আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
863 views
in খাদ্য ও পানীয় (Food & Drink) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম।

বাংলাদেশের চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এ অনেক জায়গায়ই থাইল্যান্ড এর কিছু মশলা ব্যবহার করে যা হালাল নয়। কোন কোন রেস্টুরেন্ট এ করে তাতো আর জানা থাকেনা। আবার মুরগি, গরু এসব প্রানী আল্লাহর নাম নিয়ে জবাই হয়েছে কিনা তাও জানা থাকেনা।

রেস্টুরেন্ট এর খাবার যদি হালাল-হারাম নিয়ে একটা সন্দেহ যেহেতু থেকেই যায় সেক্ষেত্রে করণীয় কি?

1 Answer

+1 vote
by (657,800 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

আমাদের দেশে প্রচলিত হোটেলগুলোতে সাধারণত মালিক ও কর্মচারী উভয়েই মুসলিম হয়ে থাকে। তাই জবাইয়ের ক্ষেত্রে তাদের সম্পর্কে ‘বিসমিল্লাহ’ না বলার ধারণা পোষণ করা অর্থহীন।

শরিয়তের দৃষ্টিতে সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো কিছু হারাম করা বা নাজায়েজ বলার কোনো সুযোগ নেই।
সুতরাং সচরাচর মুসলিম হোটেলগুলো থেকে গুরু, খাসি বা মুরগির গোশত কিনে খেতে কোনো সমস্যা নেই। তবে যদি কোনো হোটেলের ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে জানা যায় যে, সেখানে বিসমিল্লাহ ব্যতীত জন্তু জবাই করা হয়, তাহলে সেখানকার গোশত  খাওয়া কোনোক্রমেই বৈধ হবে না। 
(রাদ্দুল মুহতার: ৬/২৯৯); ফাতাওয়া তাতার খানিয়া: ১৭/৪০১; আহসানুল ফাতাওয়া: ৮/১০৬)
,
হাদিস শরিফে এসেছে, 
আয়েশা সিদ্দিকা  রাযি. বলেন, একদল লোক নবী রাসুলুল্লাহ ﷺ-কে জিজ্ঞেসা করল, ‘এক নও মুসলিম সম্প্রদায় আমাদের নিকট গোশত নিয়ে আসে। আমরা জানি না যে, তার জবেহকালে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয়েছে কি না।’ তিনি বললেন,  سَمُّوا عَلَيهِ أَنتُم وَكُلُوهُ ‘তোমরা আল্লাহর নাম নিয়ে তা ভক্ষণ কর।’ (বুখারি ২০৫৭, ৫৫০৭ )

উক্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় হাফেজ ইবন হাজার আসকালানী রহ. বলেন,
ويستفاد منه أن كل ما يوجد في أسواق المسلمين محمول على الصحة ، وكذا ما ذبحه أعراب المسلمين…  لأن المسلم لا يظن به في كل شيء إلا الخير ، حتى يتبين خلاف ذلك
‘এই হাদিস থেকে বুঝা যায়, মুসলমানদের বাজারে যে গোশত পাওয়া যায় তা হালাল হিসেবে গণ্য হবে। কেননা, মুসলমানের সব বিষয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো ধারণা রাখতে হয় যতক্ষণ পর্যন্ত এর বিপরীত স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।’ (ফাতহুল বারী ৯/৭৮৬)
,
★সুতরাং মুসলিম দেশের হোটেল রেস্তোরাঁয় গোশত খাওয়া গোনাহের কাজ বলে বিবেচিত হবে না। এক্ষেত্রে সন্দেহ প্রবণতা পরিহার করা উচিত। মানুষকে, সমাজকে ও পরিবেশকে বিশ্বাস করাই স্বাভাবিকতা। অবশ্য কোনো অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে নিশ্চয়ই এসব থেকে দূরে থাকতে হবে।
,
★ প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত "যদি বাংলাদেশের চাইনিজ রেস্টুরেন্ট যদি থাইল্যান্ড এর কিছু মশলা ব্যবহার করে যা হালাল নয়,সেটা হারাম হওয়া সম্পর্কে যদি নিশ্চিত হওয়া যায়,এবং সেগুলো উক্ত খাবারে ব্যবহার সম্পর্কে যদি নিশ্চিত হওয়া যায়,তাহলে সেই খাবার খাওয়া কোনো ভাবেই জায়েজ হবেনা।     


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (5 points)
বাংলাদেশের রেস্টুরেন্ট-এ গোশত খাওয়ার ব্যাপারে বোধহয় একটু ছাড় দিয়ে ফেললেন বেশি ? 

