আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
122 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)

১/আল্লাহ নিরাকার নন, কিন্তু সৃষ্টির  মত নন বা সৃষ্টির সাথে সাদৃশ্যপুর্ন না - এমন আকিদা পোষন করা যাবে কি?

২।

Anti-spam verification:

আমাদের সৃষ্টিকর্তার নাম কি? (ইংরেজি/বাংলায়, ইংরেজীতে লিখলে সব ছোট হাতের অক্ষরে)

-----------------------------------------------------

এখানে আমাদের লিখার মানে কি ? আল্লাহ তো শুধু আমাদের সৃষ্টি কর্তা নন, সমস্ত কিছুই আল্লাহর সৃষ্টি।তাহলে সৃষ্টিকর্তার নাম কি? এমন লিখা কি যুক্তিযুক্ত ন?য়

1 Answer

0 votes
by (684,880 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
পূর্বের কিছু ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে,      
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,

عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (تَفَكَّرُوا فِي آلَاءِ اللَّهِ، وَلَا تَفَكَّرُوا فِي اللَّهِ)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা আল্লাহর নিয়ামত নিয়ে চিন্তা গবেষনা করো। আল্লাহকে নিয়ে চিন্তা গবেষনা করবে না।(বায়হাক্বী-৯২৭, তাবারানি-১২১১১)

আল্লাহ তা'আলা সম্পর্কে যতটুকু আকিদা বিশ্বাস না রাখলে ঈমানদার হওয়া যাবে না,ততটুকুই আকিদা-বিশ্বাস রাখা উচিৎ। এর চেয়ে বেশী চিন্তা ফিকির করতে হাদীসে নিষেধ এসেছে। 

আপনি যেমনটা উল্লেখ করেছেন।এমনটা ঠিক আছে।এমন আকিদা বিশ্বাস প্রয়োজন। এর চেয়ে বেশী চিন্তাফিকির করতে যাবেন না। কেননা আল্লাহ সম্পর্কে চিন্তা ফিকির করতে যেয়ে অনেক বিজ্ঞজন শেষ পর্যন্ত দিশেহারা হয়েছেন।গোমরাহ হয়েছেন।


বিশেষভাবে নিম্নোক্ত আয়াতকে স্বরণে রাখবেন।
لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَهُوَ السَّمِيعُ البَصِيرُ
কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়। তিনি সব শুনেন, সব দেখেন।(সূরা আশ-শু'আরা-১১)

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কুরআনে কারীমে ইরশাদ হচ্ছেঃ

هُوَ الَّذِي أَنزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ مِنْهُ آيَاتٌ مُّحْكَمَاتٌ هُنَّ أُمُّ الْكِتَابِ وَأُخَرُ مُتَشَابِهَاتٌ ۖ فَأَمَّا الَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ زَيْغٌ فَيَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ ابْتِغَاءَ الْفِتْنَةِ وَابْتِغَاءَ تَأْوِيلِهِ ۗ وَمَا يَعْلَمُ تَأْوِيلَهُ إِلَّا اللَّهُ ۗ وَالرَّاسِخُونَ فِي الْعِلْمِ يَقُولُونَ آمَنَّا بِهِ كُلٌّ مِّنْ عِندِ رَبِّنَا ۗ وَمَا يَذَّكَّرُ إِلَّا أُولُو الْأَلْبَابِ [٣:٧]

তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট,সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে,তারা অনুসরণ করে ফিৎনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশে তন্মধ্যেকার রূপকগুলোর। আর সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। আর যারা জ্ঞানে সুগভীর,তারা বলেনঃ আমরা এর প্রতি ঈমান এনেছি। এই সবই আমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। আর বোধশক্তি সম্পন্নেরা ছাড়া অপর কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না। {সূরা আলে ইমরান-৭}

তাই আল্লাহর সত্ত্বার আকার নিরাকার নিয়ে কথা বলা সম্পূর্ণই নিষিদ্ধ বিষয়। কারণ এসব মুতাশাবিহাত এর অন্তর্ভূক্ত। যার সঠিক অবস্থান আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না।

আমরা আল্লাহর “হাত, পা, চেহারা” ইত্যাদি অর্থ প্রকাশক শব্দের উপর ঈমান আনি। কিন্তু এগুলোর অবস্থা কেমন? আকার আছে নাকি নেই? ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণা করি না। মন্তব্য করি না।

আমরা কুরআনে বর্ণিত গভীর জ্ঞানীদের কাতারে শামিল হতে চাই। 
,
আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 249 views
0 votes
1 answer 112 views
...