আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
125 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
আসসালামু আ'লাইকুম ওয়াহরহমাতুল্লোহি ওয়াবারকাতুহ,

উস্তাজ আমি হয়তোবা হেদায়েত পেয়েছিলাম এক কালে আমি ইসলামের কিছুই জানতাম না কোনো এক কারণ বশত আমি আল্লাহর কাছে ফিরে আসি তিনি আমাকে ইলম অর্জনের তাওফিক দেন৷  আগে আমি জেনে বুঝে কারোর ক্ষতি কররাম না কারোর হক নষ্ট করতাম না আর লোভীও ছিলাম না প্রশংসার প্রতি আগ্রহও ছিলো না।
সব কিছু সুন্দর ছিলো আমার আমল ইবাদতে আমি প্রচুর তৃপ্তি পেতাম যা এখন আর পাইনা আমার আল্লাহ অনেক নারাজ আমি দ্বীন বুঝার পর খুব যেচে মিশতাম গুনাহ থেকে দূরে থাকতাম এখন আর আমি পারিনা আমাকে দুনিয়াবি লোভ লালসা ঘিরে ধরছে,  আমি প্রশংসার চিন্তা করি যদিও কেউ প্রশংসা করলে আমজ ভয়ে সরে যাই বা সব দিক থেকে নিজেকে দূরে রাখি তবু আমার নফস এর ভাবনা এর সাথে আমি পারছিনা এখন তো শয়তান নেই আমি কেনো এমন করছি৷  আমি একজন হক্ব নষ্ট কারী, লোভী, দুনিয়াবি মানুষ হয়ে গেছি আমার সেই শুরুর নূর হারিয়ে বসেছি৷
আমার চোখ থেকে অশ্রু ঝড়ছে আপনাদের জ্বালাতে চাইনা তবুও না পারতে জানাচ্ছি৷  আমাকে এমন কোনো আমল দেন যে আমল আমার নফস এর গোলামি করবেনা। আমার দুনিয়া চাইনা আমার অন্তর বুঝে আবার অন্তরেই আমারে ধোকা দেয়৷  শয়তান থেকেও জালেম আমার এই নফস। আমি যার হক্ব নষ্ট করেছি তাকে সরাসরি কিছু বলিনি তবে ক্ষমা চায় সবসকয় সেও বলে সে ক্ষমা করেছে।  কিন্তু আমি শান্তি পাইনা!  আমার ইবাদত ছুটে যায় যোহরের স্বলাত বিশেষ করে৷  কি করবো প্লিজ প্লিজ জানাবেন৷
আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিক আমিন

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
বেশি বেশি নেককারদের সাথে উঠাবসা করুন।
বাসায় তা'লিমের ব্যবস্থা করুন।
হক্কানী শায়েখদের রেকর্ডকৃত বয়ান শুনুন।
তাদের লিখিত কিতাব পড়ুন।
নফস শয়তানের হাত হতে বাঁচার জন্য আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন। 
বেশি বেশি যিকির করবেন,কবরের কথা স্বরন করবেন।
প্রয়োজনে মাহরাম পুরুষ নিয়ে কবরস্থানে যাইবেন।   

★আমরা আপনাকে বেশি পরিমাণে কোরআন তেলাওয়াত করার ও শোনার পরামর্শ দিচ্ছি। এ মর্মে আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا
আর যখন তাদের সামনে পাঠ করা হয় কালাম, তখন তাদের ঈমান বেড়ে যায়। (সূরা আনফাল ২)

★আপনি বুঝে বুঝে নবীদের কাহিনী, সাহাবায়ে কেরামের জীবনী পাঠ করবেন।

★অধিকহারে আল্লাহর যিকির করুন। 

মুমিনের অন্তর যিকিরের মাধ্যমে প্রশান্ত হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন,

الَّذِينَ آمَنُواْ وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُم بِذِكْرِ اللّهِ أَلاَ بِذِكْرِ اللّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ

যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর যিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখ, আল্লাহর যিকির দ্বারাই অন্তর সমূহ শান্তি পায়। (সূরা রা’দ ২৮)

