বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
ওযু করার পর অথবা নামাজরত অবস্থায় পোকামাকড় শরীরে স্পর্শ করলে অযু ভেঙ্গে যাবেনা।
তবে পোকার বিষ্ঠা শরীরে লাগলে তাহা যদি এক দিরহাম সমপরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি হয়,তাহলে শরীরে নাপাকি লাগার কারনে উক্ত স্থান অয়াক করতে হবে।
নতুবা নামাজ হবেনা।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
اَلَّذِیۡنَ یَتَّبِعُوۡنَ الرَّسُوۡلَ النَّبِیَّ الۡاُمِّیَّ الَّذِیۡ یَجِدُوۡنَہٗ مَکۡتُوۡبًا عِنۡدَہُمۡ فِی التَّوۡرٰىۃِ وَ الۡاِنۡجِیۡلِ ۫ یَاۡمُرُہُمۡ بِالۡمَعۡرُوۡفِ وَ یَنۡہٰہُمۡ عَنِ الۡمُنۡکَرِ وَ یُحِلُّ لَہُمُ الطَّیِّبٰتِ وَ یُحَرِّمُ عَلَیۡہِمُ الۡخَبٰٓئِثَ وَ یَضَعُ عَنۡہُمۡ اِصۡرَہُمۡ وَ الۡاَغۡلٰلَ الَّتِیۡ کَانَتۡ عَلَیۡہِمۡ ؕ فَالَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا بِہٖ وَ عَزَّرُوۡہُ وَ نَصَرُوۡہُ وَ اتَّبَعُوا النُّوۡرَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ مَعَہٗۤ ۙ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ ﴿۱۵۷﴾
“(এরা তো তারাই) যারা সেই রাসূল ও নিরক্ষর নবীর অনুসরণ করে যার কথা তারা তাদের তাওরাত ও ইনজীলে লিখিত পাচ্ছে। তিনি তাদেরকে ভালকাজ করার আদেশ দেন ও মন্দকাজ করতে নিষেধ করেন, তাদের জন্য ভাল জিনিসকে বৈধ ও খারাপ জিনিসকে অবৈধ ঘোষণা করেন।”[সূরা আরাফ, আয়াত: ১৫৭]
সুতরাং পোকামাকড় খারাপ জিনিসের অন্তর্ভুক্ত; যেমন- কীট, গুবরে পোকা, তেলাপোকা, ইঁদুর, গিরগিটি, তক্ষক, টিকটিকি, গেছু ইঁদুর, বিচ্ছু, সাপ ইত্যাদি খারাপ জিনিস হিসেবে গণ্য।
এটি ইমাম আবু হানিফা ও ইমাম শাফেয়ির অভিমত...”।
(আল-মুগনী (১৩/৩১৬-৩১৭)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
তেলাপোকার বিষ্টা নাপাক ও নাজাসতে গালিজা।
(০২)
জাহান্নামের আযাবের ভয় সংক্রান্ত বুঝাতে হবে।
জান্নাতেরর নিয়ামতের কথা শোনাতে হবে।
দুনিয়ায় জিন্দেগী ক্ষনস্থায়ী,এটি বুঝানোর চেষ্টা করতে হবে,পাশাপাশি আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে।
দ্বীনের পথে ফিরে আসতে অদ্ভুদ্ধ করে,এমন বই পড়তে দিবেন,এমন ওয়াজের রেকর্ড শোনাবেন।
পুরুষ সদস্যদের বুঝিয়ে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সাথে যুক্ত করিয়ে দিতে পারেন।
(০৩)
হ্যাঁ পারবেন,ইনশাআল্লাহ।