আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
66 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ্। আমি যে বিষয়টা জানতে চাচ্ছি তা হলো—
আমার আব্বা অসুস্থ। আব্বার অসুস্থতা দেখে আব্বাকে পঙ্গুভাতা দিতে চায় যা আমি জানতাম না। পরে জানতে পেরেছি। জানার পর আমি আব্বাকে ভাতার টাকা নিতে ও তুলতে নিষেধ করি। কিন্তু দেরী হয়ে যায়। আমার আব্বার নাম তার আগেই দেওয়া হয়ে গিয়েছিলো।  আমার আব্বা পঙ্গু না। তবে তার অসুস্থতাটা এমন যে তিনি স্বাভাবিক হাটাচলা করতে পারে না। হাটলে পায়ের রগগুলো টানে ধরে যার ফলে হাটতে খুবই সমস্যা হয়। আব্বার হাটার লিমিটেশন রুম টু বাথরুম আর বাথরুম টু রুম। যেদিন ডক্টরের কাছে যেতে হয় তখন বাসা থেকে প্রায় ৩০ সেকেন্ড সামনে হেটে অটোতে উঠে। বাসা থেকে ৩০ সেকেন্ড/১ মিনিট  সামনে মুদি দোকানে/ মসজিদে (শুক্রবারে যাওয়ার চেষ্টা করে) মাঝে মাঝে খুব কষ্ট করে যায়।  নামাজ চেয়ারে বসে পড়ে। রুকু সিজদা করতে পারে না।  কষ্ট হয়। মাঝে ওযুও করতে পারতো না। এখন পারে আলহামদুলিল্লাহ। (এটা হয়তো চিকিৎসার তারতম্যের কারণে)।  চিকিৎসার ফলে হয় খুব দ্রুতগতি হয়ে যায় শরীরের মুভমেন্ট। নয়তো খুবই ধীর। আব্বা স্বাভাবিক হাটতে পারে না। কিছুটা খুরিয়ে খুরিয়ে হাটার মত। চিকিৎসার শুরুর দিকে সিটি স্কিন করেছিলো তখন রিপোর্টে আসছিলো আব্বার মাথার একটা ভ্যান শুকিয়ে গেছে যার দরুণ শরীর ধীরে ধীরে বিশেষ করে হাত পা অচল হয়ে আসবে। চিকিৎসার মাধ্যমেই সুস্থ থাকবে। (ডক্টরের ভাষ্যমতে বিস্তারিত বলছিনা)।  আসলে সাজিয়ে বলতে পারছিনা। যাইহোক, এত কতা বলার কারণ, আমি যেটা জানতে চাচ্ছি, আমার আব্বার অসুস্থতার জন্য আব্বাকে পঙ্গুভাতার করে দিতে চায় একজন। আমি জানতাম না। পরে জানতে পারি আর জানার পর আব্বাকে এই ভাতা নিতে নিষেধ করি। কারণ আমার আব্বা তো পঙ্গু না। উনি অসুস্থ। উনি কিভাবে পঙ্গু ভাতা নিতে পারে। আব্বাকে বুঝিয়ে বলার পর বুঝে। কিন্তু আমি অনেক দেরীতে জানতে পারি।  তার আগেই আব্বার ভাতার জন্য সিলেক্টেড করে দেয় (যে করে দিয়েছে সে পরিচিত ব্যক্তি আব্বার)। টাকাও নগদ একাউন্টে  চলে আসে। আমি জানতে চাচ্ছি এই টাকাটা এখন আমরা কি করবো। আমি ভাবছি কোনো প্রতিষ্ঠানে দিয়ে দিব সওয়াবের আশা ছাড়া। আমার মনে হচ্ছে যেহ্বতু আব্বা পঙ্গু না তাই এভাবে মিথ্যা বলে টাকা নেওয়াটা ঠিক হবে না।  একজনের হক নষ্ট হবে। যে আসলেই প্রাপ্য এটার। এই টাকাটা কি নেওয়া জায়েজ হবে নাকি গুনাহগার হব? আর এইটা টাকাটা আমরা না নিয়ে কি করতে পারি বা কোথায় দিতে পারি প্লিজ পরামর্শ দিন।  এটা নিয়ে প্রচুর টেনশনে আছি।

1 Answer

0 votes
by (686,560 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,

ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."

তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!

তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন।(মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনার বাবা যেহেতু পঙ্গু নয়,সে হিসেবে উক্ত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে।

যদি জমা দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।
,
উল্লেখ্য যে আপনার বাবা যদি সাহেবে নেসাব না হোন তথা যাকাত গ্রহনের উপযুক্ত হোন,তাহলে সরকারি নীতি অনুসারে অসহায় ও দরিদ্র হওয়ায় উক্ত টাকা ব্যায় করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...