আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
391 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (0 points)
কারোর সাথে এই ব্যাপার গুলো হলে তার করণীয় কী?

অনিচ্ছাকৃতভাবে কিছু হলেও কি এই বিধান আরোপ হবে?যেমনঃ মাকে স্পর্শ করার পর কারো অন্যরকম অনুভূতি হলো,কিন্তু তার মনে মাকে নিয়ে কোনো খারাপ চিন্তা ছিলো না।এই সব ক্ষেত্রে বিধান কী?

অনিচ্ছাকৃত ভাবে / ভুল করে যদি মা / শাশুরির গোপন অংগে চোখ পড়ে যায়। এতে যদি তার ভেতর উত্তেজনা তৈরি হয়, তাহলে কি হুরমতের বিধান প্রযোজ্য হবে এখানে?

1 Answer

+1 vote
by (657,800 points)
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم  

হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে।
তারমধ্যে অন্যতম হলোঃ 
★সরাসরি খালি গায়ে বা এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে, যা এতটাই পাতলা যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভব হয়। যদি এমন মোটা কাপড় পরিধান করে থাকে যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভূত না হয়, তাহলে নিষিদ্ধতা সাব্যস্ত হবে না।

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে   
فى الدر المختار- أو لمس ) ولو بحائل لا يمنع الحرارة

وقال ابن عبدين– ( قوله : بحائل لا يمنع الحرارة ) أي ولو بحائل إلخ ، فلو كان مانعا لا تثبت الحرمة ، كذا في أكثر الكتب (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-3/107-108)
যার সারমর্ম হলো যদি এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে,যেটা শরীরের গরমি ভাব অনুভব হয়,তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানীত হবে।  

★পুরুষের উত্তেজনা অনুভূত হওয়ার লক্ষণ হলোঃ লিঙ্গ দাঁড়িয়ে যাওয়া, আর পূর্ব থেকে দাঁড়িয়ে থাকলে স্পর্শ করার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়া।

وفى الدر المختار- وحدها فيهما تحرك آلته أو زيادته به يفتى


স্পর্শ করার সময় উত্তেজিত হতে হবে। যদি স্পর্শ করার সময় কেউ উত্তেজিত না হয়, তাহলেও নিষিদ্ধতা প্রমাণিত হবে না। সেই সাথে স্পর্শ করার আগে বা শেষে, হাত ছেড়ে দেওয়ার আগে বা পর যদি উত্তেজনা অনুভূত হয় তাহলেও নিষিদ্ধতার সাব্যস্ত হবে না।

وفى الدر المختار- والعبرة للشهوة عند المس والنظر لا بعدهما

وفى رد المحتار- ( قوله : والعبرة إلخ ) قال في الفتح : وقوله : بشهوة في موضع الحال ، فيفيد اشتراط الشهوة حال المس ، فلو مس بغير شهوة ، ثم اشتهى عن ذلك المس لا تحرم عليه (رد المحتار-كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/108)

যার সারমর্ম হলো স্পর্শ,দৃষ্টিপাত করার সময় উত্তেজনা থাকতে হবে। 
,
★★সাধারণত অনিচ্ছাকৃত ভাবে স্পর্শ করলে  লিঙ্গ দাড়িয়ে যাওয়ার মতো উত্তেজনা আসেনা,এবং উত্তেজনা যাই আসে,সেটা সাধারণত সাথে সাথেই হয়না,পরে হয়।  
এবং কাপড়ের উপর দিয়েই সাধারণত এমন স্পর্শ হয়।
তাই অনিচ্ছায় স্পর্শ হলে সাধারণত হুরমতে মুসাহারাত প্রমানীত হওয়ার শর্ত পাওয়া যায়না।
,
তবে কাহারো যদি সেই ছুরতেও এমন শর্ত পাওয়া যায়,তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানীত হবে।
,
 (০২) 
দৃষ্টিপাতের মাধ্যমে হুরমতে  মুসাহারাত প্রমানীত হওয়ার জন্য অন্যতম শর্ত হলো উত্তেজনার সাথে  মহিলার ফরযে দাখিলের দিকে দৃষ্টিপাত করা।    
ফরযে দাখিলঃ মহিলার লজ্জাস্থানের উপরের অংশ কে ফরযে খারিজ বলা হয়।
আর ভিতরের অংশকে ফরযে দাখিল বলা হয়।
যেটা লজ্জাস্থানের পর্দার একেবারে ভিতরে থাকে।

 ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে   
(لا) تحرم (المنظور إلى فرجها الداخل) إذا رآه (من مرآة أو ماء) لأن المرئي مثاله (بالانعكاس) لا هو (هذا إذا كانت حية مشتهاة) ولو ماضيا (أما غيرها) يعني الميتة وصغيرة لم تشته (فلا) تثبت الحرمة بها أصلا كوطء دبر مطلقا وكما لو أفضاها لعدم تيقن كونه في الفرج ما لم تحبل منه بلا فرق بين زنا ونكاح.(رد المحتار-4/108-109
যার সারমর্ম হলো  দৃষ্টিটি নিবদ্ধ হতে হবে মহিলার লজ্জাস্থানের খানিকটা ভিতরাংশে। শুধু উপরের অংশ দেখার দ্বারা হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবে না। আর পুরুষের ক্ষেত্রে শুধু লজ্জাস্থান দেখার দ্বারাই হুরমত সাবেত হবে,,,,,,,।
,
★★সুতরাং সাধারণত অনিচ্ছায় শাশুড়ি বা মার লজ্জাস্থানে চোখ পড়লে সেটার দ্বারা লজ্জাস্থানের ভিতরের অংশ দেখা যায়না,তাই হুরমতে মুসাহারাত প্রমানীত হবেনা।
,
তবে কেহ যদি অনিচ্ছায় সত্ত্বেও   এমন শর্ত পাওয়া যায়,তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানীত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...