আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
123 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (18 points)
১)আমি গুনাহের তাওবা করলাম

অনুতপ্ত হইলাম,আর কোন দিন করব না বলে ওয়াদা করলাম
কিন্তু যেই কাজ করতে গেলে ওই গুনাহ হওয়ার সম্ভাবনা আছে সেই কাজ ছাড়লাম না

কিন্তু ওই কাজ করা অবস্থাতেও সবসম্অয় চেষ্টা করি ওই গুনাহ যাতে না হয়


তাওবা কি হবে?


২)ধরুন কাউকে শিরকি কথা বললাম মেসেঞ্জারে কথা বলার সময়।
এখন তাকে ব্লক করে তওবা করতে হবে?? নাকি শুধু তাওবা করলেই চলবে??


৩)


আমি একদিন বন্ধুদের সাথে র‍্যাকেট খেলছিলাম।
কর্ক মাটি থেকে তুলতে যাওয়ার জন্য নিচু হইলাম।
তখন মনে হল আমি কি অন্য কারো সামনে মাথা নত করলাম??
এতে মনে হয় শিরক হবে।
তখন আমি তওবা করলাম আর আল্লাহর কাছে বললাম যে আর কোনদিন রেকেট খেলব না।
রেকেট খেলা ছেড়ে দিলাম তাই একটু মন খারাপ লাগছিলো।
পরে একজন আলেমকে জিজ্ঞাস করলাম যে কর্ক তোলার সময় মাথা নিচু করলে এটা কি শিরক হবে??
সে বলল যে এটা শিরক না।
তখন আমি ভাবলাম তারমানে আমাকে আর ব্যাডমিন্টন খেলা বাদ দেওয়া লাগবে না।
তখন খুশি লাগলো।
এই যে কোন কাজকে শিরক মনে করার পর তওবা করলাম আর মনে করলাম যে আল্লাহ মাফ করে দিবেন। তাই শিরক নিয়ে আর দুঃখিত হইলাম না। কিন্তু পরে যখন জানলাম যে ওই কাজ শিরক না,তাই আমাকে র‍্যাকেট খেলা বাদ দেওয়া লাগবে না তাই খুশি হইলাম।
এতে কি শিরক হবে??


৪)ধরুন কোনো মুসলমানের ছেলে মুরতাদ হয়ে গেল
তখন তার সব বন্ধু তাকে ত্যাগ করল।


এরপর ওই ছেলে একসময় ঈমান আনল


কিন্তু ঈমান এনেই সে শান্ত ছিল না।

সে খুব বেশি খুশি ছিল না
সে চাচ্ছিল যে তার বন্ধুরা আবার ফিরে আসুক।


কিছুদিন পর তার বন্ধুরা আবার তার সাথে মিলামিশা আরম্ভ করল।

এবার সে অনেক সন্তুষ্ট হইল।।


এই যে এই লোক ইমান আনার চেয়ে বেশি খুশি হইল বন্ধুরা ফিরে আসায়,এতে কি শিরক হবে??
এই লোক এর করনিয় কি??


সে কি ওই বন্ধুদের সাথে বন্ধুত্ব রাখতে পারবে???


৫)শির্কের তওবা না করে অন্য কোন কাজে মনোনিবেশ করা কি শিরক??

1 Answer

0 votes
by (712,800 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) তাওবাহ কবুল হওয়ার জন্য সরাসরি গোনাহকে পরিত্যাগ করা শর্ত।সেই বৈধ কাজ যা করলে মানুষ গোনাহের দিকে ধাবিত হতে, প্রত্যেক তাওবাহকারীর উচিৎ,সেই বৈধ কাজকেও পরিত্যাগ করা। তবে যদি কেউ পরিত্যাগ না করে,তাহলেও তার তাওবাহ কবুল।

https://www.ifatwa.info/669 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
নু'মান ইবনে বশির বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি-
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,(কোনো জিনিষ)হালাল (হওয়া)পরিস্কার।(এবং কোনো জিনিষ) হারাম(হওয়া) ও পরিস্কার। হ্যা এ দুয়ের মধ্যে কিছু বিধান রয়েছে সাদৃশ্যপূর্ণ। যার সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষই জানেনা।যে ব্যক্তি সন্দেহপূর্ণ জিনিষ থেকে বেঁছে থাকল, সে যেন তার দ্বীন এবং ইজ্জতকে হেফাজত করে নিল। আর যে ব্যক্তি সন্দেহপূর্ণ জিনিষে পতিত হল, সে যেন হারামে পতিত হল। যেমন রাখাল ক্ষেতের দেয়াল ঘেষে পশু চড়ালো।এখানে সম্ভাবনা রয়েছে যে, পশু ক্ষেতে নেমে যাবে।
জেনে রাখ! প্রত্যেক বাদশারই একটি সীমান্তরেখা রয়েছে।এবং আল্লাহ যমীনে তার সীমারেখা হল,তার হারাম বিধি-বিধান।জেনে রাখ! শরীরে একটি মাংসপিণ্ড রয়েছে। যখন সেই মাংসপিণ্ড ভাল থাকে তখন সারা শরীর-ই ভাল থাকে।আর যখন সেই মাংসপিণ্ড নষ্ট হয়ে যায়,তখন সমস্ত শরীরই নষ্ট হয়ে যায়। সেই বস্তু হল,ক্বলব বা অন্তর।(সহীহ বুখারী-৫২)

(২)
শুধু তাওবাহ করলেই হবে।

(৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে শিরক হবে না।কেননা এখানে আপনি আল্লাহ ব্যতিত অন্য কাউকে সিজদা দেওয়ার নিয়তে মাথা নত করেননি।আর শিরক মূলত এটাই যে, আল্লাহ ব্যতিত অন্য কাউকে সম্মাণ প্রদর্শন বা কোনো জিনিষের ইবাদত করার মানসে মাথা নত করা।

(৪)
তার উচিৎ ছিল, ঈমানের কারণে বেশি খুশী হওয়া। বন্ধুদের জন্য এভাবে খুশী হওয়া যদিও উচিৎ নয়,তবে সে কাফির হবে না।

(৫)
শিরকের পর সাথে সাথেই তাওবাহ করা ওয়াজিব।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,800 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...