আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
141 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (47 points)
আসসালামু আলাইকুম শাইখ,


আমি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বি বি এ এর স্টুডেন্ট।  আমার গ্র‍্যাজুয়েশন শেষ হওয়ার পথে। আমার চাকরী করার ইচ্ছা নাই। তিবে এখন ইন্টার্নি করতে হবে। আমাদের বাধ্য হয়ে ছেলেদের সাথে কথা বলা লাগে। গ্রুপে কাজ করা লাগে। যা আমার একদম পছন্দ না। আমার প্রশ্নগুলো হচ্ছে-


১/ আমার কি গ্র‍্যাজুওয়েশিনের পর এমতাবস্থায় MBA করা জায়েজ হবে? যদি ট্যুর,  গ্রুপ ওয়ার্ক বাধ্যতামূলক থাকে?


২/ আমি একটা সরকারি অফিসে ইন্টারনি করতে যাচ্ছি ট্যুরিজমের। কিন্তু এখানেও গ্রুপ এর কাজ, ফ্রী মিক্সিং, প্রেজেন্টেশন। তাই এগুলা থেকে বাচতে কি আমি আমার ভাইয়ের ব্যাংক এ ইন্টার্নি করতে পারবো যদি সেখানে গিয়ে গিয়ে কাজ না করা লাগে আর ইন্টারনির ঝামেলা যাতে শেষ হয়ে যায়??

1 Answer

0 votes
by (63,560 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

দ্বীনি শিক্ষা হোক,বা দুনিয়াবি শিক্ষা হোক,ইসলামের বিধান হলো ছেলেরা ছেলেদের প্রতিষ্ঠানে এবং মেয়েরা মেয়েদের প্রতিষ্ঠানে পড়বে। বিশেষত মেয়েদের ক্ষেত্রে এর প্রতি সর্বোচ্চ লক্ষ রাখা ও গুরুত্ব দেয়া আবশ্যক। 

 

কেননাআল্লাহ তাআলা বলেন,

زُيِّنَ لِلنَّاسِ حُبُّ الشَّهَوَاتِ مِنَ النِّسَاء

মানবকূলকে মোহগ্রস্ত করেছে নারী…। (সূরা আলি ইমরান ১৪)

 

রাসুলুল্লাহ  বলেছেন,

مَا تَرَكْتُ بَعْدِي فِتْنَةً أَضَرَّ عَلَى الرِّجَالِ مِنْ النِّسَاءِ

আমি আমার পরে মানুষের মাঝে পুরুষদের জন্য নারীদের চাইতে অধিকতর ক্ষতিকর কোন ফিতনা রেখে যাই নি।(বুখারী ৪৮০৮ মুসলিম ২৭৪০)

 

ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমাতে এসেছে,

 فلا يجوز للمرأة أن تَدرس أو تعمل في مكان مختلط بالرجال والنساء ، ولا يجوز لوليها أن يأذن لها بذلك

সুতরাং মেয়েদের জন্য এমন প্রতিষ্ঠানে পড়া-লেখা কিংবা চাকরি করা জায়েয হবে না যেখানে নারী-পুরুষের সহাবস্থান রয়েছে এবং অভিবাকের জন্য জায়েয হবে না তাকে এর অনুমতি দেয়া।  (ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমা ১২/১৫৬)

 

 একান্ত অপারগ অবস্থায় বা বিকল্প কোন পথ না পেলে এসব প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করা জায়েয আছে। কেননাالضرورات تبيح المحظورات জরুরত নিষিদ্ধ কাজকে সিদ্ধ করে দেয়। (আলআশবাহ ওয়াননাযাইর ১/৭৮)

 

তবে সবোর্চ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরিযাতে পর্দা লঙ্ঘন বা আল্লাহর অসন্তুষ্টি মূলক কার্যক্রম সংঘটিত না হয়। কেননাআল্লাহ তাআলা বলেন,

فَاتَّقُوا اللَّهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ

অতএব তোমরা যথাসাধ্য আল্লাহকে ভয় কর। (সূরা তাগাবুন ১৬)

 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন

যতদিন পর্যন্ত এই দেশে পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে উলামায়ে কেরামগন কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেন।

 

১/ শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।

 

২/ পরিপূর্ণ পর্দা ও চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না। মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না। সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে। ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১;

 

সহ শিক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ 

https://www.ifatwa.info/434

 

 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

 

১. যতদিন পর্যন্ত এই দেশে পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে উপরোক্ত শর্তাদির সাথে উলামায়ে কেরামগন কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেন।

 

 . ব্যাংকে ইন্টার্নিতে যদি সুদী কারাবারের হিসাব বা সুদী কারবারের লেনদেন লিপিবদ্ধ করা লাগে তাহলে ব্যাংকে ইন্টার্নি করা আপনার জন্য জায়েজ হবে না। ব্যাংকে চাকরী করা সম্পর্কে আরো জানুন- https://ifatwa.info/22248/?show=22248#q22248

 

৩. আপনি যদি ফিতনার আশংকা দেখেন তাহলে পিতা মাতার হুকুম অমান্য করে লেখা পড়া ছেড়ে দেওয়া জায়েজ হবে। এতে আপনার কোন গুনাহ হবে না ইনশাআল্লাহকারণপর্দাগুনাহ ও ফিতনা থেকে বেঁচে থাকা আল্লাহ তায়ালার হুকুম। তাই পিতা মাতার হুকুম মানতে গিয়ে আল্লাহর হুকুম অমান্য করা জায়েজ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
আসসালামু আলাইকুম! আমি law নিয়ে পড়তে চাচ্ছি! law বিভাগের জন্য আলাদা কোনো মেয়েদের প্রতিষ্ঠান নেই! এই ক্ষেত্রে আমার করনীয় কি? আমি কি law পড়া বাদ দিয়ে অন্য কিছু নিয়ে পড়বো মহিলা কলেজ থেকে?  নাকি  নিজেকে সংযোত করে law নিয়েই পড়বো

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...