আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
77 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (28 points)
( উত্তর আস্তে ধীরে দিলে সমস্যা নেই। কিন্তু অনুরোধ থাকবে যেন প্রতিটা প্রশ্নের একটু বিস্তারিত উত্তর দেওয়া হয়। )

বর্তমানে লোগো, ফটোগ্রাফ, ইলাস্ট্রেশন ইত্যাদি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে অনলাইনে কোনো
কোম্পানি বা নিজস্ব ওয়েবসাইট বানানোর ক্ষেত্রে কিংবা বুক কভার ডিজাইন, ক্যালেন্ডার ডিজাইন, পোস্টার ডিজাইন ইত্যাদির ক্ষেত্রে।
যার ফলে অনেক ওয়েবসাইট লোগো, ইলাস্ট্রেশন, ফটো ইত্যাদি বিক্রি করে। কিন্তু সেই ওয়েবসাইটগুলো অমুসলিমদের হওয়ায় মোটাদাগে কয়েকটি ত্রুটি রয়ে গিয়েছে।

(১) তাদের ওয়েবসাইটে হারাম অ্যাড দেখায়
(২) প্রাণীর ছবি সংবলিত ডিজাইন বিক্রি করে

এরপরেও এসব ওয়েবসাইটগুলোতে অনেক মুসলিম কাজ করে। এই দিকটি বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এমন একটি ওয়েবসাইট বানাবো ইন শা আল্লাহ যেখানে
(১) কোনো প্রকার হারাম অ্যাড দেখাবে নাহ
(২) প্রাণীর ছবি সংবলিত কোনো ডিজাইন বিক্রি করা হবে নাহ
(৩) সম্ভব হলে ডিজাইনারদের ছোট ছোট হাদিস শেয়ার করার মাধ্যমে দাওয়ার কাজ করা হবে

বাহ্যিকভাবে আমাদের কাছে এখানে হারাম কিছু চোখে পড়েনি। তথাপি আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রশ্ন করার কারণ উম্মাহর জন্য কোনো কাজ করার আগে উলামাদের পরামর্শ গ্রহণ করাটা প্রয়োজন।  এখন আমাদের প্রশ্নঃ
(১) আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত আয় কী হালাল হবে?
(২) এরকম ওয়েবসাইট বানানো কতটুকু উত্তম হবে। অর্থাৎ আমাদের নিয়ত ভালো থাকলেও কী এখানে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা আছে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


শরীয়তের একটি বিধান হলো নারীর বিজ্ঞাপন যুক্ত ওয়েবসাইট তৈরী করা,হারাম এড সম্বলিত ওয়েবসাইট তৈরী করা ,সূদ ভিত্তিক বা হারাম কোনো কোম্পানির ওয়েবসাইট তৈরী করা,তা থেকে উপার্জন করা জায়েজ নেই।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ    

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

আরো জানুনঃ  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ওয়েবসাইটে যেহেতু শরীয়াহ নীতিমালা মানার পূর্ণ চেষ্টা করা হয়েছে,তাই অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য।
আপনাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত আয় হালাল হবে।

তবে কাহারো সম্পর্কে আগে থেকেই নিশ্চিত ভাবে জেনে থাকলে  কোনক সূদ ভিত্তিক বা হারাম কোনো কোম্পানির ওয়েবসাইট তৈরী করবেননা।

(০২)
অনেক অনেক উত্তম হবে,আলহামদুলিল্লাহ। 
হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা দেখছিনা।   

তবে আপনারা যেভাবে চাচ্ছেন,হুবহু এই নীতি মেনে ওয়েবসাইট কি আসলেই বানানো যাবে বা বানানোর পর তাহা এভাবেই হারাম মুক্ত রেখে বর্তমানে চালানো যাবে কিনা?  বিষয়টি সম্পর্কে ওয়েবসাইট সংশ্লিষ্ট দক্ষ কাহারো সাথে পরামর্শ করতে পারেন।      


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...