আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
196 views
in পবিত্রতা (Purity) by (7 points)
আগের প্রশ্নটির মতোই একই ভাবে তাহাহুড়ার কারনে নাপাক বস্তুগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। শরীরে প্রস্রাব লাগা অবস্থাতেই সারা বাড়িতে ভেজা গায়ে ঘুরে বেড়ানো হয়েছে । নাপাক ভেজা হাতে বাড়ির বালতি, মগ, ট্যাপ, বদনা, জগ, গ্লাস,  থালাবাসন  সব ধরা হয়েছে। চেয়ার, বিছানা, সোফা সব জায়গাতেই ভেজা গায়ে বসা হয়েছে। আবার সেই হাত তেলের বোতলের ভিতরে ঢুকিয়ে তেল নেয়া হয়েছে। পর্দা, অন্যান্য প্রায় সব জামাকাপড় যৃগুলো সেই ভেজা হাতে ধরেছিলাম সবকিছুই তো নাপাক হয়ে গেছে। তাছাড়া আমার বাড়ির সবাই এগুলো ব্যবহার করেছে। তাই সবাই নাপাক হয়ে গেছে।

১।আমি কী এখন আগের মতোই সবকিছুকে পাক হিসেবে ব্যবহার করব?

২।নাকি বাড়ির সবকিছু ধুতে হবে? এতো কিছু তো আর ধোয়া সম্ভব না
৩। যেহেতু এখানে সাধারন নিয়ম খাটবে না, তাই নামাজের ক্ষেত্রে যেসব জিনিস ও কাপড় ব্যবহার করব, সেগুলো কি না ধুলে কোনো সমস্যা হবে? আগের প্রশ্নটির উত্তরে তো বলেছিলেন কোনো সমস্যাই হবে না। তবে ধুয়ে নিলে ভালো। না ধুলেও কোনো সমস্যা হবে না।

৪।আমি আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে সবকিছুকে ঐ  ভাবেই ব্যবহার করেছি। ঐভাবেই সবকিছুকে পাক ধরে নামাজ পরেছি। আমি কী ঠিক করেছি?

৫।আমি তো চুলে তেল মেখে নামাজ পড়ি। আবার মুখে ক্রিম মেখে নামাজ পড়ি। এতে কী নামাজ হবে? যেহেতু সবকিছুই নাপাক।  আর এগুলো তো ধোয়ার কোনো উপায়ও নেই। তাই আমি কী প্রয়োজনের খাতিরে সবকিছুই পাক ধরব?

৬।আর বাথরুমের বালতি, মগ, বদনা কী ধুতে হবে?  নাকি পাক হিসেবে ব্যবহার করব?  এগুলো সারাদিনে অলরেডি ঐ অবস্থাতেই অনেক বার ব্যবহার করা হয়েছে।

1 Answer

0 votes
by (712,600 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত।আপনার প্রশ্নের যদি দেই তারপরও আপনার ওয়াসওয়সা দূর হবে না। আপনার মনের সন্দেহ ও ওয়াসওয়াসা দূর হওয়ার জন্য স্থানীয় কোনো আলেমের সাথে যোগাযোগ করুন।অথবা আমার সাথে ফোনে আলোচনা করুন।

আপনি বিভিন্ন ভাবে এই প্রশ্নগুলো আরো অনেকবার করেছেন। আমরা উত্তর দিয়েছি।কিন্তু আপনার মনে সন্তুষ্ট আসেনি।তাই আপনাকে বলছি, আপনি আমার সাথে মুবাইলে যোগাযোগ করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...