আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
329 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
কুকুর খাওয়া নাকি মালেকি মাজহাবে অপছন্দনীয়,হানাফীতে এইটা হারাম মনে হয়! কিন্তু শিকারী প্রানী খাওয়া তো হারাম! কুকুর কি শিকারী না!?
হারাম আর হালালের ব্যাপারটা যদি একটু ক্লিয়ার করতেন!


এই বিষয়ে কিছুই জানি না, যদি একটু ডিটেইলসে জানাতেন কেনই বা এইটাকে জায়েজ করা হয়েছে!?

1 Answer

+1 vote
by (63,560 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

وَيُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ الْخَبَائِثَ

তাদের জন্য যাবতীয় পবিত্র বস্তু হালাল ঘোষনা করেন ও নিষিদ্ধ করেন নিকৃষ্ট প্রাণী ও বস্তুসমূহ। সূরা আরাফ, আয়াত নং-১৫৭

আর নিশ্চয় কুকুর নিকৃষ্ট প্রাণী সমূহের অন্তর্ভূক্ত। তাই কুকুর খাওয়াও হারাম।

 

https://ifatwa.info/23143/?show=23143#q23143 নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,

শরীয়তের বিধান হলো কুকুর কোনো খাবারে মুখ দিলে সেই খাবার নাপাক হয়ে যাবে।

সেটি আর খাওয়া যাবে না।

এক্ষেত্রে সেই খাবার ফেলে দিয়ে উক্ত পাত্র তিন বার ধৌত করতে হবে। কিছু হাদীসে সাত বার ধোয়ার কথাও উল্লেখ রয়েছে । 

 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحَسَنِ، قَالَ حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، قَالَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي زِيَادُ بْنُ سَعْدٍ، أَنَّ ثَابِتًا، مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا وَلَغَ الْكَلْبُ فِي إِنَاءِ أَحَدِكُمْ فَلْيَغْسِلْهُ سَبْعَ مَرَّاتٍ " .

ইবরাহীম ইবনু হাসান (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কারও পাত্র থেকে কুকুর মুখ দেবে, তখন সে যেন তার পাত্রটি সাতবার ধৌত করে। সহীহ, ইবনু মাজাহ হাঃ ৩৬৩, ৩৬৪, বুখারী হাঃ ৭১২, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ৫৬০, নাসায়ী ৬৪)

 

কুকুর যেই পাত্রে মুখ দিবে সেই পাত্র যদি নাপাক হয়ে যায়।  তাহলে এর দ্বারা বুঝে আসে যে, কুকুরের লালা, গোশত নাপাক। সুতরাং কুকুরের গোশত খাওয়া নাজায়েজ।

 

হাদীস শরীফে এসেছে-

نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ كُلِّ ذِي نَابٍ مِنَ السِّبَاعِ.

আবূ সা'লাবা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁত বিশিষ্ট সকল হিংস্র জন্তু খেতে নিষেধ করেছেন। সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫১২৯

আর কুকুরও দাঁত বিশিষ্ট হিংস্র জন্তুর অন্তর্ভূক্ত।

 

قالت لجنة الفتوى بمجمع البحوث الإسلامية، إن أكل لحم الكلاب والقطط غير جائز شرعًا، وهو ما يؤكده قول رسول الله صلى الله عليه وسلم:"أكل كل ذي ناب من السباع حرام".

 

وأضافت اللجنة فى بيان لها اليوم الأربعاء: "ما ورد في صحيح مسلم أن رسول الله - صلى الله عليه وسلم - "نهى عن أكل كل ذي ناب من السباع..."، ويدخل في كل ذى ناب: الكلب والهر أي: (القط) كما وروى الترمذي وأبو داود من حديث جابر - رضي الله عنه -  وغيره قال: "نهى النبي - صلى الله عليه وسلم - عن أكل الهر......" (القط".

 

وانطلاقا من هذا التأصيل الشرعى، أكدت اللجنة أن ما أثير مؤخرًا من جواز أكل لحم الكلاب والقطط منسوبًا إلى مذهب المالكية غير صحيح، بل الصحيح في مذهب المالكية ما جاء في موطأ الإمام مالك من حرمة أكل الكلاب والقطط وكل ذي ناب من السباع، كما هو مذهب الجمهور، ففى الموطأ - رواية يحيي- قال: باب تحريم أكل كل ذي ناب من السباع،  وتابعت اللجنة: أن الإمام مالك قال: وهو الأمر عندنا- يعني أهل المدينة- وهذا هو القول الراجح لقوة دليله وموافقة الجمهور، وعليه: فيحرم أكل لحم الكلاب والقطط، وما ينسب إلى مذهب السادة المالكية من إباحة الأكل غير صحيح

মর্মার্থ: প্রসিদ্ধ বর্ণনা অনুযায়ী মালিকী মাজহাবেও কুকুরের গোশত খাওয়া হারাম। (কপি)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. চারও মাজহাবেই কুকুরের গোশত খাওয়া হারাম। আর মালেকী মাজহাবের দিকে নিসবত করে বলা হয় যে, ‘মালেকী মাজহাবে কুকুরের গোশত খাওয়া মাকরূহ’ বক্তব্যটি সঠিক নয়।

 

২. হারাম দ্বারা উদ্দেশ্য হলো তা খাওয়া জায়েজ নেই। আর হালাল দ্বারা উদ্দেশ্য হলো তা খাওয়া জায়েজ আছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...