আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
164 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (8 points)
আগের ফতোয়া: https://ifatwa.info/42473

কমেন্টের রিপ্লাই না পেয়ে প্রশ্ন করলাম। গতকাল একটি ফতওয়া দেখলাম যে ইজাব কবুলের আগে কাবিননামা লেখা হলে স্ত্রীকে তালাক অধিকার প্রদান করা হয়না।

আমি পরবর্তীতে বুঝতে পেরেছি যে আমাদের কাবিননামা ও ইজাব কবুলের আগেই লেখা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে কি উক্ত ফতোয়ার লিংকের ঘটনায় কোন তালাক পতিত হয়েছে?

আমি ভেবেছিলাম তার এই অধিকার আছে এবং তাকেও সতর্কতার জন্য জানিয়ে রেখেছিলাম যে কাবিননামায় তাকে অধিকার দেওয়া আছে যদিও আমার কোন ইচ্ছাই ছিল না। সেকারণে তখন ধরে নিয়েছিলাম যে তার কথার প্রেক্ষিতে তালাক পতিত হয়ে গেছে এবং তখন আমি রাগের মাথায় তাকে কিছু কথা বলি যেমন "এখন তো কিছু করার নেই", "বের হয়ে যাও থাকবা কিভাবে?", "শেষ হয়েই তো গেছে", "এখন কিভাবে একসাথে থাকি?" "এখন এটা তো ইরিভার্সবল হয়ে গেছে"  (অর্থাৎ তার কথায় তালাক পতিত হয়ে গেছে কিন্তু এই শেষের বাক্য বলেছিলাম কিনা আমার সঠিক মনে নেই) ইত্যাদি ইত্যাদি

মূলত আমি ভেবেছিলাম যে তা** পতিত হয়েছে তার কথায় এজন্য এগুলো বলেছিলাম। নিজের কোন নিয়ত তো ছিলই না বরং আমি তা** শব্দটিও উচ্চারণ করিনি। তাকে পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝাতে এবং সে যেন উক্ত শব্দ আর না উচ্চারন করে তাই ভয় দেখাতে সম্ভবত কথাগুলো বলেছিলাম যে "এখন আর কিছু সম্ভব না" (হুবহু বাক্যটি মনে নেই) অর্থাৎ উপরের ধরনের কিছু বাক্য। যদিও শুধু রাগের মাথায় নাকি ভয় দেখাতে আমার স্পষ্ট মনে নেই কিন্তু তা** এর কোন নিয়ত ছিল না এবং উক্ত শব্দটিও উচ্চারণ করিনি। আমার হয়তো ধারণা হচ্ছিল যে সে আরও উচ্চারণ করলে আরো *** পতিত হবে।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু বিবাহের ইজাব কবুল এর আগেই উক্ত নিকাহ নামা লেখা হয়েছিলো,স্বাক্ষর নেয়া হয়েছিলো,তাই এক্ষেত্রে স্ত্রী তালাকের অধিকার পায়নি।

স্ত্রী যেহেতু তালাকের অধিকারই পায়নি, তাই স্ত্রী প্রদত্ত তালাকের কোনো প্রশ্নই উঠেনা।   

★সুতরাং প্রশ্নের বিবরণ মতে প্রশ্নে  উল্লেখিত ছুরতে কোনো তালাক পতিত হয়নি।
,    
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ عَنْ جُوَيْبِرٍ عَنْ الضَّحَّاكِ عَنْ النَّزَّالِ بْنِ سَبْرَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا طَلَاقَ قَبْلَ النِّكَاحِ

‘আলী ইবনু আবূ ত্বলিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ বিবাহের পূর্বে তালাক নাই।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৪৯)

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ أَنْبَأَنَا عَامِرٌ الْأَحْوَلُ ح و حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَعِيلَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ جَمِيعًا عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا طَلَاقَ فِيمَا لَا تَمْلِكُ

‘আমর ইবনু শু‘আইব (রহ.) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তালাক দেয়ার অধিকার জন্মানোর আগে প্রদত্ত তালাক কার্যকর হয় না।

তিরমিযী ১১৮১, আবূ দাউদ ২১৯০, সহীহ, ইরওয়াহ ১৭৫১, ২০৬৯, সহীহ আবী দাউদ ১৯০০, ইবনে মাজাহ ২০৪৭ রাওদুন নাদীর ৫৭১, আত-তা'লীকু আলাত তানকীল ২/৬২।

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (8 points)
edited by
জাঝাকল্লাহ।

কাবিননামা ইজাব কবুলের আগেই লেখা হয়েছিল (১৮ নং ঘরেও অধিকার দেওয়া হয়েছিল ইজাব কবুলের আগেই) এবং আমার স্বাক্ষরও যতদূর মনে পড়ে কবুল বলার আগেই দিয়েছিলাম। তবে আমার স্ত্রীর সাক্ষর সে কবুল বলার আগে দিয়েছিল কিনা মনে করতে পারছে না। তবে সাক্ষীদের সাক্ষর কবুল বলার পরেই নেওয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...