আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
205 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
edited by
১. আমার আব্বা মারা গিয়েছেন অনেক আগে। আমার যেদিন স্বপ্নদোষ হয় সেদিন আব্বাকে স্বপ্নে দেখি- এমনটি প্রায়ই হয়, তবে সবসময় নয়। আমি ছেলে মানুষ। এর ব্যাখ্যা পারে?
২. আমি অবিবাহিত। আমার ওয়াসওয়াসা রয়েছে। মনের মধ্যে শর্তযুক্ত তালাক ঘুরপাক খায়। একটি নির্দিষ্ট কাজের উপর শর্তযুক্ত তালাক যেন চলে আসে। আমি উচ্চারণ করি না। মাঝে মাঝে মনে হয় এসব উচ্চারণ করে বলে ফেললাম কি না? মাঝে মাঝে যেসব শর্ত মনে আসে সে অনুযায়ী কাজ করি, মাঝে মাঝে বলি এইগুলা ওয়াসওয়াসা তাই করি না। তবে, সেই অনুযায়ী কাজ করলে সাময়িক শান্তি পাই।
২.১ঃ আমার কি সেই অনুযায়ী কাজ করা উচিত? কারণ, মাঝে মাঝে ভয়ে থাকি উচ্চারণ করে বলে ফেললাম কি না?
২.২ঃ আমি যদি ভুল করে এসব উচ্চারণ করে ফেলি তাহলে কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবে?

২.৩ঃ উমুক কাজ না করলে শর্তযুক্ত তালাক হবে - এই ধরনের চিন্তা মাথায় আসে। আমি মাঝে মাঝে অস্থিরতায় উচ্চারণ করে ফেলি কি না মনেও থাকে না। তবে, বেশীরভাগ সম্ভাবনা উচ্চারণ করি না। এই ধরনের কথা দ্বারা কি শর্তযুক্ত তালাক হবে?

২.৪ঃ আমি একটি খারাপ কাজ না করলে শর্তযুক্ত তালাকের ব্যাপারে মাঝে মাঝে নিয়ত হয়ে যায়। তাও পুরোপুরি নিয়ত না, মনে চলে আসে যে উমুক কাজ না করলে শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবে। মাঝে মাঝে পাত্তা দেয় না। যেমনঃ আজকে মনে হল উমুক কাজ (একটি খারাপ কাজ) করার উপর যেহেতু শর্তযুক্ত তালাক যদি এসেও থাকে (যদি শর্ত আসেও সেটাও মনে মনে এসেছে শর্ত) তাহলে বিয়ের আগে একবার সেই কাজটি করে নিলেই হবে। এই নিয়ত আমি মনে মনে তৈরি করেছি। ইচ্ছা করেই করেছি। এক্ষেত্রে, আমি উচ্চারণ করেছি কি না খেয়াল নাই।  বেশীরভাগ সম্ভাবনা উচ্চারণ করিনি। এই পরিস্থিতিতে উক্ত খারাপ কাজ করা বা না করার উপর কি কোন শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবে? উল্লেখ্যঃ আমি পুরো শর্তটি কখনোই মনে মনেও আনিনি। খালি আসে শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবে - এই ধরনের।আমি কি সেই খারাপ কাজটি করা বা না করার উপর তালাকের কোন প্রভাব পড়বে?

২.৫ঃ আমি উচ্চারণ করে বলেছি কি না এটা যদি ভুলে যায় তাহলে কোনটা ধরে নিবো?
২.৬ঃ আমি যদি মনে মনেনিয়ত করি যে, উমুক কাজ না করলে শর্তযুক্ত তালাক হবে। এতে করে কি তালাক হয়ে যাবে?

৩ঃ আমি একটি নির্দিষ্ট কাজের উপর শর্তযুক্ত তালাক দিয়েছে কি না মনে করতে পারছি না। কোনভাবেই মনে করতে পারছি না।  এক্ষেত্রে, কি সিদ্ধান্ত নিবো?

৪ঃ যদি কখনো আমি শর্তযুক্ত তালাক দিয়ে ভুলে যায় এবং পরবর্তীতে সংশার করি, আল্লাহ কি ক্ষমা করবেন? নাকি বিচারের দিন আমাকে সেই শর্ত মনে করিয়ে শাস্তি দিবেন?

