আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
116 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (22 points)
আসসালামু আলাইকুম
শায়েখ
১)
কুলসুম খাতুন সালেক শেখ থেকে একখণ্ড জমি নিলো ৬০ হাজার টাকার বিনিময় 1 বছর মেয়াদে এই শর্তের বিনিময় যে, উক্ত জমি কুলসুম খাতুন সালেক শেখ কেই চাষাবাদের জন্য দান করবে এবং তা থেকে যা ফসল উৎপাদিত হবে উভয়ের মাঝে আনুপাতিক হারে বন্টন হবে এবং এক বছরের মেয়াদ শেষ হলে সালেক শেখ কুলসুম খাতুন কে উক্ত 60 হাজার টাকা ফেরত দিয়ে দিবে ।
অথবা মাসালা টা এরূপ যে কুলসুম খাতুনের নিকট সালেক শেখ একখণ্ড জমি বন্ধক রাখল 60 হাজার টাকার বিনিময়ে। পরে কুলসুম খাতুন ওই জমিনে ফসল চাষ আবাদের জন্য সালেক শেখ কে অর্পণ করল এই শর্তে যে উৎপাদিত ফসল আনুপাতিক হারে বন্টন হবে ।।

উভয় মাসআলার মাঝে কোন পার্থক্য আছে কিনা এবং উভয়েই মাসআলার হুকুম কি শরীয়তের দৃষ্টিতে??

যদি উপরের মাসালা জায়েজ না হয় তাহলে জায়েজের সুরত গুলো কিভাবে হতে পারে?

২)
কেউ যদি অন্য কারো কাছে কোন জিনিস বন্ধক রাখে তাহলে বন্ধক গ্রহীতা কি ওই জিনিসের মধ্যে হস্তক্ষেপ করতে পারবে কোনভাবে?? যদি বন্ধকদাতা অনুমতি দেয়?
অনেক সময় দেখা যায় কেউ কোন জমি বন্ধক রাখল যদি সেই জমিতে বন্ধ গ্রহীতা কোন প্রকারের হস্তক্ষেপ না করে অর্থাৎ চাষাবাদ ইত্যাদি না করে তাহলে জমিনটা এমনি এমনি পড়ে থাকে যাতে কোন প্রকার উপকার হয় না বরং ক্ষতি হয় জমি টা এমনি এমনি পড়ে থাকল।।
এ বিষয়ে শরীয়তের হুকুম কি??

৩)
টাচ মোবাইলের স্ক্রিনের উপরে ভিন্ন আরেকটি গ্লাস লাগানো থাকে সেই গ্লাসের উপর দিয়ে টাচ মোবাইলের উপরে থাকা ভাসমান কোরআন শরীফ কে স্পর্শ করা যাবে কিনা??

1 Answer

0 votes
by (677,280 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত উভয় পদ্ধতিকে কট বা বন্ধক রাখা বলে।
বন্ধক রাখা হয় ঋণ আদায়ের নিশ্চয়তাস্বরূপ। এতে ঋণদাতা নিশ্চিত থাকেন যে ঋণ আদায় না করলেও বন্ধককৃত বস্তু থেকে আদায় করে নেওয়া যাবে। 

পবিত্র কোরআনেও এর নির্দেশ রয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আর যদি তোমরা সফরে থাকো এবং কোনো লেখক না পাও, তাহলে হস্তান্তরিত বন্ধক রাখবে। আর যদি তোমরা একে অপরকে বিশ্বস্ত মনে করো, তবে যাকে বিশ্বস্ত মনে করা হয়, সে যেন স্বীয় আমানত আদায় করে এবং নিজ রব আল্লাহকে ভয় করে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৮৩)
,
বন্ধককৃত বস্তু বন্ধকগ্রহীতার কাছে আমানতস্বরূপ। 

★বন্ধকি জমি থেকে বন্ধকগ্রহীতার কোনো ফায়দা হাসিল করা নাজায়েজ ও হারাম। এমনকি বন্ধকদাতা এর অনুমতি দিলেও পারবে না। কারণ বন্ধকি জমি থেকে বন্ধকগ্রহীতা কোনো ধরনের ফায়দা উপভোগ করা সুদের অন্তর্ভুক্ত, যা হারাম। (বাদায়েউস সানায়ে : ৬/১৪৬)

ইবনে সিরিন (রহ.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক লোক সাহাবি ইবনে মাসউদ (রা.)-এর কাছে জিজ্ঞেস করল, এক ব্যক্তি আমার কাছে একটি ঘোড়া বন্ধক রেখেছে, তা আমি আরোহণের কাজে ব্যবহার করেছি। ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, তুমি আরোহণের মাধ্যমে এর থেকে যে উপকার লাভ করেছ তা সুদ হিসেবে গণ্য হবে। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস : ১৫০৭১)
,
বিখ্যাত তাবেয়ি ইমাম কাজি শুরাইহ (রহ.)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, সুদ পান করা কিভাবে হয়ে থাকে? তিনি বলেন, বন্ধকগ্রহীতা বন্ধকি গাভির দুধ পান করা সুদ পানের অন্তর্ভুক্ত। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস : ১৫০৬৯)
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত উভয় পদ্ধতি নাজায়েজ। 
এটি জায়েজ পদ্ধতি নয়।
এভাবে সেই জমি থেকে নিজে চাষাবাদ করা বা অন্য কাউকে দিয়ে চাষাবাদ করানো,বা মূল মালিককে আবাদের জন্য অর্পন করে দিয়ে লাভ গ্রহন কোনোটাই জায়েজ নেই,সেই জমি থেকে কোনো ভাবেই উপকৃত হওয়া যাবেনা।
,     
বৈধ পদ্ধতি সম্পর্কে জানুনঃ 

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত মাসয়ালা জানুনঃ 

(০২)
বন্ধকদাতা অনুমতি দিলেও সেই বস্তু হতে কোনো ফায়েদা গ্রহন করতে পারবেনা।
শুধুমাত্র নিজের আয়ত্বে রাখবে,হেফাজতে রাখবে।
তবে তাহা থেকে উপকৃত হওয়ার বৈধ পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারবে।
এ সংক্রান্ত জানতে উপরের লিংক দ্রষ্টব্য।  

(০৩)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অযু ছাড়া সেই গ্লাসের উপর দিয়ে টাচ মোবাইলের উপরে থাকা ভাসমান কোরআন শরীফ কে স্পর্শ করা যাবেনা।
এটিকে যেহেতু তার সাথে যুক্ত করা হয়েছে,সুতরাং এটি মোবাইলের স্কীনের হুকুমেই হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...