আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
205 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম।
কোন পিতা যদি সন্তানের জন্য এই দুয়া করে যে সন্তান যাতে ঈমান নিয়ে না যেতে পারে তার দুয়া কবুল হবে? সন্তানের জীবনের মুল লক্ষ্য হলো  ঈমান নিয়ে দুনিয়া থেকে যাওয়া। সে জন্য সন্তান ইসলামিক সকল বিধান মানার চেষ্টা করে। কিন্তু পিতার কিছু ঘৃণ্য আচরণ সন্তান অনেক কষ্ট পায়। পিতা কেবল টাকা টাকা করে। টাকা দিলেও জগড়া করে। পিতা কেবল ছুতা পেলেই গালাগালি ও ঝগড়া করতে চায়।  পিতার সামনে পরিবারের কাউকে দ্বীনের দাওয়াত দিলে গালাগালি করে। সন্তান ইসলামিক বই কিনে এটা পিতা পছন্দ করে না। সন্তানের নাকে ও গলায় সমস্যা তাই কিছুক্ষণ পরপর সে থুতু ফেলে, নাক সবসময় সর্দি থাকে এটা পিতা পছন্দ করে না। পিতার এমন এমন কথা বলে সন্তানকে যে তার সামান্য গায়রাতটুকুও নেই।  সন্তানের একটাই ভুল পিতার এসব আচরণ মাঝে মাঝে ধৈর্য ধারণ না করতে পেরে ঝগড়া করে ফেলে কিন্তু অনুতপ্ত হয়৷ সে ঝগড়া করতে চায় না, ধৈর্য ধারণ করে তবে সবসময় পেরে উঠেনা, মনমেজাজ সবসময় ভালো থাকে না। এখন কথা হলো সন্তান তো চেষ্টা করে আল্লাহকে খুশি করতে, আল্লাহর সন্তুষ্টি চায়,,, ঈমানের সহিত শাহাদাতের মৃত্যু কামনা করে। পিতার এমন বদদুয়ায় সন্তানের কোন ক্ষতি হবে বা ঈমান নিয়ে যদি না যেতে পারে, সন্তান চিন্তিত! এগুলো কবুল হবে? কি করা উচিত!

বিঃদ্রঃ পিতা বুঝানো কারো সাধ্য নেই

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

 পিতামাতার জন্য রাগের অবস্থায় সন্তানদের বদ দুয়া,অভিশাপ দেওয়া উচিত নয়। 
কারন কোন সময় যে আল্লাহ তায়ালা সেসব বদ দুয়া কবুল করে নিবেন,তাহা কেহই বলতে পারেনা।
এমনও হতে পারে যে পিতা মাতা বুঝে না বুঝে অযথাই সন্তানের জন্য বদ দুয়া করলো, আল্লাহ তায়ালা তা পুরোপুরি ভাবে কবুল করে নিলো,তখন এটা সন্তানের জন্য শাস্তির কারন হয়ে দাড়াবে।
 বিষয়টি পিতামাতাকে বুঝানো দরকার।
উভয় পক্ষ থেকেই চেষ্টা করা দরকার,যে এই অবস্থায় যেনো পৌছাতে না হয়।
পিতা মাতা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে এহেন কথা না বলার,আর সন্তান চেষ্টা করবে,এমন কোনো কাজ না করার,যাতে পিতা মাতা কষ্ট পায়।
(কিতাবুল ফাতওয়া ৬/২১৪)


★সুতরাং তাহলে হেকমতের সাথে পিতা মাতাকে বুঝাইতে হবে।
প্রয়োজনে তাদের অনুমতিক্রমে তাদের থেকে দূরে থাকা যাবে।

খেয়াল রাখতে হবে যে তাদের দেখভাল যেনো পুরোপুরি ভাবে করা যায়।
তাদের হক যেনো নষ্ট না হয়।
তাদের খেদমতের মাঝে যেনো কমতি না থাকে।
,
,
★★উল্লেখ্য যে প্রশ্নে উল্লেখিত বদ দুয়াটি অনেক কঠিন একটি বদ দুয়া,যাহা কবুল হলে,সন্তানের অনেক ক্ষতি হবে।
তাই সতর্কতামূলক দূরে থাকা বা অন্য যেকোনো ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...