আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
114 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (76 points)
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

১।শায়খ ধরেন কেউ ঈলা সম্পর্কে আগে থেকে জানত না।কোনদিন শুনেও নি ঈলা কি এটা।স্বামী ও স্ত্রী নতুন বিয়ে করেছে।যে যার বাসায় থাকে,ওদের মা বাবা জানে না বিয়ের কথা।।লকাডাউনের আগে বিয়ে করেছে।বিয়ের পর পর ওই আবার লকডাউন।আর স্কুল ও কলেজ বন্ধ তাই তারা,দেখা করতে পারে না।ধরেন স্বামী শপথ করেছে যতদিন নামিয়ে নিয়ে যায় নি স্বামীর বাসায় ততদিন সহবাস করবে না,রাগে।স্বামীর কোন তালাকের নিয়ত ছিল না।আর স্বামী স্ত্রী জানেও না ঈলা কি সেটা।কিন্তুু এর ১ ঘন্টা পর  পর সব ভাল হয়ে যেত একদম ভাল কথা বার্তা হত।মানে ওদের ফোনে কথা হত।শুধু পাশে আসতে পারত না কারন লকড়াউন ছিল স্বামীর বাড়ি অনেক দূরে।মাঝে মাঝে স্বামী আসতে চাইত কিন্তুু কোথায়,দেখা করবে সেটা ভেবে স্ত্রী বলত এখন না। এরকম ৬-৭ মাস পর দেখা করে।সহবাস ও হয়।তহ এসব তহ ওরা জানত না।স্ত্রী পরে এসব জানার পর গুগুলে সার্চ দিয়ে একজন শায়খের ওয়াজে শুনেছে তালাক হবে না, তিনি বলেছেন "যারা  বিদেশে থাকেন বা দেশে থাকেন কিন্তু  কোন কারনে স্ত্রীর কাছ থেকে দূরে থাকেন  তারা যদি কোন  কারনে ৪ মাসের ভেতর আসতে না পারে স্ত্রীর কাছে  তাহলে তারা  ৪ মাস বা এরও পরে আসার পর পরবর্তীতে ডিশিসন নিবে স্ত্রীকে রাখবে নাকি তালাক দিবে সেটা"।এ অনুযায়ী ওরা চলতেছে।কারন স্বামী তালাক দেয় নি আর ইচ্ছা করে এসব বলে নি।জানত ও না এসব বিষয়ে।কারন নতুন বিবাহিত।এই বিষয়ে শুনেও নি।লকডাউনের কারনে আসতে চাওয়ার পর ও আসতে পারে নি।স্বামী অনেক চেয়েছিল আসার জন্য।স্ত্রীকে সব সময় জবাবদিহি করতে হয় পরিবারে তার,স্কুল কলেজ বন্ধ  তাই কলেজ খুললে আসতে বলেছিল।তবু স্ত্রী আরেকজন আলেমকে প্রশ্ন করেছিল ওনিও বলেছিলেন ৪ মাস পর নিয়ে যাবে এতে  অসুবিধা হবে না।এতে কি গুণাহ হবে? এ অনুযায়ী চলতেছে ওরা।এমন একটা ফতোয়া দিন যাতে ওদের সংসারটা বেচে যায়।

২।এসব কথা,স্বামীর মনে নেই।স্ত্রীর মনে থাকলেও সন্দেহ রয়েছে ঠিক কি বলেছল স্বামী সেটা নিয়ে।স্পষ্ট মনে নেই আর কি।এখন ওরা উপরের আলেমদের পরামর্শ অনুযায়ী চললে কি গুণাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 
لِلَّذِیۡنَ یُؤۡلُوۡنَ مِنۡ نِّسَآئِہِمۡ تَرَبُّصُ اَرۡبَعَۃِ اَشۡہُرٍ ۚ فَاِنۡ فَآءُوۡ فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۲۲۶﴾

যারা নিজ স্ত্রীর সাথে সংগত না হওয়ার শপথ করে  তারা চার মাস অপেক্ষা করবে। অতঃপর যদি তারা প্রত্যাগত হয় তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(সুরা বাকারা ২২৬)

অর্থাৎ যদি কেহ যদি কসম খেয়ে বলে যে, আমি আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করব না, তবে তার চারটি দিক রয়েছে, প্রথমতঃ কোন সময় নির্ধারণ করল না। দ্বিতীয়তঃ চার মাস সময়ের শর্ত রাখল। তৃতীয়তঃ চার মাসের বেশী সময়ের শর্ত আরোপ করল। চতুর্থতঃ চার মাসের কম সময়ের শর্ত রাখল। বস্তুতঃ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিকগুলোকে শরীআতে ‘ঈলা’ বলা হয়। আর তার বিধান হচ্ছে, যদি চার মাসের মধ্যে কসম ভেঙ্গে স্ত্রীর কাছে চলে আসে, তাহলে তাকে কসমের কাফফারা দিতে হবে, কিন্তু বিয়ে যথাস্থানে বহাল থাকবে। পক্ষান্তরে যদি চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও কসম না ভাঙ্গে, তাহলে সে স্ত্রীর উপর ‘তালাকে-কাতায়ী’ বা নিশ্চিত তালাক পতিত হবে। অর্থাৎ পুনঃর্বার বিয়ে ছাড়া স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়া জায়েয থাকবে না। অবশ্য চতুর্থ অবস্থায় নির্দেশ হচ্ছে এই যে, যদি কসম ভঙ্গ করে, তাহলে কাফফারা ওয়াজিব হবে। পক্ষান্তরে কসম পূর্ণ করলেও বিয়ে যথাযথ অটুট থাকবে। [মা'আরিফুল কুরআন থেকে সংক্ষেপিত]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে,
"স্বামী শপথ করেছে যতদিন নামিয়ে নিয়ে যায় নি স্বামীর বাসায় ততদিন সহবাস করবে না"

এখানে যদি আল্লাহর নামে কসম খেয়ে বলে,তাহলে যেহেতু এখানে ঈলার শর্ত পাওয়া গিয়েছে,তাই ঈলা হবে।

এক্ষেত্রে স্বামী যেহেতু চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও কসম ভাঙ্গেনি, তাই সেই স্ত্রীর উপর ‘তালাকে-কাতায়ী’ বা নিশ্চিত তালাক পতিত হবে। 

এখন তারা পুনরায় ঘর সংসার করতে চাইলে নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।  

আর যদি উপরোক্ত কথা বলার সময় স্বামী মহান আল্লাহর নামে কসম না করে থাকে,তাহলে ঈলা হবেনা। সেক্ষেত্রে কোনো কাফফারা, তালাক হবেনা।

(০২)
সন্দেহের ভিত্তিতে এগুলো প্রমাণিত হয়ে তালাক হবেনা।
কেননা সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো তালাক হয়না। 

তাই এক্ষেত্রে সমস্যা নেই।

হ্যাঁ যদি স্বামী মহান আল্লাহর নামে এহেন কসম করার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়, তাহলে উপরোক্ত পদ্ধতিতে তালাক হবে।
এক্ষেত্রে তারা উপরের আলেমদের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে পারবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...