৫ঃ উপরের বর্ণনায় যদি শর্তটি একটু কঠিনভাবে প্রকাশ করি তাহলে কি উপরের বর্ণনা করার কারণে শর্ত যুক্ত তালাক হয়ে যাবে?

৬ঃ আমার প্রশ্ন করার মাধ্যমে কোন সমস্যা হয়েছে কি না?

৭ঃ তালাকের ওয়াসওয়াসার মাধ্যমে আমাকে বাধ্য করা হয় কোন একটি কাজ করতে সেটা ভাল কাজও হতে পারে। আমার কি ওয়াসওয়াসা অনুযায়ী কাজ করা উচিত? যদি মনে মনে নিয়ত করে ফেলি উমুক কাজটি করবো কিংবাা উচ্চআরন করে নিয়ত করে নিয়ত করে ফেলি। এরপর যদি সেই কাজটি না করি তাহলে কি শর্তযুক্ত তালাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত  ছুরতে  আপনার নেক আমল বাড়িয়ে দিতে হবে,দ্বীনদার লোকদের সাথে উঠাবসা করতে হবে,পবিত্র হালতে থাকতে হবে,অহংকার থেকে বেঁচে থাকতে হবে। 

বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত, যিকির আযকার,ফরজ সহ নফল নামাজ পড়তে হবে। 
বাবার জন্য দান ছদকাহ করতে পারেন।
,
স্বপ্নের কথা কাউকে বলা যাবেনা।

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।
ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

এই হাদীসের তরজমাতুল বাবে উল্লেখ রয়েছেঃ

بَاب إِذَا قَالَ لِامْرَأَتِه„ وَهُوَ مُكْرَهٌ هٰذِه„ أُخْتِي فَلاَ شَيْءَ عَلَيْهِ.
৬৮/১০. অধ্যায়ঃ বিশেষ কারণে যদি কেউ স্বীয় স্ত্রীকে বোন বলে পরিচয় দেয়, তাতে কিছু হবে না।

قَالَ النَّبِيُّ صَلّٰى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِبْرَاهِيمُ لِسَارَةَ هٰذِه„ أُخْتِي وَذ‘لِكَ فِي ذَاتِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ.

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ইবরাহীম আঃ) একদা) স্বীয় সহধর্মিণী সারাহকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন, এটি আমার বোন। আর তা ছিল দ্বীনী সম্পর্কের সূত্রে।

لِقَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الأَعْمَالُ بِالنِّيَّةِ وَلِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى». وَتَلاَ الشَّعْبِيُّ: (لاَ تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا) وَمَا لاَ يَجُوزُ مَنْ إِقْرَارِ الْمُوَسْوِسِ.
وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلَّذِي أَقَرَّ عَلَى نَفْسِهِ: «أَبِكَ جُنُونٌ».
وَقَالَ عَلِيٌّ بَقَرَ حَمْزَةُ خَوَاصِرَ شَارِفَيَّ، فَطَفِقَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَلُومُ حَمْزَةَ، فَإِذَا حَمْزَةُ قَدْ ثَمِلَ مُحْمَرَّةٌ عَيْنَاهُ، ثُمَّ قَالَ حَمْزَةُ هَلْ أَنْتُمْ إِلاَّ عَبِيدٌ لأَبِي فَعَرَفَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَدْ ثَمِلَ، فَخَرَجَ وَخَرَجْنَا مَعَهُ، وَقَالَ عُثْمَانُ لَيْسَ لِمَجْنُونٍ وَلاَ لِسَكْرَانَ طَلاَقٌ.
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ طَلاَقُ السَّكْرَانِ وَالْمُسْتَكْرَهِ لَيْسَ بِجَائِزٍ.
وَقَالَ عُقْبَةُ بْنُ عَامِرٍ لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ الْمُوَسْوِسِ.
وَقَالَ عَطَاءٌ إِذَا بَدَا بِالطَّلاَقِ فَلَهُ شَرْطُهُ.
وَقَالَ نَافِعٌ طَلَّقَ رَجُلٌ امْرَأَتَهُ الْبَتَّةَ إِنْ خَرَجَتْ، فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ إِنْ خَرَجَتْ فَقَدْ بُتَّتْ مِنْهُ، وَإِنْ لَمْ تَخْرُجْ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.
وَقَالَ الزُّهْرِيُّ فِيمَنْ قَالَ إِنْ لَمْ أَفْعَلْ كَذَا وَكَذَا فَامْرَأَتِي طَالِقٌ ثَلاَثًا يُسْئَلُ عَمَّا قَالَ، وَعَقَدَ عَلَيْهِ قَلْبُهُ، حِينَ حَلَفَ بِتِلْكَ الْيَمِينِ، فَإِنْ سَمَّى أَجَلاً أَرَادَهُ وَعَقَدَ عَلَيْهِ قَلْبُهُ حِينَ حَلَفَ، جُعِلَ ذَلِكَ فِي دِينِهِ وَأَمَانَتِهِ.
وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ إِنْ قَالَ لاَ حَاجَةَ لِي فِيكِ. نِيَّتُهُ، وَطَلاَقُ كُلِّ قَوْمٍ بِلِسَانِهِمْ.
وَقَالَ قَتَادَةُ إِذَا قَالَ إِذَا حَمَلْتِ فَأَنْتِ طَالِقٌ. ثَلاَثًا، يَغْشَاهَا عِنْدَ كُلِّ طُهْرٍ مَرَّةً، فَإِنِ اسْتَبَانَ حَمْلُهَا فَقَدْ بَانَتْ.
وَقَالَ الْحَسَنُ إِذَا قَالَ الْحَقِي بِأَهْلِكِ. نِيَّتُهُ.
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ الطَّلاَقُ عَنْ وَطَرٍ، وَالْعَتَاقُ مَا أُرِيدَ بِهِ وَجْهُ اللَّهِ.
وَقَالَ الزُّهْرِيُّ إِنْ قَالَ مَا أَنْتِ بِامْرَأَتِي. نِيَّتُهُ، وَإِنْ نَوَى طَلاَقًا فَهْوَ مَا نَوَى.
وَقَالَ عَلِيٌّ أَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّ الْقَلَمَ رُفِعَ عَنْ ثَلاَثَةٍ عَنِ الْمَجْنُونِ حَتَّى يُفِيقَ، وَعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يُدْرِكَ، وَعَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ.
وَقَالَ عَلِيٌّ وَكُلُّ الطَّلاَقِ جَائِزٌ إِلاَّ طَلاَقَ الْمَعْتُوهِ.

