আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
73 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
আমার হলে কুকার ব্যবহারের নিয়ম নেই,এটা অঙ্গীকার পত্রে সাইন করেই হলে আসি।

হলে প্রতিবেলায় খাবার কিনে খেতে হয় তাদের নিজস্ব ক্যান্টিন আছে। কিন্তু ক্যান্টিনের খাবারের মান খুব একটা ভালো না।আবার দাম ও বেশি।এই খাবারে শরীর সঠিক পুষ্টি পাচ্ছে না,যার কারণে দিন কে দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছি।গ্যাস্ট্রিক প্রবলেম থেকে শুরু করে আরো কিছু কঠিন রোগ ধরা পড়েছে যা এখানে উল্লেখ করছি না। এখানে আমার আরও চার বছর থাকতে হবে ইং শা আল্লাহ।

এখন আমি যদি হল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লুকিয়ে কুকার ব্যবহার করি এবং পরবর্তীতে হল ছাড়ার আগে বা হল যখন ছেড়ে দিবো তখন টোটাল ইউনিট বিল হিসেব করে মোট বিলটা হল কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে আসি(এর ভিতরে যদিও মারাও যাই যেহেতু হায়াতের নিশ্চয়তা নেই তাহলে আমার পরিবার এই টাকা শোধ করবেন,কারণ হিসাব আমার ডায়রীতে লেখা থাকবে সব ইং শা আল্লাহ) অঙ্গিকার ভঙ্গের গুনাহ হবে?বা আমি মুহাম্মাদ সাঃ এর উম্মত থাকবো না? যেহেতু চুক্তি ভঙ্গ হচ্ছে।

আর বিল পে করার আগে পর্যন্ত যতোবার কুকার ব্যবহার হবে ততোদিন ই কি আমার আমল নামায় চুক্তি ভঙ্গের/অনৈতিক কাজের গুনাহ লিখা হতে থাকবে?(কারণ আমি শুনেছি, হল ছাড়ার পর হিসেব করে বিল পে করলে সেটা হবে গুনাহের কাফফারা,এখন আমি কোনো হারাম কাজ করতে চাচ্ছি না জেনে শুনে হারাম কাজ করে সেই হারামের কাফফারা দিতে চাচ্ছি না) এক্ষেত্রে আমার করণীয় কী?

(বিঃদ্রঃ হল আমার জন্য নিরাপদ। যেহেতু গ্ৰাম এলাকা।তাই মেস করে থাকাও পসিবল না)

1 Answer

0 votes
by (697,280 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/8668 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা-২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم
  " ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না।(তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)
আরো জানুন-https://www.ifatwa.info/3747

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি প্রথমে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করবেন,তাদের কাছে রাইস কুকার চালানোর অনুমোদন প্রার্থনা করবেন। যদি তারা সহজে অনুমতি না দেয়, তাহলে আপনি অন্য কোনো ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবেন যেমন,কোরাসিন চালিত চুলা,বা গ্যাসের চুলার ব্যবস্থা করবেন।এবং এর জন্য হোষ্টেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রার্থনা করবেন।
যদি অন্য কোনোভাবে রান্নার ব্যবস্থা করা আপনার জন্য সম্ভবপর না হয়, তাহলে আপনি লুকিয়ে লুকিয়ে রাইস কুকার চালাতে পারবেন।তবে হিসেবে করে প্রতি সাপ্তাহ বা মাসে হোষ্টেলের একাউন্টে টাকা জমা দিয়ে দিবেন।মাসিক না পারলে,তৈ মাসিক হিসেবে জমা দিয়ে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...