আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
103 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বিয়ে হয়েছে ২.৫ বছর। আমি আমার হাসব্যান্ড এর সাথে থেকেছি ৩মাস। আমার হাসব্যান্ড বাংলাদেশি না। শ্বশুরবাড়ী যেতে হলে অন্য দেশ ঘুরে যেতে হয়। ডিরেক্ট ফ্লাইট নেই। যেটা অনেক ব্যয়বহুল। আমার কাছে মনে হয় আমার হাসব্যান্ড আমাকে ভালোবাসে না, আমার সাথে কোনো ইমোশনাল অ্যাটাচমেন্ট নেই উনার, আমি থাকলেই কি না থাকলেই কি তার কিছুই আসে যায় না। আমি বাংলাদেশে থাকি আমার পড়াশুনার জন্যে। বাবা বলেছে গ্র্যাজুয়েশন হলে বিদায় দিবেন।  এর মধ্যে আমার হাসব্যান্ড কখনো নিজে থেকে আসতে চান নি। আমি নিজেই গিয়েছিলাম শ্বশুরবাড়ী বিয়ের ১ বছর পরে করোনা কালিন ৩ মাসের জন্যে এটাই আমার সংসার ছিল। বিয়ের পরে আমার বাবা আমাকে থাকতে দেন নি। বিয়ের পরের দিন বাংলাদেশে চলে আসি। বিয়ের ১ বছর পরে যখন গিয়েছিলাম ১ বছরের ভিসা নিয়েছিলাম কারন ইউনিভার্সিটি অনলাইন ছিলো। আমি কখনো বাবা মা ছেড়ে থাকি নি। তখন স্বাভাবিক বাবা মায়ের কথা মনে পড়ত। বলেছিলাম বাসায় যাবো বাসার কথা মনে পড়ে। উনি ঠিকই ওই মাসেই আমার টিকেট কেটে বাসায় পাঠিয়ে দেন। ফোনে আমার সাথে সারাদিন বাদে তার রাতে কথা হয়। আমি বাংলাদেশে আসার প্রায় ১ বছর ৩মাস। এর মধ্যে উনি নিজে কখনো আসার কথা তো বলেন ই না আমি যেতে চেয়েছিলাম আবার গত বছর অক্টোবরে আমাকে নিষেধ করে আসতে উনী নাকি খারাপ স্বপ্ন দেখেছেন এজন্যে। পরে আমি টিকেট ক্যানসেল করে দিয়েছিলাম। তখন আমি বলি সে যেনো আসে। তার দেশ থেকে বাংলাদেশের ভিসা পেতে সমস্যা হয়, লং টাইম প্রসেস। প্রায় ৩/৪ মাস পরে দেয়।  পাসপোর্ট রেডী করেছিল কিন্তূ দেশ থেকে আমার বাবা ভিসার জন্য ইনভাইটেশন লেটার পাঠাতে দেরী করে, এর মধ্যে আমার শাশুড়ির শরীর অনেক খাড়াপ হয়ে যায়। আমার হাসব্যান্ড ই তার বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। আমার শশুর শাশুড়ী দুজনেই অনেক বয়স্ক। দেখাশুনার জন্য আমার হাজব্যান্ড ই আছে শুধু।এজন্য আমি আর ইনভাইটেশন লেটার পাঠাই নি। আমার এ বছর গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার কথা। কিন্তূ সিওর না শেষ হবে কি না। সে এখনো আমাকে আসতে বলে না। সামনে আমার সেমেস্টার ব্রেক আছে আমি নিজেই আবlর যাওয়ার কথা বলি সে বলে আচ্ছা, তখন টিকেট প্রাইস চেক করে। আর কিছু বলে নাই।  কথায় খুব একটা রেসপন্স পাই নি। নিউজ ফিড স্ক্রল করায় ব্যাস্ত ছিল আমার রাগ হয় আমি ফোন কেটে দেই। সে আমাকে ৩ বার কল দিতে আর কল দেয় নি। এরকম ব্যবহার আমাকে খুব কষ্ট দেয়। বিয়ের পর থেকেই আমার মা সব সময় একটাই কথা বলেন এতো দুর মেয়ে খামাখা বিয়ে দিয়েছি, বাবা ও সেম কথা বলে সব সময়। কথা গুলো শুনতে আমার ভালো লাগে না। আমাকে উনারা নিজেই বিয়ে দিয়ে এখন বার বার এই কথা বলছেন । আমি যখন ৩ মাস ঐখানে ছিলাম আমার হাসব্যান্ড খুব একটা আমাকে সময় দিতেন না। যোহরের নামাজের কথা বলে বের হতো আর আসতো আসর এর একটু আগে। আবার আসর এর নামাজের কথা বলে বের হয়ে আসতো এশার পরে। এসে ইউটিউব নিয়ে বসে থাকতো। তার এমন গাছাড়া ভাব দেখে আমার ও মনে হয় বিয়ে টা আসলেই খামাখা করেছে। প্রায় মনে হয় আর যাবো না ঐখানে। কিন্তূ আমি আমার হাসব্যান্ডকে খুব বেশি ভালোবাসি। আমি যদি ফোন না ধরি সে ফোন দিবে না আর কথা ও বলবে না। এটা ১০/২০ দিন যতদিন হোক জিদ ধরে বসে থাকবে। আমি নিজে থেকে কথা না বললে ও আর কথা বলবে না। আমি যদি বলি কোনও কাপল দেখলে আমার কষ্ট লাগে, আমার জামাই দূরে, সে বলবে নিউজফিড দেখবা না তাইলেই হয়। কখনো বলবে না আমাকে মনে পড়ে। বললে বলে তোমাকে তো নিতে আসবো তোমার গ্র্যাজুয়েশন শেষ হলে। আমি অনেক বেশি ডিপ্রেশনে ভুগছি একারণে।  আমার অনেক হাসব্যান্ডের কথা মনে পরে তার কাছে যেতে ইচ্ছে হয় কিন্তু তার উদাসী মনোভাব দেখে নিজেকে অনেক ছোট মনে হয়।   মনে হয় ভালোবাসাটা শুধু এক পাক্ষিক। আমার ইবাদাতে অনেক গাফিলতি চলে এসেছে এসব কারণে।  আমার আসলে কি করা উচিত?

