আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
254 views
in পবিত্রতা (Purity) by (8 points)
হযরত  এই প্রশ্নে আমার কিছু হিসাবের ভুল হয়েছিল। তাই একই প্রশ্ন আবার করছি।  আফওয়ান
ttps://ifatwa.info/40252/?show=40252#q40252


আমার হায়েজের অভ্যাস দশ দিন।  আর হায়েজের তারিখ ২১-২৩।  সেই অনুযায়ী হায়েজের তিন দিন আগে আমি লালচে স্রাব দেখি।  তারপর দুইদিন অর্থাৎ ১৯,২০

সাদা বের হয়  ২১ তারিখ লালচে স্রাব একবার আর  তারপর আবার ২২ তারিখ একবার দেখা যায় তারপর  তারিখ একবার, এর পর ২৫ তারিখ একবার
আর আজকে ২৬ তারিখ  প্রায় সারাদিন ই কখনো লালচে কখনো বাদামী স্রাব দেখা যাচ্ছে।
এটা কি আমার ইস্তেহাজাই নাকি হায়েজ?


মোট কথা হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা তিনদিন তিন রাত এই সীমা পার হওয়ার আগেই আমার লালচে স্রাব দেখা গিয়েছে।  একদিন একবার করে হয়ে দুইদিন নেই তারপর আবার একবার।  এভাবে কন্টিনিউ হয়েছে। এভাবে আট দিন কেটে গিয়েছে  আর আজকে সারাদিনই লালচে স্রাব।
এটা কি হায়েজ? যদি হায়েজ হয় তাহলে কি আমি আর দুইদিন পার হওয়ার পর ফরজ গোসল করে নামাজ পড়বো???


আর যদি হায়েজ না হয়ে ইস্তেহাজা হয় তাহলে আমার আট দিনের ছেড়ে দেওয়া নামাযের কি কাযা আদায় করতে হবে???


আমি আসলে খুব বেশি কনফিউসড।  আমি এখনো নামাজ শুরু করিনি।  কাইন্ডলি তাড়াতাড়ি জানাবেন।  আর এখানে প্রশ্ন না করে মেইলে প্রশ্ন করার কোন ব্যবস্থা আছে??

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,

أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 
,
আরো জানুনঃ
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ১৮,১৯,২০ তারিখকে আপনি হায়েজ বলে গন্য করবেননা।
এগুলো ইস্তেহাজা।
তাই এই তিন আপনাকে নামাজ চালিয়ে যেতে হবে।

এরপর ২১ তারিখ থেকে হায়েজ গননা করবেন।
২৬ তারিখ তথা ৬ষ্ঠ দিনে কখনো লালচে কখনো বাদামী স্রাব দেখা যাচ্ছে,এটা যেহেতু ১০ দিনের মধ্যেই হয়েছে,তাই সেটি হায়েজ।
এই সময়ে নামাজ পড়া যাবেনা।
দশদিন পরেও যদি এমন কিছু আসে,তাহলে সেটিকে ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা ধরা হবে। 
তখন নামাজ পড়তে হবে।
আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এই দশদিনের মধ্যে যখনই সাদা ব্যাতিত অন্য কালারের কিছু আসবে,তখনই এই পুরো সময়কেই হায়েজ ধরতে হবে।
তবে এর মাঝে সাদা স্রাব আসার কারনে আপনি যদি গোসল করে নামাজ আদায় করে থাকেন,তাহলে সেটি মাফ হবে।

তবে ১০ দিনের মধ্যে সাদা স্রাব আসার পর যদি গোসল না করে আবারো লালচে বা বাদামি কালারের স্রাব আসার অপেক্ষায় থাকেন,আর সেটি যদি না আসে,তাহলে কিন্তু এ কদিনের (সাদা স্রাবা আসার দিন থেকে নিয়ে) নামাজ গুলির কাজা আদায় করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...