আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
717 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (39 points)
কিছু দিন আগে বিশিষ্ট কবি মুহিব খান কুরআন এর কাব্যানুবাদ করলেন। ছন্দ আকারে কুরআন এর অনুবাদ। এ ধরণের অনুবাদ কি সঠিক? পূর্বের যূগেও সালাফদের মধ্যে কেউ কি এমন অনুবাদ করেছিলেন? জমহুর ওলামায়ে কেরাম কি বলেন এ ব্যপারে?

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

কুরআনে কারীমের কাব্যানুবাদ সম্পর্কে উলামাদের মতবিরোধ রয়েছে।

মাজমাউল আনহুরে আছে-‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কালামকে তার নিজের কথায় ঠাট্টার ছলে ব্যবহার করে, তাকে কাফের সাব্যস্ত করা হবে। অনুরূপ যে ব্যাক্তি ফার্সি ভাষায় কুরআনের কাব্যানুবাদ করে, তাকেও।’ (মাজমাউল আনহুর: ৬৯৩/১) 

ফতাওয়ায়ে আলমগীরীতে এসেছে-‘যে ব্যক্তি ফার্সি ভাষায় কুরআনের কাব্যিক অনুবাদ করেছে, তাকে হত্যা করা হবে। কেননা সে কাফের।’ (ফতোয়ায়ে আলমগীরী: ২৬৭/২)।

হজরত  থানবী (রহ.)-এর কাছে কুরআনে কারিমের কাব্যানুবাদের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে, তিনি কঠোরভাবে নিষেধ করেন। 

অন্যদিকে একদল উলামায়ে কেরাম কুরআনে কারীমের কাব্যানুবাদকে জায়েয মনে করেন।তারা বলেন,

কুরআনে কারীমের তরজমা করা জায়েয।এবং কুরআনে কারীমের তরজমাকে কাব্যকারে উচ্ছারণ করা তথা কাব্যানুবাদ করা জায়েয।নাজায়েয হওয়ার কোনো কারণ নেই।তবে শর্ত হলো,কাব্যানুবাদ করতে যেয়ে অর্থের বিকৃতি ঘটানো যাবে না।তবে কুরআনের আরবী শব্দের কোনো আরবী কবিতা করা যাবে না।এটা সর্বসম্মতিক্রমে নাজায়েয।যেহেতু কাব্যতে শব্দ কম থাকে,যার কারণে মানুষের স্বরণে বেশী থাকে,সে হিসেবে অনেক উলামায়ে কেরাম মনে করেন,কুরআনের তরজমার কাব্যানুবাদ ভালো জিনিষ।কেননা এতে কুরআনের তরজমা মানুষের অন্তরে বেশী স্বরণে থাকবে।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

কাব্যানুবাদ উলামাদের মধ্যে বিতর্কিত বিষয়।কেউ বলেন জায়েয, আবার কেউ নাজায়েয। সুতরাং এখানে শীতিলতা চলে আসবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আসসালামু আলাইকুম। শায়েখ আরেকটা প্রশ্নে নাজায়েজ বলা হয়েছে?  এখন আমরা কোনদিকে বেশি ঝুকবো?      

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...