ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/7984 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
ٍعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَوْ يَعْلَمُ النَّاسُ مَا فِي النِّدَاءِ وَالصَّفِّ الأَوَّلِ، ثُمَّ لَمْ يَجِدُوا إِلَّا أَنْ يَسْتَهِمُوا عَلَيْهِ لاَسْتَهَمُوا، وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي التَّهْجِيرِ لاَسْتَبَقُوا إِلَيْهِ، وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي العَتَمَةِ وَالصُّبْحِ، لَأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا»
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আযানে ও প্রথম কাতারে কী (ফযীলত) রয়েছে, তা যদি লোকেরা জানত, কুরআহর মাধ্যমে নির্বাচন ব্যতীত এ সুযোগ লাভ করা যদি সম্ভব না হত, তাহলে অবশ্যই তারা কুরআহর মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিত। যুহরে সালাত (নামায/নামাজ) আউয়াল ওয়াক্তে আদায় করার মধ্যে কী (ফযীলত) রয়েছে, যদি তারা জানত, তাহলে তারা এর জন্য প্রতিযোগিতা করত। আর ইশা ও ফজরের সালাত (জামা’আতে) আদায়ের কী ফযীলত তা যদি তারা জানত, তাহলে নিঃসন্দেহে হামাগুঁড়ি দিয়ে হলেও তারা উপস্থিত হত।(সহীহ বোখারী-৬১৫,সহীহ মুসলিম-৪৩৭)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রথম কাতারের সওয়াব মূলত নামাযের জন্য চেষ্টা প্রচেষ্টার উপর নির্ভর করে।যে ব্যক্তি নামাযের মুস্তাহাব ওয়াক্তের শুরুতে তথা আযানের পূর্বে বা আযানের সাথে সাথেই মসজিদে যাবে,সে দ্বিতীয় তৃতীয় কাতারে দাড়ালেও প্রথম কাতরের সওয়াব পাবে।
আর যে মসজিদে মুসল্লির সংখ্যা কম থাকে,সে মসজিদে দেড়ীতে উপস্থিত হয়ে বা নামায শুরু হওয়ার পরে উপস্থিত হয়ে প্রথম কাতারে দাড়ালেও প্রথম কাতারের সওয়াব পাওয়া যাবে না।
সে হিসেবে আমরা বলতে পারি যে,কেউ মসজিদের প্রথম তলায় জায়গা না পেয়ে যদি দ্বিতীয় তলার প্রথম কাতারে নামাযে দাড়ায়,এবং প্রথম তলায় জায়গা না পাওয়ার কারণ মসজিদে দেড়ীতে উপস্থিত হওয়া হয়,তাহলে ঐ ব্যক্তি প্রথম কাতারের সওয়াব পাবেনা।
আর যদি মসজিদের মুসল্লির সংখ্যা এত অধিক হয় যে,নামাযের মুস্তাহাব ওয়াক্তের সূচনায় তথা আযান হওয়ার পূর্বে বা আযানের সাথে সাথেই মসজিদে উপস্থিত হয়েও কেউ প্রথম তলায় স্থান না পায়,তাহলে এমতাবস্থায় দ্বিতীয় তলার প্রথম কাতারে দাড়ালেও হাদীসে বর্ণিত প্রথম কাতারের সওয়াব পাওয়া যাবে।
(২)
https://www.ifatwa.info/1808 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
কাফফারা আদায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لاَ يُؤَاخِذُكُمُ اللّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ وَلَـكِن يُؤَاخِذُكُم بِمَا عَقَّدتُّمُ الأَيْمَانَ فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ ذَلِكَ كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْ وَاحْفَظُواْ أَيْمَانَكُمْ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অনর্থক শপথের জন্যে; কিন্তু পাকড়াও করেন ঐ শপথের জন্যে যা তোমরা মজবুত করে বাধ। অতএব, এর কাফফরা এই যে,(১) দশজন দরিদ্রকে খাদ্য প্রদান করবে; মধ্যম শ্রেনীর খাদ্য যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে দিয়ে থাক।(২)অথবা, তাদেরকে বস্তু প্রদান করবে অথবা, একজন ক্রীতদাস কিংবা দাসী মুক্ত করে দিবে।(৩) যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে না, সে তিন দিন রোযা রাখবে।.....এটা কাফফরা তোমাদের শপথের, যখন শপথ করবে। তোমরা স্বীয় শপথসমূহ রক্ষা কর এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।(সূরা মায়েদা-৮৯)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(২.১)
দশজন দরিদ্রকে খাদ্য প্রদান বলতে কত দিনের? এ সম্পর্কে কুরআন হাদীস নিরব? তবে ফুকাহায়ে কেরাম ইজতেহাদ করে বের করেছেন যে, একদিনের খাদ্য দিতে হবে।আর একদিনের মধ্য দুইবার খাদ্যর কথা কুরআন হাদীসে এসেছে।সেই হিসেবে বলা যায় যে, দুইবেলা আহার করাতে হবে।
(২.২)
বস্র কতটুকু? সে সম্পর্কে কুরআন নিরব। তবে ফুকাহায়ে কেরাম ইজতেহাদ করে বের করেছেন যে, একজন মানুষের সাধারণত দুইটি পোষাকের প্রয়োজন হয়,একটি লুঙ্গি/প্যান্ট /পায়জামা জাতীয়। আর অপরটি পাঞ্জাবি/শার্ট/টি শার্ট জাতীয়।
(২.৩)
একদিনের খাদ্যর মূল্যকে ই একটা ফিতরা সমপরিমাণ বানানো হয়েছে।যা ফুকাহাগণের ইজতেহাদ দ্বারা প্রমাণিত।