আসসালামু আলাইকুম।
১. সোনার ব্যবসায় স্বর্ণকারদের একটা নীতি হলো এরকম যে, তাদের কাছে পুরানো সোনার গয়না ভেঙে নতুন গয়না গড়াতে দিলে তারা আগের সোনা গলিয়ে, তার খাদ সরিয়ে খাঁটি যে সোনা পায় ২৪ ক্যারটের, সেখান থেকে সামান্য কিছু নিজেরা রেখে বাকিটা তে খাদ মিশিয়ে ২২, ২১ বা ১৮ ক্যারটের অনুপাত অনুযায়ী নতুন গয়না গড়িয়ে দেয় মালিকের চাহিদা মতো। যে পরিমাণ সোনা তারা নিজেদের কাছে রেখে দেয় তার পরিমাণ ২/১ রত্তি অথবা ২/১ আনাও হতে পারে, সে ব্যপারে সোনার মালিককে কোন স্পষ্ট ধারণা দেওয়া হয় না। তারা শুধু বলে, খাদ মিশানোর পর ক্যারট অনুযায়ী কত ওজনের সোনা ফেরত দেবে সেটার পরিমাণ জানায় মালিককে।
এটা কি সোনার মালিকের জন্য সুদ এর পর্যায়ে পড়ে?? এভাবে গয়না ভেঙে গয়না গড়ালে কি সোনার মালিকের কোন গুনাহ হবে?
২. পুরাতন সোনার গয়না বদলে নতুন গয়না কিনতে চাইলে সোনার ব্যবসায়ীরা কিছু পরিমাণ সোনার ওজন কম দেয়, সেটা শর্তানুযায়ী ১০% অথবা ২০% পর্যন্ত হতে পারে। এটা সুদ বলে জানি। যদি মাসআলা জানার আগে এরূপ ভুল কেউ করে থাকে, সোনার বদলে সোনা কিনে এবং বেশি ওজনের গয়না দিয়ে কম ওজনের গয়না কিনে, তবে তার কাফফারা কীভাবে আদায় করতে হবে?
৩. নামাজের রুকুতে থাকা অবস্থায় যদি ছোট বাচ্চা চোখে আঘাত করতে থাকে, তবে রুকু থেকে সোজা হবার আগেই তাকে কি এক হাত দিয়ে সামনে থেকে সরিয়ে দেওয়া যাবে? এক রুকুতে এরকম কতবার করা যাবে? যদি বাচ্চা বার বার সামনে এসে এরকম আঘাত করে?
৪. নামাজ ভঙ্গের কারণ কয়টি?
৫. নামাজের ফরজ তো ৭টি। ওয়াজিব রুকন কয়টি?
৬. কোন বছরের যাকাত যথা সময়ে আদায় না হলে পরের বছর আদায় করতে হবে, তখন কি তার সাথে কোন কাফফারা ওয়াজিব হবে?