আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
220 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (16 points)
আমি বিদেশে থাকি। আমার মাঝে মাঝে জরুরি কাজে দেশ থেকে টাকা আনানোর প্রয়োজন পরে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা পাঠানোর কোন বৈধ উপায় নাই। এক্ষেত্রে আমি এখানে থাকা কোন ব্যক্তির ফ্যামিলিকে দেশে টাকাটা দেয়ার ব্যবস্থা করি আর সেই ব্যক্তি আমাকে এখানে কোরিয়ান ওন দিয়ে দেয়। এটা কি জায়েয? নাকি এটা হুন্ডির মত তাই জায়েয হবে না?
এটা যাতে সুদ না হয়, সেজন্য ঠিক যেই মুহুর্তে আমাকে এখানে কোরিয়ান ওন দিচ্ছে সেই ব্যক্তি, ওই একই মুহুর্তে এক্সচেঞ্জ রেট এ কত টাকা হয়, এক্সাক্টলি ওই পরিমাণ টাকাই দিয়ে দিচ্ছি দেশে তার ফ্যামিলিকে।আমি জানি টাকা হাতে হাতে এক্সচেঞ্জ করতে হয়। তাই এই বিনিময়টা প্রায় একই সময়ে করার চেষ্টা করি, যাতে এটা সুদ না হয়। এভাবে করা কি ঠিক হচ্ছে? নাকি আমি গুনাহগার হচ্ছি?

1 Answer

0 votes
by (709,720 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/198 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
সাধারণত মুদ্রার লেনদেন দুইভাবে হতে পারে।যথা-
(ক)ভিন্ন দেশের কারেন্সির লেনদেন।
(খ)একই দেশের কারেন্সির লেনদেন।
প্রথম প্রকারের লেনদেনকেই ফরেক্স বলা হয়।
তথা ভিন্ন দুই দেশের মুদ্রার লেনদেনকেই ফরেক্স বলা হয়।

(ক)
ভিন্ন দেশের কারেন্সির লেনদেন
এক দেশের কারেন্সি আরেক দেশের কারেন্সির বিনিময়ে কমবেশি করে বিক্রি করা জায়েজ আছে। তবে এক্ষেত্রে মজলিসেই কমপক্ষে একপক্ষ টাকাটি হস্তগত করে নিতে হবে। যদি একজনও তাদের বিনিময়কৃত কারেন্সি হস্তগত না করে তাহলে ক্রয় বিক্রয়টি জায়েজ হবে না। (জাদীদ ফেকহী মাসাঈল;৪/২৮জাদীদ মু'আমালাত কে শরয়ী আহকাম;১-১৩৯)

(খ)
একই দেশের কারেন্সির পরস্পর লেনদেনের সময় সমতা রক্ষা করা আবশ্যক। কমবেশি করে বিক্রি করলে উক্ত ক্রয় বিক্রয় জায়েজ হবে না।
যেমন বর্ণিত রয়েছে,
ﻓﻰ ﺍﻟﻬﺪﺍﻳﺔ - ﻭﻳﺠﻮﺯ ﺑﻴﻊ ﺍﻟﻔﻠﺲ ﺑﺎﻟﻔﻠﺴﻴﻦ ﺑﺄﻋﻴﺎﻧﻬﻤﺎ ” ﻋﻨﺪ ﺃﺑﻲ ﺣﻨﻴﻔﺔ ﻭﺃﺑﻲ ﻳﻮﺳﻒ، ﻭﻗﺎﻝ ﻣﺤﻤﺪ : ﻻ ﻳﺠﻮﺯ ﻷﻥ ﺍﻟﺜﻤﻨﻴﺔ ﺗﺜﺒﺖ ﺑﺎﺻﻄﻼﺡ ﺍﻟﻜﻞ ﻓﻼ ﺗﺒﻄﻞ ﺑﺎﺻﻄﻼﺣﻬﻤﺎ، ﻭﺇﺫﺍ ﺑﻘﻴﺖ ﺃﺛﻤﺎﻧﺎ ﻻ ﺗﺘﻌﻴﻦ ﻓﺼﺎﺭ ﻛﻤﺎ ﺇﺫﺍ ﻛﺎﻧﺎ ﺑﻐﻴﺮ ﺃﻋﻴﺎﻧﻬﻤﺎ ( ﻫﺪﺍﻳﺔ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺒﻴﻮﻉ، ﺑﺎﺏ ﺍﻟﺮﺑﻰ - 3/85 ، ﻃﺒﻊ ﺭﺣﻤﺎﻧﻴﺔ)
ﻓﻰ ﺍﻟﻤﺴﺘﺪﺭﻙ ﻟﻠﺤﺎﻛﻢ - ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ، ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲَّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ « ﻧَﻬَﻰ ﻋَﻦْ ﺑَﻴْﻊِ ﺍﻟْﻜَﺎﻟِﺊِ ﺑِﺎﻟْﻜَﺎﻟِﺊِ » ( ﻣﺴﺘﺪﺭﻙ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺼﺤﻴﺤﻴﻦ - 2/65 66- ، ﺭﻗﻢ 2342- ، ﺷﺮﺡ ﻣﻌﺎﻧﻰ ﺍﻵﺛﺎﺭ، ﺭﻗﻢ 5554- ، ﺳﻨﻦ ﺍﻟﺪﺭﻗﻄﻨﻰ، ﺭﻗﻢ 3060-

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
এভিবে ফরেন এক্সেঞ্জ জায়েয। এতে কোনো সমস্যা হবে না।আপনার সম্পূর্ণ লিখা পড়েই আপনাকে বলছি যে,আপনার কৃত লেনদেন জায়েয।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (709,720 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...