আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
197 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
ওজু গোসলে অনেক সময় লাগে। গ্যাস এর সমস্যার কারণে ওজু ধরে রাখতে পারিনা ফরয টুকুও পড়া শেষ করতে পারিনা । নামাজের ওজু করলে বেশি হয় অন্য সময় একটু কম থাকে। নামাজ পড়তে গেলে মনে হয় রুকু করিনি বা দুই সিজদার জায়গায় একটা দিসি, ফাতেহা পড়িনি, বৈঠকে বসিনি । এক নামাজ ২-৩ বার পড়ি।মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় এগুলো নিয়ে।হাসবেন্ড এর সাথেও খিটখিটে হয়ে যাচ্ছি  ।কিভাবে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারি। নামাজ আমার জন্য চক্ষুশীতলকারী না হয়ে আতংকের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
by (2 points)
ভাই,আপনার প্রশ্নের ব্যাপারে শায়েখ ভালো বলতে পারবেন,ইন শা আল্লাহ। তবে, সন্দেহে না থেকে,তাওবা করে কলেমা পড়ে আবার ইমান নবায়ন করেন।রাসুলুল্লাহ(সা.) আমাদেরকে ইমান কিছুকাল পরপর নবায়ন করার কথা বলেছেন।
এটা দেখার অনুরোধ রইল।ঃ https://youtu.be/j9P3UPK9QaY
by
আপনার উত্তর তো শায়েখরাই দিবেন ইন-শা-আল্লাহ.. তবে আমি আপনাকে একটা নসিহত করতে পারি যে, আপনি কিছুদিন বদনজরের রুকইয়া করে দেখতে পারেন.. ইন-শা-আল্লাহ ভালো ফলাফল পেতে পারেন.. 

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://ifatwa.info/20220/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ 

পর্দা মহান আল্লাহ তায়ালার ফরজ বিধান,যাহা অকাট্য ভাবে প্রমানীত, এটি মুমিন পুরুষ নারী সকলের জন্যই।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
    
قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ [٢٤:٣٠] 

وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١] 

মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।

ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। {সূরা নূর-৩০-৩১}

★কেহ যদি আল্লাহ তায়ালার এই ফরজ বিধানকে নিয়ে ঠাট্রা করে,হাসি তামাসা করে,অস্বীকার করে,বিরুপ মন্তব্য করে,ঘৃণা করে, তাহলে সে মুরতাদ হয়ে যাবে।

যেমন দাড়িকে নিয়ে কেহ যদি ঠাট্রা করে,বিরুপ মন্তব্য করে,তাহলে সে মুরতাদ হয়ে যাবে।
(আপকে মাসায়েল আউর উনকা হল ৭/৮৮) 
,
তেমনিভাবে নামাজ নিয়ে কেহ ঠাট্রা করলে সে মুরতাদ হয়ে যাবে।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
আপনি ঈমান নবায়ন করবেন।
পুনরায় বিবাহ পড়িয়ে নিবেন।
,
আপনি উক্ত গ্যাসজনিত অসুস্থতাত জন্য চিকিৎসা নিবেন।
আর ওয়াসওয়াসা উক্ত বিষয় মাথায় আসতেই দিবেননা,ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দিবেননা।
ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দেয়ার কারনে এক নামাজ বার বার পড়তে গিয়ে আপনি নামাজ নামক ফরজ বিধানলে গালি দিয়ে ফেলেছেন।

সুতরাং ওয়াসওয়াসা অনুযায়ী কোনো কাজ করবেননা।
ওয়াসওয়াসা আসলেই বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন। 
অন্য কাজে মনোযোগ দিবেন।       

আশে পাশে মহিলাদের দ্বীনি তালিম হলে সেখানে যাওয়ার পরামর্শ রইলো।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...