আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
116 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আস সালামুয়ালাইকুম । আমার ছোট ভাই ২ মাসের মতো আগে একটা ছোট বিড়াল নিয়ে আসে বাসায় এর আগে কখনোই আমরা বিড়াল পালি নাই তায় এই প্রথম আমি কোন বিড়াল কে এত বেশি আদর করি৷ আর গত ৪ দিন আগে হটাৎ করে খাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং মেঝেতে পড়ে ধড়ফড় করে তখন আমি ওকে সিরিঞ্জ দিয়ে দুধ জোর করে খাওয়াই যাতে ও না মরে যায়। আর আমার পরীক্ষা চলায় আমি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে পারছিলাম না। ৪ দিন পরে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে উনি বলে সিরিঞ্জ দিয়ে দুধ খাওয়া নো তে লাঞ্চ এ সমস্যা হয়ে গেছে ওর অবস্থা বেশি ক্রিটিকাল। এর পর উনারা ওকে ইঞ্জেকশন দেয় । বাসায় আসতে আধা ঘন্টা লাগে এর পরপরই ও মারা যায়।এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমি যে না জেনে ওকে সিরিঞ্জ দিয়ে দুধ খাইয়েছি এতে করে কি আমার গুনাহ হবে? হলেও এইক্ষেত্রে আমার করনীয় কি? দয়া করে জানাবেন। ৎ

1 Answer

0 votes
by (711,080 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/4980 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
প্রাণীদের বন্দী করে লালন পালন করা ও পোষা জায়েয রয়েছে। শুকুর এবং কয়েক শ্রেণীর কুকুর ব্যতীত  কুকুর লালন পালন করা নাজায়েয ও হারাম।তাছাড়া অন্যান্য প্রাণীকে পোষা ও লালন পালন করার সাধারণ বিধান হল,বৈধতা।

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে,
عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ الله عَنْه قَالَ : كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحْسَنَ النَّاسِ خُلُقًا ، وَكَانَ لِي أَخٌ يُقَالُ لَهُ أَبُو عُمَيْرٍ ، وَكَانَ إِذَا جَاءَ قَالَ : ( يَا أَبَا عُمَيْرٍ ، مَا فَعَلَ النُّغَيْرُ ؟ نُغَرٌ كَانَ يَلْعَبُ بِهِ )
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবচেয়ে অধিক সদাচারী ছিলেন। আমার এক ভাই ছিল; ‘তাকে আবূ ‘উমায়র’ বলে ডাকা হতো। আমার ধারণা যে, সে তখন মায়ের দুধ খেতো না। যখনই সে তাঁর নিকট আসতো, তিনি বলতেনঃ হে আবূ ‘উমায়র! কী করছে তোমার নুগায়র? সে নুগায়র পাখিটা নিয়ে খেলতো।(সহীহ বোখারী-৬২০৩,সহীহ মুসলিম-২১৫০)

প্রাণী লালন-পালন কয়েকটি শর্তে ভিত্তিতে জায়েয।
(১)প্রাণীকে নিয়মিত খাবার দাবার প্রদান করতে হবে।
হযরত ইবনে উমর থেকে বর্ণিত,

عن ابن عمر رضي الله عنهما قال : قال النبي صلى الله عليه وسلم : ( دخلتِ امرأةٌ النارَ في هِرَّة حبَسَتْها، لا هي أطعَمَتْها ولا هي ترَكَتْها تأكُلُ مِن خَشَاش الأرض حتى ماتَتْ )
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক নারী একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। সে তাকে খাবারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমীনের পোকা মাকড় খেতে পারত। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রেও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।(সহীহ বোখারী-৩৩১৮,সহীহ মুসলিম-২২৪২)

হযরত জাবের রাযি থেকে বর্ণিত
عن جابر بن عبد الله رضي الله عنهما عن رَسُولِ الله صلى الله عليه وسلم : ( أنَّهُ نَهَى أنْ يُقْتَلَ شَيْءٌ مِنَ الدَّوَابِّ صَبْراً )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বন্দী করে বোকা রেখে কোনো প্রাণীকে হত্যা করতে নিষেধ করেছেন।(সহীহ মুসলিম-১৯৫৯)

(২)প্রাণীকে কোনো প্রকার কষ্ট দেয়া যাবে না।

عن جابر بن عبد الله رضي الله عنهما قال : ( نَهَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَن الضَّرْبِ في الوَجْهِ ، وَعَن الوَسْمِ في الوَجْهِ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ মুখে প্রহার করা  এবং মুখে ট্যাটু অঙ্কন করা যাবে না।(সহীহ মুসলিম-২১১৬)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আপনি ইচ্ছাকৃত বিড়ালকে হত্যা করার নিমিত্তে এমনটা করেননি, তাই আপনার কোনো গোনাহ হবে না। ভবিষ্য পশু বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী পশুপাখি লালনপালন করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (711,080 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...