আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
85 views
in সালাত(Prayer) by (95 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমি গতকাল সকালে পায়ের আঙ্গুলে ব্যান্ডেজ লাগিয়েছিলাম। এতে ব্যান্ডেজের আঠার সাথে ময়লা লেগে আমার পায়ের কিছু অংশে একটা আস্তরন বসে যায়। এই অবস্থায় গতকালের যোহর, আসর, মাগরিব এবং এশার নামাজ আদায় করেছি। এই আস্তরণটি আমি আগে খেয়াল করিনি, আজকের ফজরের আগে খেয়াল হয়েছে আস্তরণটি। কিন্তু এই আস্তরণের কারণে হয়তো আমার ওযু এবং নামাজ উভয়ই বাতিল গণ্য হবে। তাই আমি সেই আঠার আস্তরণ উঠিয়ে, ফজরের নামাজ আদায় করে আবার সেই ৪ ওয়াক্ত নামাজ কাযা করেছি। কিন্তু কাজা করার কিছুক্ষণ পর দেখলাম আরেক জায়গায় আঠার আস্তরণ লেগে আছে। অর্থাৎ এই ৪ ওয়াক্ত নামাজ এবং আজকের ফজরের নামাজও হয়তো বাতিল গণ্য হবে। এখন কি আমাকে আবার আজকের ফজর ওয়াক্ত সহ গতকালকের ৪ ওয়াক্ত নামাজ পুনরায় কাযা করতে হবে? নাকি এক্ষেত্রে তা মওকুফ হবে?

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

আল্লাহ তাআলা বলেছেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ

 ‘হে মুমিনরা, যখন তোমরা নামাজের জন্য দাঁড়াও, স্বীয় মুখমডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত ধৌত করো এবং পদযুগল গিঁটসহ।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৬)

হাদিস শরিফে এসেছে, আল্লাহর রাসুল (সা.) দেখলেন জনৈক ব্যক্তি অজু করেছে কিন্তু পায়ে তার নখ বরাবর একটি স্থান অধৌত রয়ে গিয়েছে। তখন তিনি তাকে বললেন, ‘তুমি ফিরে গিয়ে সুন্দরভাবে অজু করে আসো।’ (মুসলিম, হাদিস : ৩৯১)

জেনে রাখা আবশ্যক যে, অজুর মূল অঙ্গ চারটি; চেহারা, হাত, পা, মাথা। মাথা মাসেহ করা ফরজ। আর বাকি তিন অঙ্গ ধোয়া ফরজ। এ তিন অঙ্গের কোনো একটি স্থান শুকনো থাকলে অজু হবে না। কেননা, অজুর সময় সমস্ত অঙ্গে পানি পৌঁছানো ফরজ বিধায় এমন কোনো বস্তু অজুর অঙ্গে থাকতে পারবে না, যেগুলো চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছতে প্রতিবন্ধক। যেমন- মোম, আঠা ইত্যাদি।

সুতরাং যদি রং এমন হয় যা ব্যবহারে আবরণ পড়ে যায়, যার কারণে অজুর অঙ্গে পানি পৌঁছায় না; তাহলে তার অজু হবে না। রঙের প্রলেপ এমনকি তা একেবারে সামান্য হলেও- দূর করে তবেই অজু করতে হবে।

যদি রং এমন হয়, যা ব্যবহারে আবরণ পড়ে যায়; যার কারণে অজুর অঙ্গে পানি পৌঁছায় না, তাহলে অজু হবে না। রঙের প্রলেপ দূর করে তবেই অজু করতে হবে। এতে একটু কষ্ট হবে, কিন্তু আপনার তা সাধ্যানুপাতে চেষ্টা করতে হবে। কেননা, রঙের মাঝে এক ধরনের প্রলেপ বা স্তর রয়েছে, পবিত্র হতে গেলে যেটি চামড়ায় পানি পৌঁছতে অন্তরায় সৃষ্টি করে। আর যেসব জিনিস চামড়ায় পানি পৌঁছতে বাধা দেয়, অজুকারীর জন্য তা দূর করে তবেই অজু করতে হবে।

আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন:  

https://ifatwa.info/36120/?show=36120#q36120

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

আপনার পায়ের যেই অংশটুকু অজুতে ধৌত করা ফরজ সেই স্থানে যদি উক্ত আবরণ দেখা দেয়  এবং  আপনি যদি নিশ্চিত থাকেন যে, সেই আবরণের কারণে আপনার পায়ে পানি পৌছেনি তাহলে উক্ত অবস্থায় অজু করে যতগুলি নামাজ পড়েছেন সেগুলি পুনরায় পড়তে হবে। কারণ, উল্লেখিত অবস্থায় অজু করা কারণে আপনার পূর্ণ পবিত্রতা অর্জন হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 73 views
...