স্বীয় ব্যভিচারের কথা স্বীকারকারী এক ব্যক্তিকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেনঃ তুমি কি পাগল হয়েছ? ‘আলী(রাঃ) বলেন, হামযাহ (রাঃ) আমার দু’টি উটনীর পার্শ্বদেশ ফেড়ে ফেললে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হামযাকে তিরস্কার করতে থাকেন। হঠাৎ দেখা গেল নেশার ঘোরে হামযাহর চক্ষু দুটি লাল হয়ে গেছে। এরপর হামযাহ বললেন, তোমরা তো আমার বাবার গোলাম ব্যতীত নও। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বুঝতে পারলেন, তিনি নিশাগ্রস্ত হয়েছেন। তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে এলেন আমরাও তাঁর সঙ্গে বেরিয়ে এলাম। ‘উসমান(রাঃ) বলেন, পাগল ও নেশাগ্রস্ত ব্যক্তির তালাক জায়িয নয়। ‘উকবাহ ইবনু ‘আমির (রাঃ) বলেন, ওয়াসওয়াসা সম্পন্ন সন্দেহের বাতিকগ্রস্ত) ব্যক্তির তালাক কার্যকর হয় না। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, মাতাল ও বাধ্যকৃতের তালাক অবৈধ। ‘আত্বা (রহ.) বলেনঃ শর্ত যুক্ত করে তালাক দিলে শর্ত পূরণের পরই তালাক হবে। নাফি (রহ.) জিজ্ঞেস করলেন, ঘর থেকে বের হওয়ার শর্তে স্বীয় স্ত্রীকে জনৈক ব্যক্তি তিন তালাক দিল- এর হুকুম কী?)। ইবনু ‘উমার (রহ.) বললেনঃ যদি সে মহিলা ঘর থেকে বের হয়, তাহলে সে তিন তালাকপ্রাপ্তা হবে। আর যদি বের না হয়, তাহলে কিছুই হবে না। যুহরী (রহ.) বলেন, যে ব্যক্তি বললঃ যদি আমি এরূপ না করি, তবে আমার স্ত্রীর প্রতি তিন তালাক প্রযোজ্য হবে।
তার সম্বন্ধে যুহরী (রহ.) বলেন, উক্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করা হবে, শপথকালে তার ইচ্ছা কী ছিল? যদি সে ইচ্ছে করে মেয়াদ নির্ধারণ করে থাকে এবং শপথকালে তার এ ধরনের নিয়্যাত থাকে, তাহলে এ বিষয়কে তার দ্বীন ও আমানতের উপর ন্যস্ত করা হবে। ইবরাহীম (রহ.) বলেন, যদি সে বলে, ‘‘তোমাকে আমার কোন প্রয়োজন নেই’’; তবে তার নিয়্যাত অনুসারে কাজ হবে। আর প্রত্যেক সম্প্রদায়ের লোক তাদের নিজস্ব ভাষায় তালাক দিতে পারে। ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ যদি কেউ বলে তুমি গর্ভবতী হলে, তোমার প্রতি তিন তালাক। তাহলে সে প্রতি তুহরে স্ত্রীর সঙ্গে একবার সহবাস করবে। যখনই গর্ভ প্রকাশিত হবে, তখনি সে স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। হাসান (রহ.) বলেন, যদি কেউ বলে, ‘‘তুমি তোমার পরিবারের কাছে চলে যাও’’, তবে তার নিয়্যাত অনুসারে ফায়সালা হবে। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ প্রয়োজনের তাগিদে তালাক দেয়া হয়। আর দাসমুক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্য থাকলেই করা যায়। যুহরী (রহ.) বলেন, যদি কেউ বলেঃ তুমি আমার স্ত্রী নও, তবে তালাক হওয়া বা না হওয়া নিয়্যাতের উপর নির্ভর করবে। যদি সে তালাকের নিয়্যাত করে থাকে, তবে তাই হবে। ‘আলী (রাঃ) [উমার (রাঃ)-কে সম্বোধন করে] বলেনঃ আপনি কি জানেন না যে, তিন প্রকারের লোক থেকে কসম তুলে নেয়া হয়েছে। এক, পাগল ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে জ্ঞান ফিরে পায়; দুই, শিশু যতক্ষণ না সে বয়ঃপ্রাপ্ত হয়; তিন, ঘুমন্ত ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে জেগে উঠে। ‘আলী(রাঃ) আরও) বলেনঃ পাগল ব্যতীত সকলের তালাক কার্যকর হয়।

২;১
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত  ছুরতে আপনার সেই অনুযায়ী কাজ করা বা না করা উভয়টিত ইখতিয়ার রয়েছে।
কোনো সমস্যা নেই।

২.২
এতে তালাক হবেনা।
তবে আপনি বিবাহের দিকে ইঙ্গিত করে শর্তযুক্ত তালাকের কথা উচ্চারণ করে ফেললে বিবাহ করার পর শর্ত মোতাবেক তালাক হবে।  

২.৩
এ ধরনের কথা দ্বারা শর্তযুক্ত তালাক হবেনা।

২.৪
আপনার সেই খারাপ কাজটি করা বা না করার উপর তালাকের কোন প্রভাব পড়বেনা।

২.৫
এতে আপনি নিশ্চিত হতে না পারলে টেনশনের কিছু নেই।
কোনো সমস্যা হবেনা।

২;৬ 
এতে শর্তযুক্ত তালাক হবেনা।

(০৩)
এতে আপনি সেই কথা বলার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে না পারলে টেনশনের কিছু নেই।
কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৪)
আপনার মনে বিষয়টি সম্পর্কে সন্দেহ আসলে,প্রবল ধারণা না আসলে আল্লাহ তায়ালা শাস্তি দিবেননা,ইনশাআল্লাহ। 

কেননা তালাকের ক্ষেত্রে বিধান হলো সন্দেহের ভিত্তিতে তালাক হয়না। 

(০৫)
শর্ত উচ্চারণ করে ফেললে সেই শর্ত মোতাবেক কাজ পাওয়া গেলে শর্ত যুক্ত তালাক হবে।

(০৬)
না,কোনো সমস্যা হয়নি।

(০৭)
ওয়াসওয়াসা অনুযায়ী কাজ করা উচিত নয়।
কেননা এতে ওয়াসওয়াসা বাড়বে।

উল্লেখিত ছুরতে ওয়াসওয়াসার ভিত্তিতে উক্ত কাজ না করলে শর্তযুক্ত তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...