোনাম) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/44


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...