আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
82 views
in পবিত্রতা (Purity) by (21 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আমার এক পরিচিত মেয়ের চকলেট সিস্ট রোগ/সমস্যা রয়েছে। পিরিয়ড হলে আর থামে না মাঝে মাঝে।ডাক্তার ওষুধ দিয়ে ছয় মাস পিরিয়ড অফ রাখাইছিলো।ছয় মাস শেষ হয়েছে এপ্রিল মাসে। ছয় মাস শেষ হওয়ায় ওষুধ বন্ধ দেওয়ার পরপরই পিরিয়ড হয়েছে এবং সব ঠিকঠাক ছিলো। এই মাসে গত ১১ দিন ধরে পিরিয়ড হচ্ছে।থামার কোনো লক্ষণ নাই।গত মাসে আবার ডাক্তার দেখাইছিলো সব ঠিকঠাক আছে কিনা জানার জন্য।ডাক্তার আরো ছয় মাস পিরিয়ড অফ রাখার ওষুধ দিয়েছে।ওর বাবার একটু আর্থিক সমস্যা চলছে তাই ওষুধ কেনা হয়নি। প্রচুর রক্তপাত হচ্ছে এখনো। এমতাবস্থায় কি সে নামাজ পড়া শুরু করতে পারবে??

নামাজ পড়লেও কি ফরজ গোসল করতে হবে??যেহেতু সার্বক্ষণিক রক্তপাত হচ্ছে, সেহেতু ফরজ গোসল কি জরুরী??

নামাজ পড়লে কি পোশাক পরিবর্তন করে নিতে হবে??পোশাকে রক্ত ভরলে কি চেঞ্জ করবে, যেহেতু সার্বক্ষণিক প্রচুর রক্তপাত হচ্ছে?? ১০ দিনের পর থেকে যত ওয়াক্ত নামাজ মিস গেছে ওগুলোরও কাজা আদায় করে নিবে কি??

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔
দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে   
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।(রদ্দুল মুহতার-১/২৮৫)
:ومن جملۃذٰلک الدم المتخلل فی اقل مدۃ الطھرولا یمکن معرفقہ ذٰلک الّا بعد معرفۃ اقل الطھرواقلہ خمسۃ عشر یوماً عندنا۔
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমার মধ্যে
 দমে মুতাখাল্লিল এর বিধানের সারাংশ হলো পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন হিসেবে ধরে তার পরিচয় জানা যাবে। (তাতারখানিয়া-১/৩২১)
وأقل الطہر بین الحیضتین أو النفاس والحیض خمسة عشر یوماً ولیالیہا إجماعاً (درمختار: ۱/۴۷۷، ط: زکریا دیوبند) 
والناقص عن أقلہ والزائد علی أکثرہ أو أکثر النفاس أو علی العادة وجاوز أکثرہما ․․․․․․ استحاضة ۔ (المصدر السابق)
হায়েজের সর্বনিম্ন সীমার থেকে কম বা বেশি,নেফাসের 
সর্বোচ্চ সীমার থেকে বেশি ইস্তেহাজা।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
দুই হায়েজের মধ্যবর্তী ১৫ দিন তুহুর থাকতে হয়, সুতরাং যেদিন থেকে আপনার হায়েয শুরু হয়েছিলো সেদিন থেকে ১০ দিন, এবং পরবর্তীতে মাসের সেদিন থেকে আরো ১০ দিন এভাবে হায়েয গণনা করবেন। এবং অন্যান্য অতিরিক্ত দিন সমূহকে ইস্তেহাযা গণ্য করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 178 views
...