আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
886 views
in পবিত্রতা (Purity) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম,
হজরত আমার মূলত ২ টি প্রশ্ন আছে।
১। কাপড়ে কিংবা শরীরে যদি নাপাকী লেগে থাকে (উদাহারণ সরুপ বাচ্চাদের পস্রাব) কিংবা গোসল ফরজ হয় সেইরুপ অবস্হায় কি দরুদ শরীফ কিংবা ইস্তিগফার করা যাবে??

২। "আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন তুহিব্বুল আফওয়া" কদরের রাতে পড়ার এই দোয়াটি কি ইস্তিগফার হিসেবে পড়া যাবে??

1 Answer

+1 vote
by (708,320 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ

(১)
কাপড়ে কিংবা শরীরে যদি নাপাকী লেগে থাকলে কিংবা গোসল ফরজ হয় সেইরুপ অবস্হায় থাকলে দরুদ শরীফ কিংবা ইস্তিগফার করা পড়া যাবে তবে।তেলাওয়াত করা যাবে না।


(২)
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত

عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ أَرَأَيْتَ إِنْ عَلِمْتُ أَيُّ لَيْلَةٍ لَيْلَةُ القَدْرِ مَا أَقُولُ فِيهَا؟ قَالَ: قُولِي:
তিনি বলেন,ইয়া রাসুলাল্লাহ!যদি আমি লাইলাতুল কদরের রাতকে পাই তবে কি দু'আ পড়বো?রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তুমি বলবে,
اللَّهُمَّ إنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ العَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
হে আল্লাহ!আপনি ক্ষমাকারী,মহান!আপনি ক্ষমাকে পছন্দ করেন।সুতরাং আমাকে ক্ষমা করে দাও।(সুনানু তিরমিযি-৩৫১৩)

দেখুন এই দু'আতে ইস্তেগফার তথা ক্ষমা চাওয়ার অর্থ রয়েছে।সুতরাং আপনি এই দু'আকে ইস্তেগফার হিসেবে পড়তে পারেন।তবে সাধারণত ইস্তেগফার হিসেবে যে দু'আ পড়া হয় বা হাদীসে সর্বদা পড়ার জন্য যে দু'আর কথা বলা হয়েছে।সেগুলো পড়াই উত্তম।

হযরত সাওবান রাযি থেকে বর্ণিত
عَنْ ثَوْبَانَ،قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِذَا انْصَرَفَ مِنْ صَلَاتِهِ اسْتَغْفَرَ ثَلَاثًا وَقَالَ: «اللهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ وَمِنْكَ السَّلَامُ، تَبَارَكْتَ ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ» قَالَ الْوَلِيدُ: فَقُلْتُ لِلْأَوْزَاعِيِّ: " كَيْفَ الْاسْتِغْفَارُ؟ قَالَ: تَقُولُ: أَسْتَغْفِرُ اللهَ، أَسْتَغْفِرُاللهَ "
যখন রাসূলুল্লাহ সাঃ নামায থেকে ফারিগ হতেন,তখন তিনবার আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তেন।এবং বলতেন,
«اللهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ وَمِنْكَ السَّلَامُ، تَبَارَكْتَ ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ»
রাবী ওলীদ রাহ বলেন,আমি ইমাম আওযায়ী রাহ কে জিজ্ঞাসা করলাম,ইস্তেগফার কিভাবে পড়তে হয়?তিনি বললেন,তুমি বলবে,আস্তাগফিরুল্লাহ,আস্তাগফিরুল্লাহ।(সহীহ মুসলিম-৫৯১)


ঠিক তেমনি নিম্নোক্ত শব্দে হাদীসে বর্ণিত রয়েছে।

আবু দাউদ শরীফে বর্ণিত রয়েছে,
  أستغفر الله العظيم الذي لا إله إلا هو الحي القيوم وأتوب إليه
(সুনানু আবি-দাউদ-১৫১৭)
 
সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার সম্পর্কে সহীহ বোখারীতে বর্ণিত রয়েছে,
اللهم أنت ربي لا إله إلا أنت خلقتني وأنا عبدك وأنا على عهدك ووعدك ما استطعت، أعوذ بك من شر ما صنعت، أبوء لك بنعمتك علي وأبوء بذنبي فاغفر لي فإنه لا يغفر الذنوب إلى أنت، ومن قالها من النهار موقنا بها فمات من يومه قبل أن يمسي فهو من أهل الجنة، ومن قالها من الليل وهو موقن بها فمات قبل أن يصبح فهو من أهل الجنة.
সহীহ বোখারী-৬৩০৬


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...