আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
500 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (13 points)
edited by
স্ত্রী তালাকের অধিকার পাওয়ার পর যদি কারো অন্য কথার প্রসঙ্গে স্ত্রী যদি বলে আমিই তো স্বাধীন (তালাকের কোনো বিষয়েই না বরং বাপের বাড়ি আসার সুযোগ পেয়ে বাপের বাড়ি এসেছে এজন্য বলে) কিন্তু স্ত্রী মারাত্নক ওয়াসওয়াসার রোগী তাই স্বাধীন শব্দটা বলার সময় তালাকের নিয়তের ওয়াসওয়াসা তার মাথায় চলে আসে।কিন্তু কি ধরনের নিয়ত আসছিলো সেটা মনে নেই।অন্যান্য সময়ও ওয়াওয়াসার কারণে তালাকের কথাটা মাথায় ঘুরতেই থাকে বিশেষ করে ঐ ধরনের শব্দ বললে বা শুনলে তালাকের ওয়াসওয়াসা অটোমেটিক মাথায় চলে আসে না চাইতেই।কিন্তু স্ত্রী যখন বলেছিলো "আমিই তো স্বাধীন" এই বাক্যটা বলার আগ মুহূর্তেও কোনো তালাকের নিয়ত আসেনি বরং অন্য প্রসংগে বলতে চেয়েছে।তবে স্বাধীন শব্দটা বলার আগে নাকি বলার সাথে সাথে তা** নিয়তের চিন্তা মনে চলে আসে(আসলে কি নিয়ত এসেছে মনে নেই)।(এখানে উল্লেখ্য স্ত্রী তালাকের অধিকার পেয়েছে আগে।)

১.স্ত্রীর বলা বাক্যটা(আমিইতো স্বাধীন) কি নিজের নফসের উপর তালাক নেয়া মুলক বাক্য বোঝায়??আর সত্যি সত্যি যদি সে তালাকের নিয়তে বলতো তাহলে কি এ কথা দ্বারা তালাক পতিত হতো??

২.স্ত্রী যে বলেছে "আমিই তো স্বাধীন" কিন্তু এটা বলেনি যে আমি তোমার থেকে নিজেকে স্বাধীন করে নিচ্ছি, বা আমি নিজেকে স্বাধীন করে নিলাম বা নিচ্ছি এবং "আমিই তো" এতটুকু কথার বলার আগেও তালাকের কোনো নিয়ত আসেনি স্বাধীন শব্দ টা বলার সাথে সাথেই  মনে এ চিন্তা চলে আসছে।  তখন তালাকের নিয়তেও বলতে চায়নি বরং ওয়াসওয়াসার কারণে মনে তালাকের নিয়ত চলে আসছে।তবুও কি স্ত্রীর উক্ত কথা বলার দ্বারা  এবং মনে ঐ ধরনের চিন্তা আসার কারণেও কি নিজের উপর তালাক পতিত হবে??

৩.স্ত্রীর তালাকের ব্যাপারটা নিয়ে খুব ভাবে কিছু হলে মন না চাইতেও এধরনের শব্দ সামনে আসলেই বা শুনলে তালাকের চিন্তা চলে আসে তাই তার ক্ষেত্রে কি বিধান হবে??সে নিজেকে স্বাধীন করে নিয়েছে এমন কিছু বলেনি।সবটা পড়ে একটু  বুঝিয়ে সমাধান দিন একটু ক্লিয়ার হওয়া দরকার।

৪.আমার স্বামী আগে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কেনায়া বাক্য বলছে বেশির ভাগ রাগান্বিত অবস্থায় বলছে।আর এগুলো তখন ই বলতো যখনই আমি তাকে তালাকের নিয়তের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতাম।সে আমার উপর অসন্তুষ্ট ছিলো।আমি ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত তাই তাকে বারবার জিজ্ঞেস করতাম।সেও খুব রেগে যেত এবং এমন কিছু বাক্য বলতো যে গুলো কেনায়া।আবার মাঝে মাঝে শান্ত হয়ে উত্তর দিত কিন্তু মনে হয়তো রাগ থাকতো।আমাদের মধ্যে মনোমালিন্য বেরেই চলতো।সে বলতো তুমি আমাকে হ্যারাজ করছো।আমার প্রশ্নের উত্তর এমন ভাবে দিত যাতে পরবর্তীতে আমার ওয়াসওয়াসা আরো বেড়ে যেত।এখন অনেক গুলো কেনায়া শব্দ যা সে আমাকে বলেছে আমি আসলে তার নিয়ত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করিনি দু একটা জিজ্ঞেস করছি সবটা করিনি কিন্তু সমস্যা কমার বদলে আরো বেড়েছে এখন তাকে কি আমার এ বাকি কনায়া শব্দ সম্পর্কে আর জিজ্ঞেস করা ঠিক হবে??আমার ওয়াসওয়াসা তো কমে না আরো বাড়ে মনোমালিন্য তৈরি হয়।জিজ্ঞেস করতে ভয় লাগে যদি উল্টপাল্টা কোনো উত্তর দেয় বা রেগে যায়।তাকে জিজ্ঞেস করতে করতেই সমস্যা এতদুর গড়িয়েছে।এখন তাকে কি সব কেনায়া শব্দ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা ঠিক হবে নাকি জিজ্ঞেস না করাটা আমার জন্য ভালো হবে??জিজ্ঞেস না করলে আমি কি পাপি হবো??

1 Answer

0 votes
by (677,640 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/36539/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক (নিজের নফসকে) দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা। 

(০২)
না,তালাক হবেনা।

(০৩)
টেনশনের কিছু নেই,উপরে উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা।

(০৪)
প্রশ্নের যাবতীয় তথ্য মোতাবেক বুঝা যাচ্ছে যে এখানে  স্বামীর যেহেতু কোনো তালাকের নিয়ত ছিলোনা,তাই তালাক পতিত হয়নি।
  
পূর্বের কেনায়া বাক্য নিয়ে আর তাকে জিজ্ঞাসা করবেননা।

(০৫)
আপনি দ্বীন থেকে বের হয়ে যাওয়া মূলক কোনো কাজ না করলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো সমস্যা হবেনা।    
(০৬)
আপনি দ্বীন থেকে বের হয়ে যাওয়া মূলক কোনো কাজ না করলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আমার প্রশ্ন ছিলো 

১ঃস্বামী যদি বউ কে বলে তুমি আমাকে তালাক দিবা তাহলে এটা কি তাকালের অনুমতি প্রদান করা বোঝায় নাকি আবেদন হবে??

আর অনুমতি হলে স্বামী পরে এই অনুমতি বাতিল কিভাবে করবে???

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...