আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
95 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
edited by
১)ধরুন,আল্লাহর কাছে দুয়া করলাম,"আপনি আমার জন্য যা পছন্দ করেন তাই দিন"

তারপর আবার নিজের মনমত দুয়া করা শুরু করলাম যে "আল্লাহ আমার এটা লাগবে,ওটা লাগবে।"

একবার আল্লাহ কে বলছি তার যেমন ইচ্ছা সেভাবে আমার জীবন সাজিয়ে দিতে,কিন্তু একি সাথে আমার ইচ্ছাও পুরন করতে বলছি।

এখানে কি আমার ইচ্ছাকে আল্লাহর ইচ্ছার সমকক্ষ করা হচ্ছে??

২)ধরুন,যখনই আমার মন খারাপ থাকে, তখন আমি আমার প্রিয় মানুষের ফেসবুক প্রোফাইল ঘুরে দেখি।

 এই যে আমি আমার মন ভালো করার উপায় হিসেবে এটাকে গ্রহণ করতেছি, এতে কি শিরক হবে??

কেননা, আল্লাহ বলেন, "তিনিই হাসান,তিনিই কাদান"

আমি যে আমার মন ভালো করার জন্য প্রিয় মানুষের প্রোফাইল ঘুরে দেখছি এতে কি ওই মানুষ কে আমার মন ভালো করার মালিক মনে করা বুঝাচ্ছে??

৩)সেদিন মাংস দিয়ে খিচুড়ি খাচ্ছিলাম।

খাওয়া শেষ করে আরও মাংস খাইতে ইচ্ছা করছিল।

কিন্তু লজ্জা লাগছিল মাংস চাইতে।

তাই ভাব্ল যে আমি একটু খিচুড়ি নেই,
তাইলে মনে হয় মাংস দিবে।
তখন খিচুড়ি নিলাম, তারপর আম্মু মাংস দিল।
তখন আমার মনে হইল,আল্লাহ রিযিক দিচ্ছেন,এই কথা না ভেবে খিচুড়ি নেওয়া কেই মাংস পাওয়ার উপায় মনে করলাম এতে মনে হয় শিরক হবে।
তারপর খাবার খেয়ে ফেললাম।
এখন আমার প্রশ্ন, উক্ত ক্ষেত্রে কি শিরক হবে??
আর শিরক হইলে,শুধু তাওবা করলেই চলবে,নাকি বমি করে খাবারটা ফেলে দিতে হবে?

৪)ধরুন,একটা মেয়েকে ভালো লাগে।

ফেসবুকে কথা হয়।

আজকাল নামায পরতে গেলে ওর কথা মনে পড়ে। নামাযে অসুবিধা হয়।

তাই ওকে ব্লক করে দিলাম

এরপর একদিন কলেজে দেখা হইল।

তখন কেন ওকে ব্লক করলাম তা জানার জন্য জেদ করছিল।

তখন আমি বল্লাম যে,"আপনার জন্য হয়ত আমার মনে কিছুটা দূর্বলতা তৈরি হইছে

সেদিন নামাযের সময় আপনার কথা মাথায় আসছিল

অসুবিধা হচ্ছিল

তাই ব্লক দিছি।"

এতে কি শিরক হবে??

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


শিরক দুই প্রকার: এক. শিরকে জলী, দুই. শিরকে খফী। শিরকে জলী সবচেয়ে মারাত্মক। শিরকে জলীর অনেক প্রকার রয়েছে। 
যেমন ইবাদত, যা একমাত্র আল্লাহ তাআলার হক, তাতে আল্লাহ ছাড়া কাউকে শরীক করা, উপায়-উপকরণের ঊর্ধ্বের বিষয়ে গাইরুল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা, উপায়-উপকরণকে উপায়-উপকরণের সৃষ্টিকর্তার মান দেওয়া, গাইরুল্লাহকে উপকার ও ক্ষতির ক্ষমতাধারী মনে করা ইত্যাদি। 
,
কিছু বিষয় আছে এমন, যা তাওহীদ-পরিপন্থী তো নয়, তবে তা ‘তাওয়াক্কুলে’র সর্বোচ্চ স্তর থেকে নিম্নস্তরের। এ ধরনের বিষয়গুলোকে শিরক বলা স্পষ্ট ভুল। যে বিষয়ে যতটুকু কমতি আছে তাতে ততটুকু কমতির কথাই বলা উচিত। বাড়াবাড়ি করে বিদআতকে শিরক বলে দেওয়া অথবা তাওয়াক্কুলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের পরিপন্থী বিষয়কে তাওহীদের পরিপন্থী আখ্যা দিয়ে শিরক বানিয়ে দেওয়া ঠিক নয়।
,
শিরকের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন।
আল্লাহর কাছে সবচে’ ঘৃণ্য ও জঘন্যতম পাপ হল শিরক। 

আল্লাহ তাআলা নবীকে সতর্ক করে বলেছেন-
وَ لَقَدْ اُوْحِیَ اِلَیْكَ وَ اِلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِكَ  لَىِٕنْ اَشْرَكْتَ لَیَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَ لَتَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ.
নিশ্চয় আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি এই ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে, যদি আপনি শিরক করেন তাহলে অবশ্যই আপনার সকল আমল বরবাদ হয়ে যাবে এবং নিশ্চিত আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন। -সূরা যুমার (৩৯) : ৬৫

অন্যত্র আল্লাহ আরো বলেছেন-
اِنَّهٗ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَیْهِ الْجَنَّةَ وَ مَاْوٰىهُ النَّارُ.
আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। -সূরা মায়েদা (৫) : ৭২

আরেক আয়াতে আল্লাহ বলেছেন-
اِنَّ اللهَ لَا یَغْفِرُ اَنْ یُّشْرَكَ بِهٖ وَ یَغْفِرُ مَا دُوْنَ ذٰلِكَ لِمَنْ یَّشَآءُ وَ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدِ افْتَرٰۤی اِثْمًا عَظِیْمًا.
নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করা ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। এবং যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে এক মহাপাপ করে। -সূরা নিসা (৪) : ৪৮

আরো জানুনঃ 

*প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 


(০১)
না,সমকক্ষ করা হচ্ছেনা।
,
(০২)
এতে শিরক হবেনা।
তবে এ ছুরতে গায়রে মাহরামের প্রোফাইল দেখলে গুনাহ হবে । 
,
(০৩)
এতে শিরক হবেনা।
বমি করে খাবার ফেলে দিতে হবেনা।
,
(০৪)
না,শিরক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...