কমবেশি আমরা সবাই জানি, বাজারে মোরগ-মুরগি জবাই করার সময় কতটা গাফেল থাকে দোকানি-রা। 

একটা হলো জায়েজ, আর একটা হলো তাকওয়া। 
এখন জায়েজ হওয়ার জন্য-ও শর্ত আছে। 

আর সন্দেহ করার মতো যথেষ্ঠ কারণ থাকলে কেন সন্দেহ করা ঠিক হবে না ? 

যেই কোনো মুসলিম যদি বলে যে হালালভাবে জায়েজ পন্থায় জবেহ করা হয়েছে, সেই বলা কি যথেষ্ঠ হবে ? 
যিনি বলেছেন, উনার অবস্থা সম্পর্কে কি কোনো ধারণার দরকার নেই ? শুধু উনার পরিচয় মুসলিম, এই কারণেই উনাকে বিশ্বাস করতে হবে ? সন্দেহ করা যাবে না ?  তাকওয়ার দাবি বলে কি কিছু নেই ? শরীয়তের দাবি কি এইরকম আছে যে, সন্দেহের জিনিস এড়িয়ে চলা উচিত ?

এখন মুসলমান-কে শুধু তার মুসলমান হওয়ার কারণেই (নামাজী হউক বা না হউক, আমানতদার হউক বা না হউক) যদি বিশ্বাস করে কাজ করা হয়, সেইটা কি ঠিক হবে ? 

আমাদের বাংলাদেশের অবস্থা সম্পর্কে মোটামোটি সকলেই কমবেশি জানি, অনেক হোটেল-রেস্তোরায় মরা মুরগি খাওয়ানো হয়, এইটা একেবারেই কমন প্র্যাকটিস। জেনে শুনে খাবার-এ ভেজাল কারা করে ? তারা কি মুসলমান নয় ? জেনে বুঝে বিষাক্ত কেমিক্যাল, রং, সেকারিন, ঘনচিনি দিয়ে খাবার কারা বানাচ্ছে ? উনারা কি মুসলমান নন ? 

আমি কিছু মন্তব্য করলাম, মনে হলো আপনি/আপনারা এই বিষয়টাকে হালকা-ভাবেই নিলেন, অহেতুক সন্দেহ করতে নিষেধ করছেন। বাংলাদেশের রেস্টুরেন্ট-এ দেদারসে খাওয়া যাবে, সন্দেহ করা ঠিক হবে না ইত্যাদি ইত্যাদি। 
তাই নয় কি ? 

সন্দেহের জিনিস খেলে, অনিচ্ছেকৃত হারাম/নাজায়েজ খাবার খেলে ঈমান ও আমল এর নূর এর ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয় ? কোনো তাহসীর নেই এতে ? 

এই টা কি নিরাপদ নয় যে বাংলাদেশের রেস্টুরেন্ট-এ গোশত জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা, যদি সেই দোকান অপরিচিত হয়?

পরিচিত হলে সমস্যা নেই, যার আদিল-সত্যবাদী সম্পর্কে নিশ্চিত ধারণা থাকে। 

নিচের লিংকটি চেক করে দেখবেন। 
বিশ্বের প্রখ্যাত আলেম সাউথ আফ্রিকার মুফতি ইব্রাহিম দেসাই রাহঃ এর ওয়েবসাইটের লিংক। উনার মতামত (অনুমোদিত) টা একটু দেখবেন, এই সম্পর্কে। 



আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...