আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
63 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।

১)❝ কোনো গুনাহ না করলে ফরজ ওয়াজিব সুন্নাহ মাসনুন আমাল ভালো ভাবে করলে জিন আসতে পারবে না.,খারাপ কিছু করতে পারবেন না, বোবা জিন আসবে না,দুনিয়া উলটে গেলেও এসব জ্বীন শয়তান ধরতে পারবে না❞। এমন আকিদা রাখা যাবে কি?

২) ❝মাসনুন আমাল, ফরজ, সুন্নাত, ওয়াজিব যতই ভালো ভাবে করা হোক। কোনো গুনাহ হয়ে গেলেই ঘুমের মধ্যে জিন আক্রমণ করতে পারবে। ❞ এমন আকিদা রাখা জায়িজ আছে কি?

৩) এক মেয়ে যদিও ফরজ ওয়াজিব সুন্নত খুব ভালো ভাবে পড়ে। মাসনুন আমাল ও করে সকাল সন্ধ্যা কিন্তু তার দ্বারা কোনো গুনাহ (কবিরা গুনাহ) হয়ে গেলেই সেদিন ঘুমের মধ্যে তাকে জিন আক্রমণ করে। কিন্তু গুনাহ না করলে জিন আক্রমণ করে না। আবার আক্রমণ করলে ঘুমের মধ্যেই কষ্ট করে চোখ খুলে সুরা ফালাক্ব,নাস পড়া শুরু করলেই চলে যায় সাথে সাথে। এরকম টা তার  সাথে বহুবার হয়েছে। কিন্তু সে যদি সেদিন গুনাহ না করে তাহলে আর আসতে পারে না।

এমনটা কীভাবে? জিনেরা কীভাবে বুঝলো সেই মেয়ে গুনাহ করেছে কি না? নাকি ওরা প্রতিদিন সেই মেয়ের কাছে আসে যেদিন সুযোগ পায় সেদিন আক্রমণ করে। আর সেদিন ই সুযোগ পায় যেদিন মেয়েটি গুনাহ করে ফেলে। এমন কিছু কি?

৪) স্বামী স্ত্রী দূরে থাকলে স্বামীকে কল্পনা করে স্ত্রী তার লজ্জাস্থান ওপর নিচ করতে পারবে কি? এটা কি হস্তমৈথুনের অন্তর্ভুক্ত?

৫)
কুরসি হলো আল্লাহ তায়ালার দুই পা রাখার স্থান তবে আল্লাহ ও পা রাখার পদ্ধতি ও প্রকৃতির ব্যাপারে কিছুই জানিনা, এ ব্যাপারে রে প্রশ্ন করাকেও বৈধ মনে করি না,এ বিশ্বাস রাখি যে তার কোন কিছুই মাখলুকের সদৃশ্য নয় এরকম আকিদা কি রাখা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১+২+৩)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لَهُ مُعَقِّبَاتٌ مِّن بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ يَحْفَظُونَهُ مِنْ أَمْرِ اللَّهِ ۗ إِنَّ اللَّهَ لَا يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّىٰ يُغَيِّرُوا مَا بِأَنفُسِهِمْ ۗ وَإِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِقَوْمٍ سُوءًا فَلَا مَرَدَّ لَهُ ۚ وَمَا لَهُم مِّن دُونِهِ مِن وَالٍ
তাঁর পক্ষ থেকে অনুসরণকারী রয়েছে তাদের অগ্রে এবং পশ্চাতে, আল্লাহর নির্দেশে তারা ওদের হেফাযত করে। আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না তারা তাদের নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। আল্লাহ যখন কোন জাতির উপর বিপদ চান, তখন তা রদ হওয়ার নয় এবং তিনি ব্যতীত তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।( সূরা রা'দ-১১)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহর হুকুমে সবকিছুই হয়। জ্বীনরা মানুষের সাথে শত্রুতা করে থাকে। এত্থেকে বাঁচতে সকাল সন্ধ্যা সূরা নাস ও সূরা ফালাকের আ'মল রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে প্রমাণিত রয়েছে। হ্যা, যারা দৈনন্দিন ফরয ওয়াজিব ও মুস্তাহাব আ'মল গুলো করে থাকেন, তাদের কে সাধারণত ক্ষতি করতে পারে না। তবে তারপরও আল্লাহর হুকুম থাকলে জ্বীনরা ক্ষতি করতে পারে। এজন্য দৈনন্দিন সকল প্রকার আ'মল করে আল্লাহর কাছে জ্বীন ও মানুষের ক্ষতি থেকে ক্ষমা চাইতে হবে।

(৪) এটা হস্তমৈথুন হবে না। তবে এটা অরর্থক কাজ। এজন্যই সতর্কতাপূর্ণ অবস্থান হলো, স্বামী স্ত্রী একসাথে বসবাস করবে। 

(৫) আল্লাহ কে নিয়ে চিন্তা করা বিদ'আত। বরং মাখলুকাত নিয়ে চিন্তা করতে হবে।আল্লাহ আল্লাহর মতই আছেন।এমনটা আকিদা রাখতে হবে।

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ، فَذَكَرَ لَهَا شَيْئًا مِنَ الْقَدَرِ، فَقَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ تَكَلَّمَ فِي شَيْءٍ مِنَ الْقَدَرِ سُئِلَ عَنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَمَنْ لَمْ يَتَكَلَّمْ فِيهِ لَمْ يُسْأَلْ عَنْهُ»
হযরত ইয়াহইয়া বনি আব্দুল্লাহ বিন আবী মুলাইকা তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি একদা হযরত আয়শা রাঃ এর নিকট গেলেন। তখন তিনি তাকদীর বিষয়ে তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করেন, তখন হযরত আয়শা রাঃ বলেন, আমি রাসুল সাঃ কে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি তাকদীর বিষয়ে কথা বলে, কিয়ামতের ময়দানে এ কারণে সে জিজ্ঞাসিত হবে। আর যে এ বিষয়ে আলোচনা না করবে, তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে না। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৮৪}


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...