আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
304 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (10 points)
নিজের জমি বা বাড়ির সাথে লাগোয়া কারো মালিকানাবিহীন খাস জমি দখল করে সেখানে ঘর তৈরি করা অথবা যেকোনো কাজকর্মের মাধ্যমে ঐ খাস জমি থেকে ফায়দা নেওয়া কি বৈধ?
যদি অবৈধ হয় সেক্ষেত্রে উক্ত খাস জমিতে বানানো ঘর বা ফসলের ক্ষেত্রে শরিয়ত মোতাবেক কি বিধান রয়েছে?
আর বৈধ হলেও সে জমি ব্যবহার বা ভোগের উত্তম উপায় কি?
(উল্লেখিত খাস জমির পরিমাণ ০.৫ শতাংশের মত হবে এবং এর চারপাশেই মালিকানা জমি এবং সরকার থেকে উক্ত জমি খালি রাখার জন্য কোন নির্দেশ নাই এবং সরকার কর্তৃক উক্ত জমিতে কোন প্রকার রাস্তা বা স্থাপনা করার সম্ভাবনা ও অনেক ক্ষীণ।)

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সুতরাং সরকারের সম্পদও সরকার বা তার প্রতিনিধির অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা জায়েজ নেই।    

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নির্ভরেযোগ্য সুত্রে জানা গিয়েছে যে,
কৃষিজমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইন- ২০১৫’র খসড়া প্রকাশ করেছে সরকার।
 
পাশাপাশি আইনের খসড়ায় দেশের খাস জমির বন্দোবস্ত বা ভোগদখলের অধিকার দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র ভূমিহীনদের।

ভূমিহীন ছাড়া কেউ খাসজমি বন্দোবস্ত নিলেও তা বাতিল হিসেবে গণ্য হবে। এ সব বিধান রেখে ভূমি মন্ত্রণালয় আইনের খসড়াটি প্রস্তুত করেছে।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত খাস জমি সরকার বা তার প্রতিনিধির অনুমতি ব্যতিত ব্যবহার করা সকলের জন্য জায়েজ হবেনা।
এটি কেবল ভূমিহীন দের জন্য জায়েজ।
,
সেক্ষেত্রে উক্ত খাস জমিতে বানানো ঘর বা ফসলের ক্ষেত্রে শরিয়ত মোতাবেক বিধান হলো এহেন কাজ নাজায়েজ হয়েছে।
এখন করনীয় হলো সেই জমি ব্যবহারের পরিমাণ ভাড়া ধরে নিয়ে সেই পরিমান টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দিতে হবে।
সম্বব না হলে তাহা গরিব মিসকিনকে দিয়ে দিতে হবে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...