আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
234 views
in সালাত(Prayer) by (29 points)

১. নামাজের পর যে তাসবীহ (সুবহান আল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার, আল্লাহু আকবার ৩৪ বার) পড়া হয় তা কি ফরজ নামাজের পর পড়তে হয় না উক্ত ওয়াক্তের সব নামাজ আদায় করার পর পড়তে হয়?

২. নামাজে রুকু সিজদার সময় রুকু রুকু সিজদার তাসবীহ এর স্থলে ভূলে অন্য দুয়া পড়া শুরু করার পর মনে আসলে তাসবীহ পড়ে নেয়া হয়৷ এ অবস্থায় কি নামাজ হয়েছে? নাকি সাহু সিজদাহ দিতে হবে অথবা পুনরায় আদায় করতে হবে?  জামায়াতে নামাজ আদায়ের সময় নিজের ভূলের জন্য সাহু সিজদাহ দেওয়ার নিয়ম কি?

৩. নামাজের শেষ বৈঠকে ওযু ভেঙে গেলে কি পুনরায় ওযু করে শুধু বৈঠক করতে হবে নাকি শেষ রাকাআত পুরো আদায় করতে হবে?

৪. নামাজের প্রথম বা তৃতীয় রাকাআতে ভূলে বৈঠকে বসে তাশাহুদ পড়া শুরু করার পর মনে পড়লে উঠে গিয়ে ঠিকমতো নামাজ পড়লে কি সাহু সিজদাহ্ দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (714,440 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সুন্নাহ হল, কোনো ওয়াক্তের সকল প্রকার নাসায তথা সুন্নত,ফরয, নফল নামায পড়ার পর আদায় করা।হ্যা কেউ যদি প্রত্যেকটা নামায তথা ফরযের পর একবার পড়ে,এবং সুন্নতের পর আরেকবার পরে,এবং নফলের পর আরেকবার পড়ে, তাহলে সেটাও প্রশংসনীয় কাজ।

(২)
যদি নামাজে রুকু সিজদার সময় রুকু রুকু সিজদার তাসবীহ এর স্থলে ভূলে অন্য দুয়া পড়া শুরু করার পর মনে আসলে তাসবীহ পড়ে নেয়া হয়৷ তাহলে এ অবস্থায়ও নামাজ হয়ে যাবে। সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না। জামাতের মুক্তাদির কোনো ভূল হলে সাহু সিজদা আসে না।

(৩)
https://www.ifatwa.info/3464 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
وإن سبقه الحدث بعد التشهدتوضأ وسلم؛ لأنه لم يبق عليه سوى السلام، وإن تعمد الحدث تمت صلاته؛ لأنه لم يبق عليه شيء من أركان الصلاة، وقد تعذر البناء لمكان التعمد وإذا لم يبق عليه شيء من أركان الصلاة تمت صلاته
যদি তাশাহুদ পড়ার অজু চলে যায়,তাহলে সে অজু করে এসে সালাম ফিরিয়ে নেবে।কেননা তার উপর সালাম ব্যতীত নামাযের আর কোনো জরুরী বিষয় বাকী নেই।কিন্তু যদি কেই ইচ্ছাকৃত অজুকে ভেঙ্গে ফেলে তাহলে তার নামায পূর্ণ হয়ে যাবে।কেননা তখন তার উপর নামাযের আর কোনো রুকুন অবশিষ্ট নেই।ইচ্ছাকৃত নামায ভঙ্গ করার ধরুণ বিনা তথা পূর্বের নামাযের অবশিষ্ট কিছু অংশকে আবার আদায় করা।সুতরাং যখন কারো উপর নামাযের কোনো রুকুন আর বাকী থাকবে না,তখন নামায সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।(অাল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-২৪/৮৯)

সুনানে আবু-দাউদে বর্ণিত রয়েছে,
 «إذا قلت هذا أو فعلت فقد تمت صلاتك إن شئت أن تقوم فقم، وإن شئت أن تقعد فاقعد»
যখন তুমি তাশাহুদ পড়ে নিবে,তখন তোমার  নামায পূর্ণ হয়ে যাবে।চাইলে তুমি  নামাযকে ছেড়ে দিয়ে(তথা ইচ্ছাকৃত নামাযকে ভঙ্গ করে আবার) দাড়াতে পারো।এবং চাইলে তুমি বসে থাকতেও পারো।

সুতরাং শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ার পর যদি কেউ ইচ্ছাকৃত ওযু ভেঙ্গ দেয়,তাহলে নামায সম্পন্ন হয়ে যাবে।আর অজু করার কোনো প্রয়োজনিয়তা থাকবে না।

(৪)
সাহু সিজদা দিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (714,440 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by
তাশাহুদ পড়ার মাঝে ওযু ভেঙে গেলে কি করতে হবে? আসলে আমার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে। তাই জিজ্ঞেস করলাম। 

জাঝাকাল্লাহুল খইরান। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...