আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (115 points)
১/আমি যাদু ও জ্বিন আক্রান্ত পেশেন্ট। রুকইয়াহ চলছে।আমি শারীরিকভাবে দুর্বল।আমিও মন থেকেও দুর্বল।কখনো কখনো কোনো কাজ করার আগে ভেবে নেই এইটা আমার দ্বারা হবেনা।এছাড়া রাতের ঘুম আমার ঠিকমতো হয়না।৬ঘন্টা থেকে কম হয়।এইটাও আমার চিন্তা লাগে।আমার রুকইয়াহ কর‍তে সময় লাগে। এছাড়া অন্যান্য ফরজ ইবাদতে আমার সময় লাগে।আমার তিলাওয়াত খুবই স্লো।এশার এর নামায ও অন্যান্য সব করতে করতে ৪৫মিনিট থেকে কম।বা বেশি মেবি লেগে যায়।এভাবে করতে করতে আমার দিন কাটে।সমস্যা হচ্ছে আমি আমার মা বোনকে বাসার কাজে তেমন হেল্প করতে পারিনা।দেখা যাচ্ছে আমার নর্মাল ইবাদত করতে করতেই এতো সময় যাচ্ছে যেমন ফরজ ইবাদাত, সুন্নাত।এছাড়া রুকইয়াহও আছে।এগুলোতে আমার সময় যায় এরপর যে আমি অন্য কাজে হাত দিবো ওইটায় মন থেকে তেমন আসেনা।এসব তো করাই লাগবে আমার।কিন্তু মাকে ও বোনকে সাহায্য করা হচ্ছেনা যার ফলে তাদের উপর চাপ পড়ছে।তারাও দুর্বল।আমার বাবা নেই।বাজার,বিল এসব জাতীয় কাজ আমাদের বা আপুর করা লাগে।এছাড়া বাসায় মিস্ত্রি আসলেও আমি কথা বলতে চাইনা কারণ ননমাহরাম। আপু কথা বলে।বাসার কোনো প্রব্লেম হলে ওর থেকে দেখা লাগে।যার ফলে এইদিক দিয়েও ওর উপর চাপ পড়ে!আবার আমার রাতে ঘুম হয়না যার কারণে আবার সকালে ঘুমায়ে হয়!আমি সকালের নাস্তা টাও বানাই না প্রায়সময়।আমি বুঝতে পারছিনা কি রেখে কি করবো? এছাড়া আমার ইবাদাত শুধু ফরজটুকু আদায় করলেও কেমনে কি করবো?আমার ইবাদত এর পরিমাণ তো খুবই কম।অল্প পরিমান ইবাদত করতেই আমার অনেক সময় যায়।বাড়তি যে আমল করবো তা এতো হয়ে উঠেনা। আবার এইদিকে আমার মা বোনের উপর ও চাপ পড়ছে।হয়তো তারা কাজ ই কম করলে ইবাদাত টা ভালোমতো করতে পারতো বা আরাম করতে পারতো!আমার কি করা উচিত?কিভাবে আল্লাহর হক,পরিবারের হক,নিজের হক মেইনটেইন করতে পারি?

২/ঈদের সময় তো রিলেটিভের বাসায় যাওয়া লাগে।সেখানে নন মাহরাম ও থাকে।এমতাবস্থায় আমার কি সেখানে যাওয়া উচিত?

1 Answer

0 votes
by (678,360 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
ইবাদত নামাজে আপনার অধিক সময় লাগানোর কারন আপনার হয়তোবা সহীহ ভাবে শরীয়াহ নিয়ম প্রাক্টিক্যাল ভাবে ফলো করা হচ্ছেনা।
যারা শুদ্ধ ভাবে নামাজ আদায় করে,তাদেরকে আপনি নিজ নামাজ দেখান।
তাদের পরামর্শ মেনে ছোট সূরা দিয়ে নামাজ আদায় করুন। 
ইনশাআল্লাহ প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ইবাদত নিয়ে এতো সময় আর লাগবেনা। 

শারীরিক চিকিৎসার প্রয়োজন হলে রুকইয়ার পাশাপাশি কোনো অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। 

কোন কান কোন সময় করবেন,কতক্ষন সে কাজ করতে লাগবে,এমন সময় রুটিন আগাকে লিখুন।
নির্দিষ্ট টাইমেই সেই কাজ করে পারিবারিক কাজ করবেন।

পারিবারিক কাজে লিপ্ত হলে আশা করা যায় আস্তে-ধীরে  প্রশ্নে উল্লেখিত আপনার হতাশা কমবে। 

(০২)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
    
قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ [٢٤:٣٠] 

وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١] 

মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।

ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। {সূরা নূর-৩০-৩১}

يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى

হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী ভঙ্গিতে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলী যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩২}

وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ

অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উক্ত আয়াত সমূহে পরিস্কার ভাষায় মেয়েদের অন্যের সামনে নিজেকে প্রকাশ করতে, অপ্রয়োজনে কথা বলতে, আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে। 

দ্বীনী বা অতিব প্রয়োজনীয় কথা থাকলে পর্দার আড়ালে থেকে  কম কথায় শেষ করে নিবে। অযথা কথা বলা হারাম।

★সুতরাং আপনি ঐ সব বাসায় গিয়ে নন মাহরামের সামনে পড়লে উপরোক্ত নীতিমাল মেনে চলবেন।
পূর্ণাঙ্গ পর্দা মেইনটেইন করে চলবেন।
যদি পূর্ণাঙ্গ পর্দা মেইনটেইন করা সম্ভব না হয়,তাহলে যাবেননা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...