আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (76 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

**

قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ نَافِعٍ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُوْلُ فِي الإِيلاَءِ الَّذِي سَمّٰى اللهُ لاَ يَحِلُّ لِأَحَدٍ بَعْدَ الأَجَلِ إِلاَّ أَنْ يُمْسِكَ بِالْمَعْرُوفِ أَوْ يَعْزِمَ بِالطَّلاَقِ كَمَا أَمَرَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ.

নাফি' (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, ইবনু ‘উমার (রাঃ) যে ‘ঈলার কথা আল্লাহ উল্লেখ করেছেন সে সম্পর্কে বলতেন, সময়সীমা উত্তীর্ণ হওয়ার পরে প্রত্যেকেরই উচিত হয় স্ত্রীকে সততার সাথে গ্রহণ করবে, না হয় ত্বলাক্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিবে, যেমনভাবে আল্লাহ তা‘আলা আদেশ করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯০২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৯৭)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

**

و قَالَ لِي إِسْمَاعِيلُ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ إِذَا مَضَتْ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ يُوقَفُ حَتّٰى يُطَلِّقَ وَلاَ يَقَعُ عَلَيْهِ الطَّلاَقُ حَتّٰى يُطَلِّقَ وَيُذْكَرُ ذ‘لِكَ عَنْ عُثْمَانَ وَعَلِيٍّ وَأَبِي الدَّرْدَاءِ وَعَائِشَةَ وَاثْنَيْ عَشَرَ رَجُلاً مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইসমাঈল আমাকে আরও বলেছেন, মালিক (রহঃ) নাফি' এর সূত্রে ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, চার মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলে ত্বলাক্ব দেয়া পর্যন্ত তাকে আটকে রাখা হবে। আর ত্বলাক্ব না দেয়া পর্যন্ত ত্বলাক্ব প্রযোজ্য হবেনা। উসমান, ‘আলী, আবুদ্‌ দারদা, 'আয়িশা (রাঃ) এবং আরও বারজন সহাবী থেকেও অনুরূপ উল্লেখ করা হয়।(আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯০২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৯৭)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

১।আমার প্রশ্ন এই দুটি কি সহিহ হাদিস কিনা?এই দুইটা সহিহ বুখারীর ৫২৯০ ও ৫২৯১ নং হাদিস।

২।আরেকটা প্রশ্ন হচ্ছে কেউ একটা প্রশ্ন একজন আলেমকে ৩ বার করেছে।৩ বার ই একই উত্তর।ওই ব্যাক্তিটি মারাত্বক ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত।ওর ওয়াসওয়াসা আসতেছে পুরো পরেছে কিনা বুঝেছে কিনা।এরকম ওয়াসওয়াসা আসলে কি আর প্রশ্ন না করলে গুণাহ হবে? আর একই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা কি উচিত হবে?

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সহিহ বুখারীর ৫২৯০ ও ৫২৯১ নং এ দুটি হাদীস সহীহ।

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنِ الْمُغِيرَةِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:إِنَّ اللهَ حَرَّمَ عَلَيْكُمْ عُقُوقَ الْأُمَّهَاتِ وَوَأْدَ الْبَنَاتِ وَمَنَعَ وَهَاتِ. وَكَرِهَ لَكُمْ قِيلَ وَقَالَ وَكَثْرَةُ السُّؤَالِ وَإِضَاعَةَ الْمَالِ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

মুগীরাহ্ ইবনু শু‘বাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের জন্য মায়ের অবাধ্যতা, কন্যাদের জীবন্ত প্রোথিতকরণ, কৃপণতা ও ভিক্ষাবৃত্তি হারাম করেছেন। আর তোমাদের জন্য বৃথা তর্কবিতর্ক, অধিক সওয়াল (প্রশ্ন) করা ও সম্পদ বিনষ্ট অপছন্দ করেছেন।
সহীহ : বুখারী ২৪০৮, ৫৯৭৫; মুসলিম ১২-(৫৯৩), সহীহুল জামি‘ ১৭৪৯, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ২৫০৭, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ২০৮, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫৫৫৫, শু‘আবুল ঈমান ৭৮৭২, আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ১৭২৮৮, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১১৬৭৪।


★উপরোক্ত হাদীসের শেষ দিকে  রাসুলুল্লাহ সাঃ  অধিক সওয়াল (প্রশ্ন) করা যে আল্লাহ তায়ালা  অপছন্দ করেন,সেটি উল্লেখ করেছেন।

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি সে সংক্রান্ত  আর প্রশ্ন করবেননা।

এরকম ওয়াসওয়াসা আসলে আর প্রশ্ন না করলে কোনো গুণাহ হবেনা।

আর একই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা কোনোভাবেই উচিত হবেনা।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...