আল্লাহ ও তাঁর রাসুল -কে সবচেয়ে বেশি মহব্বত করুন এবং তাঁদের হুকুমগুলোকে সব কিছুর চাইতে বেশি প্রাধান্য দিন। 

★আখিরাতের তুলনায় দুনিয়ার সামান্যতার কথা চিন্তা করুন। এর দ্বারা ঈমান বৃদ্ধি পাবে। আল্লাহ তাআলা বলেন,

 إِنَّمَا مَثَلُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا كَمَاءٍ أَنزَلْنَاهُ مِنَ السَّمَاءِ فَاخْتَلَطَ بِهِ نَبَاتُ الْأَرْضِ مِمَّا يَأْكُلُ النَّاسُ وَالْأَنْعَامُ حَتَّىٰ إِذَا أَخَذَتِ الْأَرْضُ زُخْرُفَهَا وَازَّيَّنَتْ وَظَنَّ أَهْلُهَا أَنَّهُمْ قَادِرُونَ عَلَيْهَا أَتَاهَا أَمْرُنَا لَيْلًا أَوْ نَهَارًا فَجَعَلْنَاهَا حَصِيدًا كَأَن لَّمْ تَغْنَ بِالْأَمْسِ ۚ كَذَٰلِكَ نُفَصِّلُ الْآيَاتِ لِقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ

পার্থিব জীবনের উদাহরণ তেমনি, যেমনি আমি আসমান থেকে পানি বর্ষন করলাম, পরে তা মিলিত সংমিশ্রিত হয়ে তা থেকে যমীনের শ্যামল উদ্ভিদ বেরিয়ে এল যা মানুষ ও জীব-জন্তুরা খেয়ে থাকে। এমনকি যমীন যখন সৌন্দর্য সুষমায় ভরে উঠলো আর যমীনের অধিকর্তারা ভাবতে লাগল, এগুলো আমাদের হাতে আসবে, হঠাৎ করে তার উপর আমার নির্দেশ এল রাত্রে কিংবা দিনে, তখন সেগুলোকে কেটে স্তুপাকার করে দিল যেন কাল ও এখানে কোন আবাদ ছিল না। এমনিভাবে আমি খোলাখুলি বর্ণনা করে থাকি নিদর্শণসমূহ সে সমস্ত লোকদের জন্য যারা লক্ষ্য করে। (সূরা ইউনুস ২৪)

★নেককারদের সাথে থাকবেন।
বদ লোকদের সাথে উঠাবসা কমিয়ে দিন।
ঘরে আমলি পরিবেশ ঘড়ে তুলুন।

আল্লাহ তাআলা বলেন,

إِنَّمَا وَلِيُّكُمُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَالَّذِينَ آمَنُوا الَّذِينَ يُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَهُمْ رَاكِعُونَ

নিঃসন্দেহ তোমাদের বন্ধু হচ্ছেন কেবলমাত্র আল্লাহ্ এবং তাঁর রসূল, আর যারা ঈমান এনেছে, আর যারা নামায কায়েম করে, আর যাকাত আদায় করে, আর তারা রুকুকারী। (সূরা মায়িদা ৫৫)
(কিছু তথ্য সংগৃহীত।)

★সু-প্রিয় বোন, 
সর্বোপরি আপনাকে বিভিন্ন রকমের নেক আমল করা এবং গুনাহ বর্জনের পরামর্শ দিচ্ছি। কেননা, যেকোনো নেক আমল ঈমানকে বৃদ্ধি করে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (20 points)
আমার বাসায় তালিমের সিস্টেম নেই আমার পরিবার এর কেউ দ্বীনদার না আল্লাহর ইচ্ছাই দুয়া এর উসিলাই আব্বু দাড়ী রাখেন ও নামাজ পড়ছেন তবে আমার মন মত কেহ নেই সবার জন্য দুয়া করি৷  আমি তালিমে বসি তালিম দেই অনলাইনে আর আমার বোনেরা সবাই দ্বীনদার ওনাদের সাথে কাটাই আমার বেশীর ভাগ সময় তবুও আমার নফস আমার কন্ট্রোলে নেই৷ 

কোরয়ান তিলোওয়াত কমে গেসে সেটা বাড়াবো আগে জিকির করতাম ইদানীং আলসামী আসে জোর করে জিকির করি।  

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...