আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
61 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
edited by
আল্লাহর কসম করে বলছি আমি আর কখনও হস্তমৈথন করবো না যদি করি তবে একটা মেয়ে কে ইন্ডিকেট করে বলছি যদি হস্তমৈথন করি তবে ঔ মেয়েকে বিয়ে করলে আপনি হারাম হিসাবে কবুল করবেন ।

প্রশ্ন-০১ উক্ত মেয়েকে বিয়ে করা যাবে কি না ?
প্রশ্ন -০২ ।https://ifatwa.info/44452/

এই প্রশ্ন টার উত্তর কি সঠিক ? এখানে আল্লাহর কাছে ওয়াদা বলতে আমি আল্লাহর কসম বুঝাইছি । উপরের প্রশ্ন টাই একই বুঝাইলাম প্রশ্ন ০১ যে টা ঔ টা । ২টা প্রশ্নই এক । আল্লাহর কাছে ওয়াদা না আল্লাহর কসম হবে ।

প্রশ্ন-০৩ আল্লাহর কাছে ওয়াদা আর আল্লাহর কসম বললে উত্তর কি দুইটার জন্য দুই রকম হবে ?

প্রশ্ন-০৪ ।https://ifatwa.info/46319/

আপনার উত্তর কি এখানে আল্লাহর কাছে ওয়াদা বলাতে উত্তর টা পাল্টেছে ? তাই বলেছেন কোনো সমস্যা নাই ।

এখানে মূলত আল্লাহর কসম হবে ।

প্রশ্ন -০৫ । আমি ভাবছিলাম যে আমি কসম করে বলছি আল্লাহ যেন হারাম হিসাবে কবুল করে এখন উনি কি আর হারাম হিসাবে কবুল করবে ?
প্রশ্ন-০৬ যদি প্রশ্ন টা এ ভাবে হত আল্লাহর কসম করে বলছি আমি আর কখনও হস্তমৈথন করবো না যদি করি তবে ঔ মেয়েকে বিয়ে করলে হারাম হিসাবে কবুল হবে আমার জন্য ।
তখন ঔ মেয়েকে কি ভাবে বিয়ে করতে হত?

প্রশ্ন-০৭ কসম টা যেহেতু ইন্ডিকেট করে বলছি এই কসমের সাথে তো অন্য কোনো মেয়ের কোনো সম্পর্ক নাই তাই না ? অন্য কোনো মেয়েকে বিয়ে করতে কোনো সমস্যা নাই তো ?

প্রশ্ন -০৮আল্লাহর কসম করে বলছি আমি ঔ মেয়েকে বিয়ের আগে স্পর্শ করবো না যদি স্পর্শ করি তবে ঔ মেয়েকে বিয়ে করলে হারাম হিসাবে কবুল করবেন । কথা রাখতে পারি নি ।
এখন ঔ মেয়েকে বিয়ে করা যাবে কিনা ?

প্রশ্ন -০৯ আল্লাহ আপনাকে কথা দিলাম আমি ঔ মেয়েকে বিয়ের আগে স্পর্শ করবো না যদি স্পর্শ করি তবে ঔ মেয়েকে বিয়ে করলে হারাম হিসাবে কবুল করবেন । কথা রাখতে পারি নি ।

এখন ঔ মেয়েকে বিয়ে করা যাবে কিনা ?

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/28210/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
বিবাহের পূর্বে সাধারণত তালাক পতিত হয়না। 
হ্যাঁ বিবাহের দিকে ঈঙ্গিত করে শর্তযুক্ত তালাক দিলে তালাক হবে। 
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ عَنْ جُوَيْبِرٍ عَنْ الضَّحَّاكِ عَنْ النَّزَّالِ بْنِ سَبْرَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا طَلَاقَ قَبْلَ النِّكَاحِ

‘আলী ইবনু আবূ ত্বলিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ বিবাহের পূর্বে তালাক নাই।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৪৯)

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ أَنْبَأَنَا عَامِرٌ الْأَحْوَلُ ح و حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَعِيلَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ جَمِيعًا عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا طَلَاقَ فِيمَا لَا تَمْلِكُ

