আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
106 views
in সালাত(Prayer) by (29 points)

১. ঈদের নামাজ পড়তে না পারলে কি করণীয়? ঈদের নামাজের প্রথম রাকাআতে যদি ওযু ভেঙে যায় তাহলে কিভাবে আদায় করতে হবে? এক্ষেত্রে আদায় করতে না পারলে কি গুনাহগার হতে হবে?

২. নামাজে ওযু ভেঙে গেলে পুনরায় অযু করে যে স্থানে অযু ভেঙেছে সে স্থান থেকে নামাজ আদায় করার সময় কি তাকবীর (আল্লাহু আকবার) বলে শুরু করতে হবে? নাকি সরাসরি শুরু করে দিবে?

৩. নামাজের ২য় রাকাআতের বৈঠকে ওযু ভেঙে গেলে পুনরায় অযু করে নামাজ আদায় করলে কি ২য় রাকাআত আবার আদায় করতে হবে নাকি ২য় রাকাআত হয়ে গেছে ধরে ৩য় রাকাআত থেকে আদায় করতে হবে?

৪. নামাজের কোন রাকাআতে সিজদাহ যদি দুইবারের পরিবর্তে তিনবার দেয়া হয় তাহলে কি নামাজ পুনরায় পড়তে হবে?

৫. মাসবুক ব্যক্তি যদি ইমাম রুকুতে যাওয়ার পর নামাজে দাঁড়ায় এবং ব্যক্তি নামাজে দাঁড়িয়ে রুকুতে যাওয়ার সাথে সাথে ইমাম রুকু থেকে উঠে যায় তাহলে কি মাসবুক ব্যক্তি ওই রাকাআত পেয়েছে বলে ধরা হবে নাকি ওই রাকাআত পুনরায় আদায় করতে হবে? 

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ঈদের নামায পড়া ওয়াজিব।আর ওয়াজিব নামাযের কোনো কাযা নেই।অনিচ্ছাকৃত কারো ছুটে গেলে সে তাওবাহ ইস্তেগফার করবে।আর ইচ্ছাকৃত ছুটলে অবশ্যই গোনাহ হবে।

প্রথম রাকাতে ছুটে গেলে অজু করে বিনা করবে।
https://www.ifatwa.info/17138 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ফাতাওয়ায় হিন্দিয়ায় বলা হয় যে,
(الْبَابُ السَّادِسُ فِي الْحَدَثِ فِي الصَّلَاةِ) مَنْ سَبَقَهُ حَدَثٌ تَوَضَّأَ وَبَنَى. كَذَا فِي الْكَنْزِ.
وَالرَّجُلُ وَالْمَرْأَةُ فِي حَقِّ حُكْمِ الْبِنَاءِ سَوَاءٌ. كَذَا فِي الْمُحِيطِ وَلَا يُعْتَدُّ بِاَلَّتِي أَحْدَثَ فِيهَا وَلَا بُدَّ مِنْ الْإِعَادَةِ هَكَذَا فِي الْهِدَايَةِ وَالْكَافِي وَالِاسْتِئْنَافُ أَفْضَلُ. كَذَا فِي الْمُتُونِ وَهَذَا فِي حَقِّ الْكُلِّ عِنْدَ بَعْضِ الْمَشَايِخِ وَقِيلَ هَذَا فِي حَقِّ الْمُنْفَرِدِ قَطْعًا وَأَمَّا الْإِمَامُ وَالْمَأْمُومُ إنْ كَانَا يَجِدَانِ جَمَاعَةً فَالِاسْتِئْنَافُ أَفْضَلُ أَيْضًا وَإِنْ كَانَا لَا يَجِدَانِ فَالْبِنَاءُ أَفْضَلُ صِيَانَةً لِفَضِيلَةِ الْجَمَاعَةِ وَصُحِّحَ هَذَا فِي الْفَتَاوَى كَذَا فِي الْجَوْهَرَةِ النَّيِّرَةِ
الفتاوى الهندية» (1/ 93)
যদি কারো নামাযে হাদাস হয়, তাহলে সে অজু করে এসে বিনা কিরাতে নামাযকে সম্পন্ন করে ইমামের সাথে শরীক হবে। এ বিধানে নারী পুরুষ সবাই সমান। যে রুকুনে অজু ভঙ্গ হয়েছে, সেই রুকুনকে নামায হিসেবে গণ্য করা যাবে না। বরং ঐ রুকুনকে অজু করে এসে পূনরায় পড়া অত্যাবশ্যকীয়। হ্যা, তবে আবার নতুনভাবে ঐ সব নামাযকে পূনরায় পড়ে নেওয়া উত্তম। এবং এ বিধান প্রায় সবার জন্য প্রযোজ্য। এবং কেউ কেউ বলেন, এ বিধান মুনফারিদের জন্য প্রযোজ্য। যদি ইমাম এবং মুক্তাদির নামাযে অজু ছুটে যায়, এবং অজু করার পর যদি জামাতকে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে তাদের নতুনভাবে জামাতে শরীক হওয়াই উত্তম। আর যদি তারা জামাতকে না পান, তাহলে তাদের জন্য বিনা তথা বিনা কিরাতে উক্ত নামায সমূহ পড়ে সালাম ফিরানো উত্তম। কেননা এতকরে জামাতের সওয়াব পাওয়া যাচ্ছে। ( ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াা-১/৯৩)

(২)
তাকবীর বলতে হবে। এমনিতেই এসে সেই রুকুনে শরীক হবে।

(৩)
বৈঠকে তাশাহুদ পড়ার পর অজু গেলে আর বসতে হবে না।তবে তাশাহুদ পড়ার পূর্বে অজু চলে গেলে তখন প্রথমে বৈটকে বসে তাশাহুদ পড়ে তারপর তৃতীয় রাকাত শুরু করতে হবে।

(৪)
সাহু সিজদা দিতে হবে। সাহু সিজদা না দিলে পূনরায় নামাযকে দোহড়িয়ে পড়তে হবে।

(৫)
এক মূহুর্তের জন্যও ইমামকে রুকুতে না পেলে উক্ত রাকাত পেয়েছে বলে গণ্য হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...