1 Answer

0 votes
by (707,920 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ) হতে বর্ণিত রয়েছে। তিনি বলেন,
حدثني عبد الله بن عمرو بن العاص رضي الله عنهما، قال لي رسول الله صلى الله عليه وسلم: «يا عبد الله، ألم أخبر أنك تصوم النهار، وتقوم الليل؟»، فقلت: بلى يا رسول الله قال: «فلا تفعل صم وأفطر، وقم ونم، فإن لجسدك عليك حقا، وإن لعينك عليك حقا، وإن لزوجك عليك حقا، وإن لزورك عليك حقا، وإن بحسبك أن تصوم كل شهر ثلاثة أيام، فإن لك بكل حسنة عشر أمثالها، فإن ذلك صيام الدهر كله»، فشددت، فشدد علي قلت: يا رسول الله إني أجد قوة قال: «فصم صيام نبي الله داود عليه السلام [ص: ٤٠] ، ولا تزد عليه»، قلت: وما كان صيام نبي الله داود عليه السلام؟ قال: «نصف الدهر»، فكان عبد الله يقول بعد ما كبر: يا ليتني قبلت رخصة النبي صلى الله عليه وسلم
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ হে ‘আবদুল্লাহ! আমি এ সংবাদ পেয়েছি যে, তুমি প্রতিদিন সওম পালন কর এবং সারা রাত সালাত আদায় করে থাক। আমি বললাম, ঠিক (শুনেছেন) হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ এরূপ করবে না (বরং মাঝে মাঝে) সওম পালন কর আবার ছেড়েও দাও। (রাতে) সালাত আদায় কর আবার ঘুমাও। কেননা তোমার উপর তোমার শরীরের হাক্ব রয়েছে, তোমার চোখের হাক্ব রয়েছে, তোমার উপর তোমার স্ত্রীর হাক্ব আছে, তোমার মেহমানের হাক্ব আছে। তোমার জন্য যথেষ্ট যে, তুমি প্রত্যেক মাসে তিন দিন সওম পালন কর। কেননা নেক ‘আমলের বদলে তোমার জন্য রয়েছে দশগুণ নেকী। এভাবে সারা বছরের সওম হয়ে যায়। আমি (বললাম) আমি এর চেয়েও কঠোর ‘আমল করতে সক্ষম। তখন আমাকে আরও কঠিন ‘আমলের অনুমতি দেয়া হল। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আরো বেশি শক্তি রাখি। তিনি বললেনঃ তবে আল্লাহর নাবী দাঊদ (আঃ)-এর সওম পালন কর, এর হতে বেশি করতে যেয়ো না। আমি জিজ্ঞেস করলাম, আল্লাহর নাবী দাঊদ (আঃ)-এর সওম কেমন? তিনি বললেনঃ অর্ধেক বছর। রাবী বলেন, ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বৃদ্ধ বয়সে বলতেন, আহা! আমি যদি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদত্ত রুখসত (সহজতর বিধান) কবূল করে নিতাম! (সহীহ বোখারী(শামেলা)-১৯৭৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
স্বামী স্ত্রী পরস্পর পরস্পরের উপর অনেক হক ও অধিকার রয়েছে। স্বামী তার স্ত্রীকে ভরণপোষণ দিবে।থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা করবে। পর্দা পুশিদার হেফাজত করবে। দৈহিক চাহিদা পূরণ করবে।
নারীও তেমনিভাবে পুরুষের দৈহিক চাহিদা পূর্ণ করবে।স্বামীন সন্তান লালন পালন করবে এবং স্বামীর বাধ্য থাকবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার স্বামীর উপর আপনার অধীকার রয়েছে যে, তিনি প্রতি চার মাস অন্তর অন্তর আপনাকে সময় দিবে।আপনার ভরণপোষণ দিবে।
যেহেতু আপনার লেখাপড়ার দরুণ আপনি পৃথক থাকছেন, তাই এই উদাসীনতার দরুণ তাকে একা দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না।

আপনাদের উচিৎ ধর্য্য সহকারে পরিস্থিতির মোকাবেলা করা।এবং দ্রুত একত্রিত হওয়া। হ্যা, আপনারা এটাও পারবেন যে, উভয় পরামর্শক্রমে পৃ্থক বা খোলাও করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...