‘আমর ইবনু শু‘আইব (রহ.) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তালাক দেয়ার অধিকার জন্মানোর আগে প্রদত্ত তালাক কার্যকর হয় না।

তিরমিযী ১১৮১, আবূ দাউদ ২১৯০, সহীহ, ইরওয়াহ ১৭৫১, ২০৬৯, সহীহ আবী দাউদ ১৯০০, ইবনে মাজাহ ২০৪৭ রাওদুন নাদীর ৫৭১, আত-তা'লীকু আলাত তানকীল ২/৬২।

★★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী শর্তাধীন তালাক সহীহ হওয়ার ক্ষেত্রে জরুরী হলো ঐ মহিলা সেই ছেলের বিবাহে থাকতে হবে অথবা শর্তযুক্ত বাক্যটি উক্ত মহিলার দিকে বিবাহের নিসবত করা হবে।
কেহ যদি বলে যে অমুক কাজ করলে আমার ভবিষ্যত স্ত্রী তালাক,তাহলে এখানে বিবাহের নিসবত স্পষ্ট আকারে না পাওয়া গেলেও অস্পষ্ট ভাবে তালাকের নিসবত পাওয়ার কারনে বিবাহ করা মাত্র এক তালাকে বায়েন পতিত হবে।
পরবর্তীতে আবারো তাকে বিবাহ করা যাবে,এক্ষেত্রে নতুনভাবে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।

তবে ইমাম শাফেয়ী রহঃ সহ আরো কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে বিবাহ পূর্ব শর্তাধীন তালাক পতিত হবেনা।
সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন । 
,
আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
https://ifatwa.info/44452/ 
ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  

"আমি একটা মেয়ে কে ইন্ডিকেট করে বলছি যদি করি তাহলে ওকে বিয়ে করলে হারাম হিসাবে কবুল করবা"

এই বাক্য দ্বারা হস্তমৈথুন করার পর আপনি যদি ঐ মেয়েকে বিয়ে করেন, তাহলে ঐ মেয়ে আপনার জন্য হারাম হবে। আপনার নিয়ত যদি এক তালাকের থাকে, তাহলে বিয়ের সাথে সাথেই এক তালাকে বায়েন পতিত হবে।আর তিন তালাকের নিয়ত থাকলে বিয়ের সাথে সাথেই তিন তালাক পতিত হবে।

আর যদি আপনার কোনো নিয়ত না থাকে,তাহলে এক তালাকই পতিত হবে। 

আরো জানুনঃ-

(০২)
হ্যাঁ সঠিক।

(০৩)
হ্যাঁ দুই রকম হবে।
ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করা সংক্রান্ত আল্লাহর নাম নিয়ে কসম করলে তাহা ভেঙ্গে ফেললে কাফফারা দিতে হয়।

আর আল্লাহর কাছে ওয়াদা করে ওয়াদা ভঙ্গ করলে  কাফফারা নেই।

(০৪)
সংযোজন করা হয়েছে,পুনরায় দেখতে পারেন।  

(০৫)
হ্যাঁ, তালাক হিসেবে কবুল হবে।

(০৬)
আপনি এখানে কয় তালাক হবে,এমন কোনো নিয়তই করেননি,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই মেয়েকে বিবাহ করলে এক তালাক হবে।
,
এই এক তালাক হয়ে যাওয়ার পর আপনি তাকে নতুন করে আবারো বিবাহ করতে পারবেন।
বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।
সেক্ষেত্রে আপনাদের ঘর সংসার বৈধ হবে,সমস্যা আর হবেনা।

আপনি আর দুই তালাক প্রাদানের মালিক থাকবেন।  

(০৭)
অন্য কোনো মেয়ের কোনো সম্পর্ক নাই। 
অন্য কোনো মেয়েকে বিয়ে করতে কোনো সমস্যা নাই।

(০৮)
তাকে বিবাহ করলে এক নং জবাবের ন্যায় তালাক পতিত হবে। 

(০৯)
 তাকে বিবাহ করলে এক নং জবাবের ন্যায় তালাক পতিত হবে। 

আরো জানুনঃ-


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...